প্রশ্নঃ ৫১৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম। আমি একজন এর সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্কে জড়িত হয়ে যাই।আমরা দুজনেই বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি।সম্পর্কের বছর খানেক পরেই আমরা জানতে পারি ইসলামে এসব নিসিদ্ধ।তাই আমরা যোগাযোগ বন্ধ করার চেস্টা করি।কিন্তু ব্যর্থ হই।কয়েক দিন থাকার পর আবার যোগাযোগ হয়ে যাই।বার বার চেষ্টা করার পরে ও পারছিনা।বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্চেনা। আমি যাকে পছন্দ করি সে ইসলামের দিক থেকে যোগ্য হলে ও আমার পরিবার বা সমাজে নই।তাই পরিবার মেনে নিবেনা।যতটুক জানি মা বাবার সম্মতি ছাড়া বিয়ে হয়না।আর আমাদের বড় অবিবাহিত বোন আছে।আমাদের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আরো একটি কারণ হলো আমাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছে হই।কিন্তু আমরা তা পারিনা।ফলে আমরা খারাপ ভিডিও দেখে ফেলি নিজের মনের অজান্তেই।আমদের পরিবার কে মানানোর চেস্টা ও করছি।কিন্তু মানেনি।এখন আমরা কি করতে পারি?আমদের কে এই ভদ্র সমাজের নামে যে অশ্লীলতা তা থেকে বাচান(দয়া করুন)।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালোবাসার এই সম্পর্ক কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবারকে বুঝিয়ে বিবাহের উদ্যোগ নিন। নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার জন্য যে লোক বিবাহের উদ্যোগ নেয় আল্লাহ তাআলা তাকে সাহায্য করার জন্য ওয়াদা করেছেন। অন্যায় সম্পর্ক এখনই বিচ্ছিন্ন করুন। আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করুন। বেশি বেশি ইস্তেগফার করে আল্লাহ তাআলার কাছে দুরুদ শরীফ পড়ে সাহায্য চান। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَوْنُهُمْ: الْمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الْأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ الْعَفَافَ، وَالْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে, তিন প্রকারের লোক যাদের উপর আল্লাহ্র জন্য ‘হক’ রয়েছে, মহান মহিয়ান আল্লাহ্ অবশ্য তাদের সাহায্য করবেনঃ
১. যে মুকাতাব দাস (কিতাবাতের অর্থ) [১] আদায় করার ইচ্ছা পোষণ করে,
২. যে বিবাহিত ব্যক্তি চারিত্রিক পুত-পবিত্রতা (ব্যভিচার হতে রক্ষা পেতে) চায়,
৩. এবং আল্লাহ্র রাস্তার মুজাহিদ।
টীকা :
[১] গোলাম ও তার মালিকের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে মালিকের নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করে গোলামের মুক্তি লাভের চুক্তিকে ‘কিতাবাত’ চুক্তি বলে এবং এরূপ গোলামকে ‘মুকাতিব’ বলে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩২১৮
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন