আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অজু ভঙ্গের কারণসমূহ

প্রশ্নঃ ৪৪০২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি? একটু বলবেন!,

৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মৌলিকভাবে অজু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

এক. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি।
হিদায়াহ-১/৭

ইরশাদ হয়েছে, ‌তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসলে (নামাজ পড়তে পবিত্রতা অর্জন করে নাও)
সুরা মায়িদা-৬
হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শরীর থেকে যা কিছু বের হয়, তার কারণে অজু ভেঙে যায়...।
সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি, হাদিস নং-৫৬৮

দুই. রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।
হিদায়াহ-১/১০

হজরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.)-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে নিতেন।
মুয়াত্তা মালিক-১১০

তিন. মুখ ভরে বমি করা।

হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নিবে।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১২২১

চার. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।

হাসান বসরি রহ. বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার ওপর অজু করা আবশ্যক হয় না।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং-১৩৩০

পাঁচ. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা চিৎ বা কাৎ হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে]
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৩১৫,
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২০২

ছয়. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।

হজরত হাম্মাদ (রহ.) বলেন, যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্ হয়, তখন নামাজের জন্য তার অজু করতে হবে।
মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-৪৯৩

সাত. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে।

হজরত ইমরান বিন হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাজে উচ্চস্বরে হাসে, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে। হজরত হাসান বিন কুতাইবা (রহ.) বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসি দেয়, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে।
সুনানে দারা কুতনি, হাদিস নং-৬১২

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৮৬৪৫

অজুর সময় কি মাথার খোঁপা খোলা জরুরী?


১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

VP৪M+XGH

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৭২৮৭

নারীস্পর্শের কারণে কি অজু ভেঙ্গে যায়?


৭ জানুয়ারী, ২০২৩

Cape Town

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩১৮১৮

রক্ত দান করলে রোজা এবং অজুর বিধান


৩১ মার্চ, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫৬২৯

গোসলের পর অজু করা লাগবে?


২২ নভেম্বর, ২০২২

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy