আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মসজিদে নববীতে নামাযের ফযীলত

প্রশ্নঃ ১০১৬৬০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাযের কোনো বিশেষ ফযীলত আছে কি?,

১ মে, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মসজিদে জামাতে নামায পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মসজিদে নববীতে জামাতে শামিল হওয়ার সুযোগ হয়ে যায় তাহলে তো নূরুন আলা নূর। কেননা, এখানে এক নামায (কমপক্ষে) হাজার নামাযের সমতুল্য। হজ্বের সময় মসজিদে নববীতে উপস্থিত হওয়ার এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রওযা মুবারকে গিয়ে সরাসরি সালাম আরজ করার সৌভাগ্য অর্জনের জন্য মদীনা মুনাওয়ারার উদ্দেশ্যে সফরের ধারা হাজ্বী ছাহেবানদের মধ্যে রয়েছে, যা অতি উত্তম আমল।
কিন্তু সেখানে অবস্থানের জন্য শরীয়তের পক্ষ থেকে কোনো মেয়াদ নির্ধারিত নেই। অর্থাৎ এটা অপরিহার্য নয় যে, সেখানে কমপক্ষে আট দিনই থাকতে হবে। কোনো কোনো মানুষ আট দিন অবস্থানকে এত জরুরি মনে করে যে, এর জন্য নিজেকে, সফরসঙ্গীদেরকে এবং কাফেলার আমীরকে কষ্টে ফেলে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না। অথচ তা শরীয়তের পক্ষ হতে নির্ধারিত কোনো মেয়াদ নয় যে, তা পূরণ করা এত জরুরি মনে করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মুসনাদে আহমদ (৩/১৫৫) ও তবারানীতে (৫৪৪) একটি রেওয়ায়েত আছে যে, কেউ যদি এই মসজিদে (অর্থাৎ মসজিদে নববীতে) ধারাবাহিকভাবে চল্লিশ নামায আদায় করে তাহলে সে জাহান্নামের আযাব ও নিফাক থেকে মুক্তি পাবে। এই রেওয়ায়েতের কারণে লোকেরা আট দিন অবস্থান করা জরুরি মনে করে নিয়েছে। অথচ সনদের বিচারে তা জয়ীফ। উপরন্তু এই হাদীসের প্রসিদ্ধ মতন সেটি যা তিরমীযীতে রয়েছে-যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য চল্লিশ দিন জামাতে তাকবীরে উলার সঙ্গে নামায আদায় করে তার জন্য দুটি পরোয়ানা লেখা হয় : জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোওয়ানা ও নিফাক থেকে মুক্তির পরওয়ানা। জামে তিরমীযী হাদীস : ২৪১
অতএব স্পষ্টত বোঝা যায় যে, এই ফযীলত যে কোনো মসজিদে অনবরত ৪০ দিন জামাতে শামিল হওয়া দ্বারা অর্জন হতে পারে।
প্রসঙ্গত ভুল না বোঝার অনুরোধ করব। ফযীলতের ক্ষেত্রে জয়ীফ রেওয়ায়েত গ্রহণযোগ্য, তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু একই সাথে এটাও সত্য যে, জয়ীফ দ্বারা শরীয়তের কোনো বিধান প্রমাণ হয় না এবং কোনো মেয়াদ বা পরিমাণ নির্ধারিত হয় না। এজন্য সহজভাবে সেখানে আট দিন থাকার সুযোগ হয়ে গেলে ভালো, কিন্তু একে জরুরি মনে করা বা জরুরি বিধানের মতো এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া যে, কষ্ট ও পেরেশানিতে পড়ে যেতে হয় কিংবা পরস্পর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়, তা ঠিক নয়। প্রকৃত করণীয় হচ্ছে, হারামাইনে যতদিন থাকার সুযোগ হয় চেষ্টা করবে যেন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে জামাতের সঙ্গে নামায আদায় করা হয়। সূত্র আলকাউসার: জানুয়ারী ২০১০ ইং

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৬৯৮১

হজ্বের সময় কোনো মহিলার হায়েজ এসে গেলে করণীয় কী?


৭ মে, ২০২৪

অভয়নগর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৩৬৫৭৬

ইহরাম অবস্থায় সেলাইযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে কি?


২১ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫০২৪

মৃত ব্যক্তির ‍ওসিয়ত ছাড়া তার পক্ষ থেকে বদলি হজ করার বিধান


২৪ নভেম্বর, ২০২২

Mecca, Mecca, Mecca, Saudi Arabia

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy