আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৫৫৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম।আমার একটা প্রশ্ন,, সেটা হল,,তাবলীগের কোন মানুষ যদি তাবলীগের দায়িত্ব বজায় রাখতে গিয়ে নিজের পরিবার কে,, বিশেষ করে নিজের wife কে যদি প্রাপ্ত সময না দেয় তাহলে এটার বিধান কি? একটু হাদিসের আলোকে বলবেন।,

২৭ এপ্রিল, ২০২১

১০৩ شارع ৫، مدينة الكويت، الكويت‎ (KW)

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য সহযোগী।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে সুরাতুল বাকারাহ-এ আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের জন্য পোশাক বলেছেন।

هنّ لباس لكم وأنتم لباس لهن

একজন স্বামী দ্বীনের জন্য সময় ব্যয় করছেন। স্ত্রী তাকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। সওয়াব তো উভয়ের জন্য হবে ইনশাআল্লাহ যদি পরস্পর বোঝাপড়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
অতএব একে অপরকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা পোষণ করুন।
তিনি যদি আপনার কাঙ্খিত পরিপূর্ণ সময় না দিয়ে থাকেন তবে তিনি গুনাহগার হবেন না। কারণ আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। একজন মানুষের সব আকাঙ্ক্ষা কোনদিন পুরা করা সম্ভব নয়।
আর যদি আপনার প্রাপ্য সময়টুকু না দেন তবে তো তিনি অবশ্যই আপনার হক নষ্ট করছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রিয় সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু গোটা রাত দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ পড়তেন। স্ত্রী নবীজির কাছে অভিযোগ করলে নবীজি তাকে উপদেশ দিলেন এবং বললেন, তোমার স্ত্রীর তোমার উপর অধিকার রয়েছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا عَبْدَ اللهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَقُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلاَ تَفْعَلْ صُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ بِحَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ كُلَّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا فَإِنَّ ذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ عَلَيَّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً قَالَ فَصُمْ صِيَامَ نَبِيِّ اللهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَم وَلاَ تَزِدْ عَلَيْهِ قُلْتُ وَمَا كَانَ صِيَامُ نَبِيِّ اللهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَم قَالَ نِصْفَ الدَّهْرِ فَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَقُولُ بَعْدَ مَا كَبِرَ يَا لَيْتَنِي قَبِلْتُ رُخْصَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আমর ইব্‌নুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত সালাত আদায় করে থাকো। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সওম পালন করো আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ‘আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। আমি (বললাম) আমি এর চেয়েও কঠোর ‘আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন ‘আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আরো বেশী শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহ্‌র নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম পালন করো, এর হতে বেশী করতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্‌র নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেনঃ ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম !
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯৭৫

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৩২৪৩

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বর্তমানে যে সব ভাই রা তাবলীগ জামাতের সঙ্গে 4 মাস, 40 দিন সময় লাগায় সেটা কি জায়েজ??

১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

Dhaka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,

১৭৫৩৪

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,প্রচলিত তবলিগের মূল কর্ম কান্ড গুলো কি জায়েজ।

২৬ এপ্রিল, ২০২২

সাভার

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৬৬৮৮

পৃথিবীতে মানুষের দায়িত্ব


২৬ জুলাই, ২০২৩

৮০১৪৬ Napoli NA

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy