আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ব্যবসার লোগো এবং ট্রেডমার্ক বিক্রয় প্রসঙ্গে।

প্রশ্নঃ ৪৫৯৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ব্যবসার লোগো এবং ট্রেডমার্ক বিক্রয় করা জায়েয আছে কি না? জানিয়ে ধন্য করবেন।,

১৮ নভেম্বর, ২০২৩

মাওনা ইউনিয়ন

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানী হাফি. বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমরা হুবহু তার আলোচনাটাই তুলে ধরছি।

ভূমিকা:
ব্যবসায়িক নাম, ট্রেডমার্ক (Trademark)-এর ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক নাম এবং ব্যবসায়িক বিশেষচিহ্ন বা ট্রেডমার্ক (Trademark) এবং ব্যবসায়িক লাইসেন্সের বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন ব্যবসায়ী বা একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরণ ও আইটেমের পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করে থাকে। সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যবসায়িক এজেন্ট প্রতিষ্ঠান এবং চাহিদা আছে এমন যে কোনো ব্যক্তির কাছে তারা তাদের প্রস্তুতকৃত পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারেও তা এক্সপোর্ট করে থাকে। মান এবং গুণাগুণের ভিন্নতার ওপর ভিত্তি ব র একই ধরণের পণ্যসামগ্রী বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত হয়ে যায়। পণ্যসামগ্রীর মান তার গুণাগুণ, প্রস্তুতকারী কোম্পানী এবং ব্যক্তির সুনাম বা দুর্নামের ওপর ভিত্তি করে নির্ণিত হয়ে থাকে। ভোক্তাগণ যখন দেখে যে, বাজারে অমুক কোম্পনীর প্রস্তুতকৃত পণ্যসামগ্রী ব্যাপক পরিচিতি এবং প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে, তখন তারা কোম্পনীর নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে অথবা পণ্যসামগ্রীতে সেই কোম্পনীর ট্রেডমার্ক (Tradrmark) বা ব্যবসায়িক লাইসেন্স দেখার সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রয় করে নেয়।

এইভাবে পণ্যসামগ্রীর ওপর ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্ক ভোক্তাদের উৎসাহ ও অনুৎসাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্যই ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিতে ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্ক বহু মূল্যবান এবং বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম বাজারে সুখ্যাতি ও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, সেইসব প্রতিষ্ঠানের নামে বাজারে সরবরাহকৃত পণ্যসামগ্রীর প্রতি ক্রেতাদের বিরাট আকর্ষণ থাকে। আর একারণেই যেকোনো ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বাজারে যে পণ্যসামগ্রীই সরবরাহ করে তার কাটতি থাকে অনেক বেশী। আর এতে লাভ মুনাফাও হয় প্রচুর পরিমাণ।

যখন থেকে এই প্রবণতা শুরু হয় যে, ভোক্তাদের মধ্যে যে কোম্পনীর সুনাম ও সুখ্যাতি বেশী এবং যে কেম্পনীর পণ্যসামগ্রী ভোক্তাদের কাছে অধিক সমাদৃত হয়; তখন কিছুকিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওই সব কোম্পনীর নাম ব্যবহার করে নকল পণ্যসামগ্রী বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে; ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হওয়ার সমস্যাটি বিরাট ও ব্যাপক আকার ধারণ করে। তখন থেকেই সাধারণ ভোক্তাদেরকে প্রতারণা থেকে রক্ষাকল্পে সরকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পনীর নামসমূহের এবং প্রতিষ্ঠানের বিশেষচিহ্ন বা ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রিকরণ প্রথা চালু করে। আর সেইসঙ্গে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে অন্যের রেজিস্ট্রিকৃত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠিানের নাম এবং ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে নিষেধ করে দেয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের কাছে রেজিষ্ট্রিশনের পর ওইসব ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্ক একটি মূল্যবান বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে এসব নাম ও ট্রেডমার্ক চড়ামূল্যে ক্রয় বিক্রয়ের রেওয়াজ চালু হয়ে যায়। কেননা, তাদের এইসব ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্কের দ্বারা মুনাফা অর্জনের বিরাট সম্ভবানা সৃষ্টি হয়। এগুলোর কারণে মানুষ তাদের প্রস্তুতকৃত পণ্যসামগ্রীর প্রতি ব্যাপকভাবে আকর্ষিত হয়।
এ ক্ষেত্রে জানার বিষয় হল, এসব ব্যবসায়িক নাম এবং ?
এখানে এ বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট যে, ব্যবসায়িক নাম বা ট্রেডমার্ক কোনো দ্রব্যগত বস্তু নয়; বরং এটি হল ওই নাম বা ট্রেডমার্ক ব্যবহারের একটি অধিকার। আর এই অধিকারগত সন্তুটি মূলতঃ সত্ত্বাধিকারীর জন্য অগ্রে ব্যবহার এবং সরকারী রেজিস্ট্রিশন নেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে এই সত্ত্বটি বিদ্যমান আছে, ভবিষ্যতে না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এটি এমন একটি সত্ত্ব যা একব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে। কিন্তু এটি এমন সত্ত্ব যা স্থায়ী বস্তুগত উপাদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সুতরাং ফুকাহায়ে কিরামের আলোচনা থেকে আমরা যে মূলনীতি বের করেছি, তার আলোকে উত্তম এটিই মনে হয় যে, অধিকার প্রত্যাহারের ভিত্তিতে তার বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয হওয়া উচিত। ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে হস্তান্তর জায়েয না হওয়া উচিত। কেননা, এই সত্ত্ব বস্তুগত উপাদানের সাথে স্থায়ীভাবে বিদ্যমান কোনো সুযোগ- সুবিধা নয়।
শায়খুল মাশায়েখ হযরত মাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানবী (রহ.) এই ফতওয়াই প্রদান করেছেন। আর তিনি এই বিষয়টিকে মালের বিনিময়ে চাকুরী থেকে অধিকার প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ের ওপর কিয়াস করেছেন। তিনি এ বিষয়ে আল্লামা ইবনে আবেদীন (রহ.)-এর ওই বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন, যে বর্ণনাটিকে আমরা نزول عن الوظائف ‘চাকুরী থেকে অধিকার প্রত্যাহারের
আালোচনা' প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি। অতঃপর হযরত থানবী (রহ.) বলেন- 'এবং কারখানার নামও حق وظائف বা বেতনভুক্ত সত্ত্বের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। যে বস্তু মৌলিকভাবে প্রতিষ্ঠিত, ক্ষতি বিদূরণের জন্য নয় এবং উভয়টিই কার্যক্ষেত্রে একটি অপরটির সাথে সম্পৃক্ত। ভবিষ্যতে উভয়টিই মাল অর্জনের মাধ্যম। এরই ভিত্তিতে এর বিনিময় প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে মনে হয়। যদিও বিনিময় গ্রহণকারীর জন্য বিনিময় নেয়াটা তাকওয়া পরিপন্থি। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তারও অনুমতি রয়েছে। [ইমদাদুল ফাতাওয়া: খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৮৭।
পরিশেষে এবিষয়ে আমাদের অভিমত হল যে, ব্যবসায়িক নামের সত্ত্ব এবং ট্রেডমার্কের সত্ত্ব যদিও এটি একটি নিরেট সত্ত্ব। যা কোনো বস্তুগত ইন্দ্রিয়ানুভূত বস্তুর মাঝে বিদ্যমান নয়। কিন্তু সরকারী রেজিস্ট্রিশনের জন্য বিরাট দৌড়- কাপের প্রয়োজন হয় এবং সীমাহীন কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়; কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করতে হয়। যার পরই এই ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্কের একটি আইনগত ভিত্তি সৃষ্টি হয়। যার প্রকাশ ঘটে ওই লিখিত সার্টিফিকেটের মাধ্যমে যা রেজিস্ট্রিশনকারীদেরকে সরকারি ফাইলপত্রে অন্তর্ভুক্তির পর দেয়া হয়। এই সব স্তর অতিক্রম করার পর ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেড মার্কের সত্ত্ব ওই সত্ত্বের মত হয়ে যায়, যা কোনো বস্তুর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদ্যমান। আর ব্যবসায়ীদের পরিভাষাতেও এটি একটি বস্তুগত উপাদানের সত্ত্বের রূপ ধারণ করে। সুতরাং ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে তার বিনিময় গ্রহণ জায়েয হওয়া উচিৎ। আর এবিষয়েও কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে, কোনো কোনো জিনিস অস্তিত্বমান বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সামাজিক প্রচলনের বিরাট প্রভাব ও দখল রয়েছে। কেননা, আল্লামা আবেদীন (রহ.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী 'মানুষের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমেই পণ্য পণ্য হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যায়।' এর একটি উপমা হল, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ। অতীতকালে এগুলোকে মাল এবং অস্তিত্বমান বস্তু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হত না। কেননা, এই দুইটি জিনিস এমন কোনো বস্তুগত উপাদান নয়, যা স্ব অস্তিত্বে বিদ্যমান থাকতে পারে। আর মানুষের জন্য এগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণও এক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই উভয় জিনিস ওই সব মূল্যবান বস্তুর অন্তর্ভুক্ত যার ক্রয় বিক্রয় জায়েয হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ সংশয় নেই। কেননা, এই দুই জিনিসে অভাবনীয় মুনাফা রয়েছে। আর বর্তমানে এগুলো পরিহার করে চলাও এক দুঃসাধ্য ব্যাপার। মানুষের পরিভাষায় এই দুই জিনিস মাল এবং মূল্যবান বস্তু হিসেবে গৃহীত রয়েছে।
সরকারীভাবে ঠিক তদ্রূপ ব্যবসায়িক নাম অথবা ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রিশনের পর ব্যবসায়ীদের তা বিরাট মূল্যবান বস্তু হিসেবে পরিগণিত হয়। এছাড়া পরিভাষায় টফিকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে তাতে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কেননা, প্রত্যেক বস্তুর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ তার অবস্থার প্রেক্ষিতেই হয়ে থাকে। এতে এবিষয়টিও প্রতিষ্ঠিত যে, প্রয়োজনের সময় তা মওজুদও করা যেতে পারে। মোটকথা, কোনো বস্তুর মূল্যমান সৃষ্টির জন্য যেসব উপাদান অপরিহার্য হিসেবে গণ্য হয়, তার সবকয়টিই ব্যবসায়িক নাম এবং ট্রেডমার্কের মধ্যে বিদ্যমান। শুধু এতটুকু পার্থক্য যে, এটি এমন কোনো বস্তুগত উপাদান নয়। যে. তা স্ব অস্তিত্বে বিদ্যমান থাকতে পারে। এই বিবরণের দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এগুলোর ক্রয় বিক্রয় বৈধ হওয়ার জন্য এ গুলোকে মাল বলে গণ্য করার ক্ষেত্রে শরয়ীভাবে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
তবে এগুলোর ক্রয় বিক্রয় জায়েয হওয়ার জন্য দুইটি শর্ত মেনে চলতে হবে। শর্ত দুইটি হল:
এক. ওই ব্যবসায়িক নাম অথবা ট্রেডমার্ক সরকারী বিধি মোতাবেক রেজিস্ট্রিকৃত হতে হবে। কেননা, যে নাম বা ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রিকৃত না হয়, ব্যবসায়ীদের পরিভাষায় তা মাল হিসেবেই গণ্য হয় না।
দুই, ব্যবসায়িক নাম কিংবা ট্রেডমার্কের দ্বারা ভোক্তারা যেন প্রতারণা এবং ধোকার শিকার না হয়। এর পদ্ধতি এরূপ- ক্রেতার পক্ষথেকে একথা ঘোষণা করে দেয়া হবে যে, বর্তমানে এই পণ্যের প্রস্তুতকারী ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, যারা ইতিপূর্বে এই নামে পণ্যসামগ্রী প্রস্তুত করত। আর এই নাম এবং ট্রেডমার্কের ক্রেতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিয়তে এগুলো ক্রয় করবে যে, তারা যথাসম্ভব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে যেন পণ্যসামগ্রী পূর্বের মান অনুযায়ী বা তার চেয়ে আরো অধিক মান সম্পন্ন করে প্রস্তুত করা যায়।
সুতরাং এই ঘোষণা ব্যতীত ব্যবসায়িক নাম অথবা ট্রেডমার্ক অন্যের কাছে হস্তান্তরিত হওয়া যেহেতু ভোক্তাদের জন্য অস্বচ্ছতা, অস্পষ্টতা এবং প্রতারণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে; আর ধোকা ও প্রতারণা যেহেতু ইসলামে হারাম সুতরাং কোনো অবস্থাতেই তা জায়েয হবে না। (بحوث في قضايا فقهية معاصرة: ج١/ ص١١٧ :مكتبة دارالعلوم الكراتشي- ফিকহি মাকালাত: ১/২৩১)

সম্মানিত দ্বীনি ভাই!
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন যে, দুইটি শর্ত মেনে ট্রেডমার্ক বিক্রি করা যাবে। শর্ত দুইটি হল:
এক. ওই ব্যবসায়িক নাম অথবা ট্রেডমার্ক সরকারী বিধি মোতাবেক রেজিস্ট্রিকৃত হতে হবে। কেননা, যে নাম বা ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রিকৃত না হয়, ব্যবসায়ীদের পরিভাষায় তা মাল হিসেবেই গণ্য হয় না।
দুই. ব্যবসায়িক নাম কিংবা ট্রেডমার্কের দ্বারা ভোক্তারা যেন প্রতারণা এবং ধোকার শিকার না হয়। এর পদ্ধতি এরূপ হবে যে, (ট্রেডমার্কে) ক্রেতার পক্ষ থেকে একথা ঘোষণা করে দেয়া হবে যে, বর্তমানে এই পণ্যের প্রস্তুতকারী ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, যারা ইতিপূর্বে এই নামে পণ্যসামগ্রী প্রস্তুত করত।
আর এই নাম এবং ট্রেডমার্কের ক্রেতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিয়তে এগুলো ক্রয় করবে যে, তারা যথাসম্ভব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে যেন পণ্যসামগ্রী পূর্বের মান অনুযায়ী বা তার চেয়ে আরো অধিক মান সম্পন্ন করে প্রস্তুত করা যায়।
সুতরাং এই ঘোষণা ব্যতীত ব্যবসায়িক নাম অথবা ট্রেডমার্ক অন্যের কাছে হস্তান্তরিত হওয়া যেহেতু ভোক্তাদের জন্য অস্বচ্ছতা, অস্পষ্টতা এবং প্রতারণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে; আর ধোকা ও প্রতারণা যেহেতু ইসলামে হারাম সুতরাং কোনো অবস্থাতেই তা জায়েয হবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০০৫৫

হিফজের ছাত্রীদের পিরিয়ড অবস্থায় তেলাওয়াত


১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭৩২৮৯

মসজিদের অপ্রয়োজনী মালামাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করার বিধান


২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রামপাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৬৯৩

বন্ধকি বস্তু ভাড়া দেয়া যাবে কি?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৬৯৪২৮

সন্দেহযুক্ত/ হারাম টাকায় নির্মিত মসজিদে নামাযের বিধান কি?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy