আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মুখের জড়তা দূর করার উপায়

প্রশ্নঃ ৪৪৬০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একজন জেনারেল শিক্ষিত স্টুডেন্ট, আমি ভবিষ্যতে একজন ডক্টর হতে চাই তার পাশাপাশি মানুষজনকে ইসলামের দাওয়াত দিতে চাই । কিন্তু আমার মুখে জড়তা আছে , আমি স্পষ্ট করে কথা বলতে পারিনা , মাঝে মাঝে কথা বলতে গিয়ে এমন ও চলে আসে " মানে মানে, তারপর তারপর, এইরকম বলে ফেলি বা অনেকসময় কোনো কথা বুঝিয়ে বলতে পারিনা কিছু কমতি থেকেই যায় তাই মানুষ আমার কথাতে বেশি আগ্রহ দেখায় না , আমি যদি কোনো হাদিস বলি আমার কথা স্পষ্ট clear না থাকায় তারা আমার কথা শুনতে আগ্রহী নয় অনেকে ধীরে ধীরে কথা বল , কিন্তু যতোই ঠিক করে বলতে যায় আগের মত হয়ে যায় , এই সব থেকে কিভাবে আমি কাটিয়ে উঠবো ? মুখের জড়তা কিভাবে দূর করবো ?

২ নভেম্বর, ২০২৩
ঢাকা ১২০৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আল্লাহ তায়ালা আপনার এই সুমহান উদ্দেশ্যেকে সফল, সহজ এবং সুন্দর করুন। আপনি প্রথমত নিয়মিত এই দোয়াটি পড়তে পারেন। হজরত মুসা আ. এর জিহ্বায় কিছুটা জড়তা ছিল। তো তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া করেছেন। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর দোয়াটি উল্লেখ করেছেন।

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي* وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي* وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي * يَفْقَهُوا قَوْلِي
অর্থ : ‘সে বলল, হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন—যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ২৫-২৮)। এই দোয়া মৌখিক পরীক্ষার সময় বেশি বেশি পড়া যেতে পারে।
এ ছাড়া মুরব্বিদের মুখে আরেকটি দোয়া শোনা যায়,
رَبِّ يَسِّرْ وَلَا تُعَسِّرْ وَ تَمِّمْ عَلَيْنَا بِالْخَيْرِ
অর্থ : হে আমার রব, সহজ করো, কঠিন কোরো না, এবং কল্যাণের সঙ্গে শেষ করার তাওফিক দান করো।

দ্বিতীয়ত:বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করুন। মুখের জড়তা দূর করতে এটা খুবই কার্যকর।
৩. আমরা যদ্দুর জানি কিছুকিছু জড়তা চিকিৎসা এবং ব্যায়ামের মাধ্যমেও দূর হয়। তাই আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পারামর্শ নিতে পারেন।
৪. উপরোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করার পরও যদি আপনার জড়তা দূর না হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালার দ্বিনের দায়ী হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো, “কলম”। আপনি কলমের মাধ্যমেও মানুষের কলবে ইমানের শিখা প্রজ্জলন করতে পারেন। দ্বিনের বিরুদ্ধে বহুরূপী আঘাতের একটা বড় আঘাত মিডিয়া, লেখা লেখির মাধ্যমেও আসে। তাই আপনি খেলা লেখি করেও দ্বিনের অসামান্য খেদমত করতে পারেন। আল্লাহ তয়ালা আপনাকে কবুল।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন