আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৫৩৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আচ্ছালামুয়ালাইকুমদাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সাধারণত দুইভাবে হয়।১।চিল্লা,তিন চিল্লা বা কম বেশি সময় নিয়ে জামাতে বের হয়ে মেহনত।২।নিজের এলাকায় থেকে মেহনত।জামাতে যখন বের হয় তখন মসজিদে থাকা,খাওয়া ইত্যাদি জায়েজ হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন সময় ওলামায়ে কেরাম ফতওয়া দিয়েছেন।নিজের এলাকায় থাকা অবস্থায়ও তাবলীগের ভাইয়েরা বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে মসজিদে খাওয়া দাওয়া করে।তখন মসজিদে প্রচুর হৈ হুল্লোড় হয় এবং মারাত্বকভাবে মসজিদের আদব নষ্ট হয়।আমার জানার বিষয় হল,নিজের এলাকায় থাকা অবস্থায় মেহনতের নামে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে এইভাবে মসজিদে খাওয়া দাওয়া করার ব্যাপারে শরীয়তের কি হুকুম।দলীল সহকারে জানালে কৃতজ্ঞ হব।জামশেদ কামাল।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার,ডুয়েট,গাজিপুর।,

২৭ এপ্রিল, ২০২১

সিরাজগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




মাসজিদকে কমিউনিটি সেন্টারের মতো বানিয়ে খাবারের আয়োজন করা। খাবারের উদ্দেশ্যে মসজিদে একত্র হওয়া, মসজিদের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।

মসজিদে খাবার-দাবারের এন্তেজাম করা বিষয়ে ওলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে মুসাফিরদের জন্যে জায়েয আছে।

স্থানীয়রা দ্বীনি মুজাকারা শ্রাবণের উদ্দেশ্যে মাসজিদে একত্র হল, প্রসঙ্গক্রমে (মসজিদের পবিত্রতা অক্ষুন্ন রেখে) কিছু খাওয়া-দাওয়া করলে হারাম হবে না।

নবী যুগে সাহাবীরা মসজিদে রুটি গোশত আহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ زِيَادٍ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيَّ، يَقُولُ كُنَّا نَأْكُلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْمَسْجِدِ الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিস বিন জাযই আয-যুবায়দী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মসজিদে বসে রুটি ও গোশ্‌ত আহার করতাম।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩০০

فإننا لم نطلع على ما يدل على أفضلية إقامة وليمة النكاح في المسجد ولا على أن الصحابة كانوا يدعون إليها في المسجد.

وعليه؛ فالذي ينبغي هو عمل الوليمة ودعوة الناس إليها في غير المسجد، ولاسيما إذا لم يأمن على نظافته، لأن لأهل العلم خلافا وتفصيلا في جواز الأكل في المسجد، فيرى الحنابلة أنه لا بأس بالأكل فيه، قال في كشاف القتاع ممزوجا بمتن الإقناع في الفقه الحنبلي: (وَ) لَا بَأْسَ (بِالْأَكْلِ فِيهِ) أَيْ: فِي الْمَسْجِدِ لِلْمُعْتَكِفِ وَغَيْرِهِ لِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ {كُنَّا نَأْكُلُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ} رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ.انتهى. وقال في مطالب أولي النهى: لَا بَأْسَ بِالِاجْتِمَاعِ فِي الْمَسْجِدِ، وَالْأَكْلِ فِيهِ. انتهى

وكذلك الشافعية قال النووي في المجموع في الفقه الشافعي: لَا بَأْسَ بِالْأَكْلِ وَالشُّرْبِ فِي الْمَسْجِدِ، وَوَضْعِ الْمَائِدَةِ فِيه. انتهى

ويفرق المالكية بين الأكل الخفيف الجاف وغيره، فيجوز عندهم في المسجد أكل ما خف وجف مثل التمر ونحوه، ولا يجوز غير ذلك إلا في حال الضرورة، قال الباجي في المنتقى شرح الموطأ: وَأَمَّا الْأَكْلُ فِي الْمَسْجِدِ فَفِي الْمَبْسُوطِ كَانَ مَالِكٌ يَكْرَهُ أَكْلَ الْأَطْعِمَةِ اللَّحْمِ وَنَحْوِهِ فِي الْمَسْجِدِ، زَادَ ابْنُ الْقَاسِمِ فِي الْعُتْبِيَّةِ: أَوْ رِحَابِهِ، وَأَمَّا الصَّائِمُ يَأْتِيهِ مِنْ دَارِهِ السَّوِيقُ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ، قَالَ ابْنُ الْقَاسِمِ: أَوْ الطَّعَامُ الْخَفِيفُ فَلَا بَأْسَ بِهِ. انتهى.

وفي التاج والإكليل لمختصر خليل: قَالَ ابْنُ الْقَاسِمِ: وَلَمْ يَرَ مَالِكٌ بَأْسًا بِأَكْلِ الرُّطَبِ الَّتِي تُجْعَلُ فِي الْمَسَاجِدِ. ابْنُ رُشْدٍ: فِي هَذَا مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْغُرَبَاءَ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَأْوًى يَجُوزُ لَهُمْ أَنْ يَأْوُوا إلَى الْمَسَاجِدِ وَيَبِيتُوا فِيهَا وَيَأْكُلُوا فِيهَا مَا أَشْبَهَ التَّمْرَ مِنْ الطَّعَامِ الْجَافِّ، وَقَدْ خَفَّفَ مَالِكٌ أَيْضًا لِلضِّيفَانِ الْمَبِيتَ وَالْأَكْلَ فِي مَسَاجِدِ الْقُرَى، بِمَعْنَى أَنَّ الْبَانِيَ لَهَا لِلصَّلَاةِ فِيهَا يَعْلَمُ أَنَّ الضِّيفَانَ يَبِيتُونَ فِيهَا لِضَرُورَتِهِمْ إلَى ذَلِكَ، فَصَارَ كَأَنَّهُ قَدْ بَنَاهَا لِذَلِكَ وَإِنْ كَانَ أَصْلُ بِنَائِهِ لَهَا إنَّمَا هُوَ لِلصَّلَاةِ فِيهَا؛ لَا لِمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ مَبِيتِ الضِّيفَانِ. انتهى
—فتوى من إسلامي ويب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৯৩১৩

জামাতের ফযিলত বিষয়ক ২৫ গুণ নেকীর হাদীসের ব্যাখ্যা


১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

West Bengal ৭১১৪০৮

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy