و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. ওয়াজ-নসীহত, বয়ান-খুতবা, ঘরে প্রবেশ, কথোপকথন, আলাপচারিতা এসবকিছুর পূর্বে সালাম দেওয়া সুন্নত।

উল্লেখ্য, যেসব মসজিদে জুমার খুতবার পূর্বে বাংলায় নসীহত হয় সেসব মসজিদে বাংলা বয়ানের পূর্বে সালাম দিয়ে নেবে।

- لا تأذنُوا لمن لم يبدأْ بالسلامَ.

الراوي: جابر بن عبدالله | المحدث: ابن القيسراني | المصدر: ذخيرة الحفاظ
الصفحة أو الرقم: 5/2594
خلاصة حكم المحدث: [فيه] إبراهيم بن يزيد متروك الحديث
التخريج: أخرجه أبو يعلى (1809)، وابن حبان في ((المجروحين)) (1/122) واللفظ لهما، وابن عدي في ((الكامل في الضعفاء)) (1/229) باختلاف يسير

২. গোসল ফরয অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোযার নিয়ত করতে অসুবিধে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এমনটি প্রমাণিত রয়েছে।
অবশ্য ফজরের নামাযের পূর্বে অবশ্যই গোসল করে নামায পড়তে হবে।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ وَأَبِي بَكْرٍ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ فِي رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ حُلْمٍ فَيَغْتَسِلُ وَيَصُومُ

‘আয়িশাহ রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রমযান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভোর হয়ে যেত ইহতিলাম (স্বপ্নদোষ) ব্যতিত (জুনুবী অবস্থায়)। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯৩০

৩. কারো মালিকানায় সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা নগদ টাকা থাকলে বছরান্তে তার উপর যাকাত ফরয হয়।
ঈদের দিন ভোর বেলায় উল্লেখিত সম্পদ থাকলে অথবা সমপরিমাণ মূল্যের (নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবের বাহিরে) অতিরিক্ত আসবাবপত্র থাকলে তার উপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়।
এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের এই অ্যাপে কিতাব সেকশনে গিয়ে এসংক্রান্ত কিতাব দেখুন।

৪. নিয়ত করে দিলে সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যাবে।

والله اعلم بالصواب