ফিতনা সম্পর্কে হযরত হুযাইফা রাযি. কতৃক বর্ণিত হাদীসের রেফারেন্স প্রসঙ্গে।
প্রশ্নঃ ৪৪৩২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত মিম্বারে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করেন,যেখানে কিয়ামত এর আগ পর্যন্ত সব ফিতনার কথা ছিল? সেই হাদিসটি রেফারেন্স সহ জানাবেন?,
৩১ অক্টোবর, ২০২৩
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মুহতারাম, বিখ্যাত সাহাবী হযরত হুযাইফা রাযি. থেকে এই হাদীসটি একাধিক সূত্রে হাদীসের কিতাবাদিতে বর্ণিত হয়েছে। এটি একটি সুদীর্ঘ বর্ণনা। তবে 'ফজর থেকে মাগরিব' পর্যন্ত বয়ানের উল্লেখ কোথাও আসেনি, ওটার উল্লেখ পরিহার্য।
রেফারেন্সসহ মূল বর্ণনা দেখুনঃ
باب ما جاء ما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم أصحابه بما هو كائن إلى يوم القيامة
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا صَلاَةَ الْعَصْرِ بِنَهَارٍ ثُمَّ قَامَ خَطِيبًا فَلَمْ يَدَعْ شَيْئًا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ أَخْبَرَنَا بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ وَكَانَ فِيمَا قَالَ " إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَإِنَّ اللَّهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ أَلاَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ " . وَكَانَ فِيمَا قَالَ " أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ رَجُلاً هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا عَلِمَهُ " . قَالَ فَبَكَى أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ فَهِبْنَا . وَكَانَ فِيمَا قَالَ " أَلاَ إِنَّهُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَدْرِ غَدْرَتِهِ وَلاَ غَدْرَةَ أَعْظَمَ مِنْ غَدْرَةِ إِمَامِ عَامَّةٍ يُرْكَزُ لِوَاؤُهُ عِنْدَ اسْتِهِ " . وَكَانَ فِيمَا حَفِظْنَا يَوْمَئِذٍ " أَلاَ إِنَّ بَنِي آدَمَ خُلِقُوا عَلَى طَبَقَاتٍ شَتَّى فَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ مُؤْمِنًا وَيَحْيَا مُؤْمِنًا وَيَمُوتُ مُؤْمِنًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ كَافِرًا وَيَحْيَا كَافِرًا وَيَمُوتُ كَافِرًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ مُؤْمِنًا وَيَحْيَا مُؤْمِنًا وَيَمُوتُ كَافِرًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ كَافِرًا وَيَحْيَا كَافِرًا وَيَمُوتُ مُؤْمِنًا أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمُ الْبَطِيءَ الْغَضَبِ سَرِيعَ الْفَىْءِ وَمِنْهُمْ سَرِيعُ الْغَضَبِ سَرِيعُ الْفَىْءِ فَتِلْكَ بِتِلْكَ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمْ سَرِيعَ الْغَضَبِ بَطِيءَ الْفَىْءِ أَلاَ وَخَيْرُهُمْ بَطِيءُ الْغَضَبِ سَرِيعُ الْفَىْءِ أَلاَ وَشَرُّهُمْ سَرِيعُ الْغَضَبِ بَطِيءُ الْفَىْءِ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمْ حَسَنَ الْقَضَاءِ حَسَنَ الطَّلَبِ وَمِنْهُمْ سَيِّئُ الْقَضَاءِ حَسَنُ الطَّلَبِ وَمِنْهُمْ حَسَنُ الْقَضَاءِ سَيِّئُ الطَّلَبِ فَتِلْكَ بِتِلْكَ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمُ السَّيِّئَ الْقَضَاءِ السَّيِّئَ الطَّلَبِ أَلاَ وَخَيْرُهُمُ الْحَسَنُ الْقَضَاءِ الْحَسَنُ الطَّلَبِ أَلاَ وَشَرُّهُمْ سَيِّئُ الْقَضَاءِ سَيِّئُ الطَّلَبِ أَلاَ وَإِنَّ الْغَضَبَ جَمْرَةٌ فِي قَلْبِ ابْنِ آدَمَ أَمَا رَأَيْتُمْ إِلَى حُمْرَةِ عَيْنَيْهِ وَانْتِفَاخِ أَوْدَاجِهِ فَمَنْ أَحَسَّ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَلْصَقْ بِالأَرْضِ " . قَالَ وَجَعَلْنَا نَلْتَفِتُ إِلَى الشَّمْسِ هَلْ بَقِيَ مِنْهَا شَيْءٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا فِيمَا مَضَى مِنْهَا إِلاَّ كَمَا بَقِيَ مِنْ يَوْمِكُمْ هَذَا فِيمَا مَضَى مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ وَأَبِي مَرْيَمَ وَأَبِي زَيْدِ بْنِ أَخْطَبَ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَذَكَرُوا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُمَ بِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى أَنْ تَقُومَ السَّاعَةُ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী (ﷺ) কর্তৃক সাহাবীগণকে অবহিত করা।
২১৯৪. ইমরান ইবনে মুসা কাযযায বসরী (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে দিন থাকতেই (অর্থাৎ একেবারে আওয়াল ওয়াক্তে) আসরের নামায আদায় করেন। এরপর তিনি খুতবা দিতে দাঁড়ান। এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সবকিছু সম্পর্কে তিনি আমাদের অবহিত করেন। যার মনে রাখার তা মনে রেখেছে আর যার ভুলে যাওয়ার সে তা ভুলে গিয়েছে। এতে তিনি যা বলেছিলেন তার মধ্যে ছিলঃ
এ দুনিয়া দেখতে শ্যামল এবং মধূর। আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করেছেন। এরপর তোমরা কি আমল করছ তা তিনি লক্ষ্য করেছেন। শোন, দুনিয়া থেকে বেঁচে থাকবে আর মেয়েদের থেকেও সতর্ক থাকবে। তিনি আরো বলেছেনঃ শোন, যখন কোন সত্য সম্পর্কে জানবে তখন তোমাদের কাউকে কোন মানুষের ভয় যেন তা বলতে কখনো বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর আবু সাঈদ (রাযিঃ) কেঁদে ফেললেন। বললেন আল্লাহর কসম, অনেক বিষয় আমরা হতে দেখছি কিন্তু তা বলতে মানুষকে ভয় করেছি। তিনি (নবী (ﷺ)) আরও বলেছিলেনঃ শুনে রাখ, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাস ঘাতককেই তার বিশ্বাস ঘাতকতার পরিমাণ অনুসারে এক একটি নিশান লাগিয়ে দেওয়া হবে। মুসলিম রাষ্ট্র নায়ক কর্তৃক বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে আর ভীষণ কোন বিশ্বাসঘাতকতা নাই। তার এই নিশান তার নিতম্বের কাছে বেঁধে দেওয়া হবে।
ঐদিনের আরো যে কথা আমরা স্মরণ রেখেছি তার মধ্যে ছিল, শুনে রাখ, আদম সন্তানকে বিভিন্ন শ্রেণীতে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তো একদল এমন যারা মু‘মিনরূপেই জন্ম নিয়েছে এবং মু‘মিনরূপেই তাদের জীবন অতিবাহিত হয়েছে আর মু‘মিনরূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, যারা কাফিররূপে জন্ম নিয়েছে এবং কাফিররূপে তারা জীবন অতিবাহিত করেছে আর কাফিররূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল মু‘মিনরূপে জন্মগ্রহণ করেছে, মু‘মিনরূপে জীবন কাটিয়েছে কিন্তু কাফিররূপে তার মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, কাফিররূপে জন্ম লাভ করেছে, কাফিররূপেই জীবন কাটিয়েছে কিন্তু মু‘মিনরূপে মৃত্যুবরণ করেছে।
শুনে রাখ, মানুষের মধ্যে কেউ তো এমন আছে যার দেরীতে রাগ আসে আর তাড়াতাড়ি তা প্রশমিত হয়ে যায়, কেউ তো আছে যার ক্রোধ আসেও তাড়াতাড়ি আবার তা প্রশমিতও হয় তাড়াতাড়ি। সুতরাং উহার পরিবর্তে ইহা।
শোন, কেউ তো আছে এমন যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমিত হয় দেরীতে। শোন, তাদের মধ্যে উত্তম হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় দেরীতে প্রশমন হয় তাড়াতাড়ি। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমন হয় দেরীতে।
শোন, মানুষের মাঝে কেউ তো এমন আছে যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সে সুন্দর আবার তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও সে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে খারাপ কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে তো সুন্দর কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। সুতরাং এ ক্ষেত্রে একটি আরেকটির বদলা হয়ে যায়। শোন, কেউ তো হল এমন, পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও অভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সর্বোত্তম হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সুন্দর এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও ভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। শোন, ক্রোধ হল মানুষের মনের এক অগ্নি স্ফুলিঙ্গ। তোমরা কি দেখনি, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির চক্ষু লাল হয়ে যায়, তার রগ ফুলে উঠে তোমাদের কেউ যদি এ ধরণের কিছু টের পায় তাহলে সে যেন মাটির সাথে লেপটে যায়। রাবী বলেনঃ আমরা সূর্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম এখনও (অস্ত যেতে) কিছু বাকী আছে কিনা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দুনিয়ার যাতটুকু অতীত হয়ে গেছে সে হিসাবে এতটুকুও আর বাকী নাই যেটুকু আজকের দিনের বাকী আছে যা অতিবাহিত হয়েছে সে তুলনায়।
আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ (জামে' তিরমিযী)
হাদীস নং: ২১৯১ আন্তর্জাতিক নং: ২১৯১
বর্ণনাকারীঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)(মৃত্যুঃ ৭৪ হিজরী)
হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/31836
হাদীসের শাস্ত্রীয় আলোচনাঃ
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
এ বিষয়ে মুগিরা ইবনে শু‘বা, আবু যায়েদ ইবনে আকতব, হুযাইফা ও আবু মারয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। তারা উল্লেখ করেন যে, নবী (ﷺ) কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে তাদের বর্ণনা করেছিলেন।
باب {وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا}
6604 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «لَقَدْ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةً، مَا تَرَكَ فِيهَا شَيْئًا إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلَّا ذَكَرَهُ» ، عَلِمَهُ مَنْ عَلِمَهُ وَجَهِلَهُ مَنْ جَهِلَهُ، إِنْ كُنْتُ لَأَرَى الشَّيْءَ قَدْ نَسِيتُ، فَأَعْرِفُ مَا يَعْرِفُ الرَّجُلُ إِذَا غَابَ عَنْهُ فَرَآهُ فَعَرَفَهُ
৬১৫১। মুসা ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) (একদা) আমাদের মাঝে এমন একটি বক্তব্য প্রদান করলেন, যাতে কিয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে এমন কোন কথাই বাদ দেননি। এগুলি স্মরণ রাখা যার সৌভাগ্য হয়েছে সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গিয়েছে। আমি ভুলে যাওয়া কোন কিছু যখন দেখতে পাই, তখন তা চিনে নিতে পারি এভাবে যেমন, কোন ব্যক্তি কাউকে হারিয়ে ফেললে আবার যখন তাকে দেখতে পায় তখন চিনতে পারে।
আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ (সহীহ বুখারী)
হাদীস নং: ৬১৫১ আন্তর্জাতিক নং: ৬৬০৪
তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
বর্ণনাকারীঃ হযরত হুযায়ফা রাযি(মৃত্যুঃ ৩৫ হিজরী)
হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/6151
بَابُ إِخْبَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، كَانَ يَقُولُ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ وَمَا بِي إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسَرَّ إِلَىَّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يُحَدِّثْهُ غَيْرِي وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ عَنِ الْفِتَنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ " مِنْهُنَّ ثَلاَثٌ لاَ يَكَدْنَ يَذَرْنَ شَيْئًا وَمِنْهُنَّ فِتَنٌ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ " . قَالَ حُذَيْفَةُ فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي .
৬৯৯৮। হারমালা ইবনে ইয়াহয়া তুজিবী (রাহঃ) ......... আবু ইদরীস খাওলানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) বলেন, আমার ও কিয়ামত সংঘটিত হবার সময়কালের মাঝে ঘটমান ফিতনা সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তুত বিষয়টি এমন নয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্যদের নিকট বর্ণনা না করে কেবল আমার নিকটই এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক মজলিসে আমি ছিলাম। এতে তিনি ফিতনা সম্পর্কে বর্ণনা করছিলেন এবং গুণে গুণে বর্ণনা করছিলেন। এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছুকেই অব্যাহতি দিবে না। এর কতেকটি গ্রীষ্মের (ঝাঞ্ঝা) বায়ুর ন্যায়। আবার কতেকটি ছোট এবং কয়েকটি বড়। হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, মজলিসে উপস্থিত লোকদের আমি ব্যতীত অন্য সকলেই এ পৃথিবী হতে চির বিদায় গ্রহণ করেছেন।
আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ৬৯৯৮
তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
বর্ণনাকারীঃ আবু ইদরীস খাওলানী (রহঃ)(মৃত্যুঃ ৮০ হিজরী)
হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/14047
بَابُ إِخْبَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَامًا مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ حَدَّثَ بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ قَدْ عَلِمَهُ أَصْحَابِي هَؤُلاَءِ وَإِنَّهُ لَيَكُونُ مِنْهُ الشَّىْءُ قَدْ نَسِيتُهُ فَأَرَاهُ فَأَذْكُرُهُ كَمَا يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إِذَا غَابَ عَنْهُ ثُمَّ إِذَا رَآهُ عَرَفَهُ .
পরিচ্ছেদঃ ৬. কিয়ামত পর্যন্ত ঘটিতব্য বিষয়াদি সম্পর্কে নবীজী (ﷺ) এর খবর প্রদান করা।
৬৯৯৯। উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত ঘটমান সমস্ত ফিতনার কথাই বর্ণনা করলেন। অতঃপর যে স্মরণ রাখবার সে স্মরণ রাখল এবং যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেল। তিনি বলেন, আমার এই সাথীগণ জানেন যে, এর কতিপয় বিষয় এমন আছে, যা আমি ভুলে গিয়েছি। কিন্তু তা সংঘটিত হতে দেখে আমার তা পূনরায় স্মরণ হয়ে যায়। বিষয়টি ঠিক তদ্রূপ যেমন এক ব্যক্তি কোন ব্যক্তির চেহারা দেখে, অতঃপর সে তার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবার পর পুনরায় দেখে সে তাকে চিনে নেয়।
আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ৬৯৯৯
তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
বর্ণনাকারীঃ হযরত হুযায়ফা রাযি(মৃত্যুঃ ৩৫ হিজরী)
হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/14048
باب فِي الآيَاتِ الَّتِي تَكُونُ قَبْلَ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ، حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غُرْفَةٍ وَنَحْنُ أَسْفَلَ مِنْهُ فَاطَّلَعَ إِلَيْنَا فَقَالَ " مَا تَذْكُرُونَ " . قُلْنَا السَّاعَةَ . قَالَ " إِنَّ السَّاعَةَ لاَ تَكُونُ حَتَّى تَكُونَ عَشْرُ آيَاتٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَالدُّخَانُ وَالدَّجَّالُ وَدَابَّةُ الأَرْضِ وَيَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَطُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنَارٌ تَخْرُجُ مِنْ قُعْرَةِ عَدَنٍ تَرْحَلُ النَّاسَ " . قَالَ شُعْبَةُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ . مِثْلَ ذَلِكَ لاَ يَذْكُرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ أَحَدُهُمَا فِي الْعَاشِرَةِ نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ الآخَرُ وَرِيحٌ تُلْقِي النَّاسَ فِي الْبَحْرِ .
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কিয়ামতের পূর্বে যে সব আলামত দেখা দিবে
৭০২২। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আনবারী (রাহঃ) ......... আবু সারীহা হুযাইফা ইবনে আসী’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) একটি কামরার ভেতর ছিলেন। তখন আমরা তাঁর থেকে একটু নীচু স্থানে ছিলাম। তখন তিনি আমাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, তোমরা কি আলোচনা করছিলে। আমরা বললাম, কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষণ না দশটি নিদর্শন প্রকাশিত হবে। পূর্ব দিগন্তে ভূমি ধস, পশ্চিম অঞ্চলে ভূমি ধস, আরব উপদ্বীপে ভূমি ধস, ধুম্র, দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরদ, ইয়াযুয-মা'জুজ, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া এবং সর্বশেষ আদন এর গর্ত হতে অগ্নি প্রকাশিত হওয়া যা লোকদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। শু’বা (রাহঃ) বলেন, ......... আবু সারীহা থেকে ......... অনুরূপ। তবে এতেনবী (ﷺ) উল্লেখ করেন, দশম নিদর্শন হিসাবে একজন ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর অবতরণের কথা বলেছেন, অন্যজন বলেছেন যে, এমন ঝঞ্ঝা বায়ু (প্রবাহিত হবে), যা লোকদেরকে সমুদ্রের মধ্যে নিক্ষেপ করবে।
আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ৭০২২
তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
বর্ণনাকারীঃ আবু সারীহা হুযায়ফা ইবনে আসীদ (রাঃ)
হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/14071
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৪২১২৬
একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা : হে আলী! পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না...
২ অক্টোবর, ২০২৩
Narun

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
২৯৬২৭
মিরাজ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য কি এনেছিলেন ?
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে