আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

জাকাতের ওকালতনামা

প্রশ্নঃ ৫১২২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের মাদ্রাসায় যাকাত ফান্ড আছে, সেই যাকাত ফান্ড থেকে গরিব ও এতিম ছাত্র ছাত্রীর মাসিক বেতন দেওয়া যাবে কিনা। বছরের শুরুতে গরিব ও এতিম ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক দেরকে বলে দেওয়া হয় তাদের বেতন যাকাত ফান্ড থেকে দেওয়া হবে। যে কয়জন গরিব ও এতিম ছাত্র-ছাত্রী আছে তাদের বেতনের সমপরিমাণ টাকা যাকাত ফান্ড থেকে নিয়ে শিক্ষকদের বেতন ও মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজ করি তাহলে যারা যাকাত দিয়েছেন তাদের যাকাত আদায় হবে কিনা। আমাদের মাদ্রাসাটি আবাসিক নয় ছাত্র ছাত্রীর খানার ব্যবস্থা নাই । নূরানী মাদ্রাসার মত। অথবা কিভাবে যাকাত ফান্ডের টাকা মাদ্রাসায় ব্যবহার করা যাবে।

২২ জানুয়ারী, ২০২৪
QX৪৪+M৭G

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যাকাত আদায় হওয়ার জন্য শর্ত হল, যাকাত গ্রহণের যোগ্য কাউকে যাকাতের অর্থের পূর্ণ মালিক বানিয়ে দেওয়া। মালিকানা প্রদান করা ছাড়া কারো উদ্দেশ্যে যাকাতের টাকা খরচ করা জায়েজ নাই।

যাকাত গ্রহণের যোগ্য হলো, ওই সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক (বালেগ) মানুষ যাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ নাই।

কাজেই কোনো শিশুকে জাকাতের টাকা/মাল দেওয়া যাবে না এবং তার পড়া লেখার জন্য জাকাতের টাকা ব্যয় করা যাবে না। তবে যদি কোনো শিশুর অভিভাবক গরীব (জাকাত গ্রহনের) যোগ্য হয় তাহলে তাকে জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।

সুতরাং আপনার জন্য করণীয় হলো, ভর্তির সময় ছাত্রদের প্রত্যেকের মাসিক খরচ/প্রদেয়ের পরিমাণ নির্ধার করে নেওয়া। তারপর...

১. যদি কোনে প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থী থাকে তাহলে সরাসরি তার হাতে জাকাতের টাকা দিয়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে তার পড়াশোনা ইত্যাদী খরচ বাবদ তার থেকে বেতন গ্রহন করা। অথবা শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ওই শিক্ষার্থীদের থেকে তাদের স্বার্থে জাকাতের টাকা খরচের ব্যাপারে ওকালতনামা নিয়ে নেওয়া।

২. যদি শিক্ষার্থী না বালক হয় এবং তার অভিভাবক জাকাত গ্রহনের যোগ্য হয় তাহলে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই তাদের কাছ থেকে তাদের সন্তানদের স্বার্থে জাকাতের টাকা খরচের ব্যাপারে ওকালতনামা নিয়ে নেওয়া।

উভয় ক্ষেত্রে তাদের খরচ বাবদ মাদরাসার ফান্ডে যেই পরিমাণ টাকা জমা হবে সেটা তখন আর যাকাতের টাকা থাকবে না বরং ছাত্রছাত্রীদের থেকে প্রাপ্ত বেতন হিসেবে গণ্য হবে। তখন সেটা উস্তাদদের বেতন বা নির্মাণ কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া কথিত হীলা বাহানা করে জাকাতর টাকা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন