আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় হজের ফ্লাইট থাকলে তামাত্তু হজ পালনকারী মেয়েলোক কিভাবে তামাত্তু হজের উমরাহ করবে?

প্রশ্নঃ ৬০৭১০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় হজের ফ্লাইট থাকলে তামাত্তু হজ পালনকারী মেয়েলোক কিভাবে তামাত্তু হজের উমরাহ করবে?

৮ মে, ২০২৪
Auki

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মাসিক অবস্থায় হজ্জ অথবা ওমরার ফ্লাইটের সময় এসে গেলে ঐ অবস্থায় ইহরাম করে বাইতুল্লায় পৌঁছবে। মাসিক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করবে না। নামাজ পড়বে না। এভাবে পবিত্র হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকবে।

মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর হজ্জে তামাত্তু এর ওমরাহ সম্পন্ন করবে।
এদিকে মাসিক শেষ হতে হতে যদি ৮ জিলহজ্ব এসে যায়, যখন মিনায় যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, এখনো পবিত্র হয়ে ওমরাহ করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে ওমরার ইহরাম ভেঙে দিয়ে হজ্জের ইহরাম করে মিনায় চলে যাবে। হজ্জের পর পূর্বের ওমরাহ কাযা করে নিবে।



316 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أَهْلَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَكُنْتُ مِمَّنْ تَمَتَّعَ وَلَمْ يَسُقْ الهَدْيَ، فَزَعَمَتْ أَنَّهَا حَاضَتْ وَلَمْ تَطْهُرْ حَتَّى دَخَلَتْ لَيْلَةُ عَرَفَةَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ لَيْلَةُ عَرَفَةَ وَإِنَّمَا كُنْتُ تَمَتَّعْتُ بِعُمْرَةٍ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي، وَأَمْسِكِي عَنْ عُمْرَتِكِ» ، فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الحَجَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَيْلَةَ الحَصْبَةِ، فَأَعْمَرَنِي مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي نَسَكْتُ

৩১০। মুসা ইবনে ঈসমাঈল (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমিও তাদেরই একজন ছিলাম যারা তামাত্তুর* নিয়ত করেছিল এবং কুরবানীর পশু নেয়নি। তিনি বলেনঃ তাঁর হায়য শুরু হয় এবং আরাফা-এর রাত পর্যন্ত তিনি পাক হন নি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ তো আরাফার রাত, আর আমি হজ্জের সঙ্গে উমরারও নিয়ত করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ মাথার বেণী খুলে ফেল, চুল আঁচড়াও আর উমরা থেকে বিরত থাক। আমি তা-ই করলাম। হজ্জ সমাধা করার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে ‘হাসবায়’ অবস্থানের রাতে (আমাকে উমরা করানোর) নির্দেশ দিলেন। তিনি তানঈম থেকে আমাকে উমরা করালেন, যেখান থেকে আমি উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম।

*একই সফরে হজ্জ ও উমরা করা।

—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১০ (আন্তর্জাতিক নং ৩১৬)

হাদীসের বর্ননাকারী: উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাঃ)

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন