আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মাসেহের সময় কি নতুন পানি নিতে হবে?

প্রশ্নঃ ৩৫২৮৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাথা মাসেহ করার জন্য নতুন পানি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। দ্রতো জানিয়ে বাধিত করবেন,

২৪ জুন, ২০২৩

চর ফ্যাশন

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নতুন পানি না নিয়ে হাতে লেগে থাকা পানি দিয়ে মাথা মাসেহ করা জায়েজ আছে। তবে নতুন পানি নিয়ে মাথা মাসেহ করা উত্তম।

মূলত মাথা মাসেহের সময় নতুন পানি নেয়ার ব্যাপারে হাদীস শরীফে দুই ধরণের রেওয়ায়েত পাওয়া যায়। এক হাদীসে আছে,
،فغسل يديه إلى المرفقين مرتين مرتين، ثم أدخل يده في الإناء فمسح برأسه

অর্থ: উভয় হাত কনুই পর্যন্ত দু’–দু’বার ধুলেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন। তাঁর মাথা হাত দিয়ে সামনে এবং পেছনে মাসাহ করলেন। বুখারী শরীফ, ১৯২

এই হাদীসে নতুন পানি নেওয়ার কথা পাওয়া যায়। আর আরেকটি হাদীস লক্ষ্য করুন,

عن الرُّبيِّع: أنَّ النبيّ - صلى الله عليه وسلم -مسحَ برأسِهِ مِن فَضْلِ ماءٍ كانَ في يَدِهِ (1).

অর্থ: রুবাই (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) তাঁর হাতের অতিরিক্ত পানি দ্বারা মাথা মাসাহ্ করেন। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩০

এই হাদীসে হাতের অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু করার কথা বর্ণিত হয়েছে। তাই মাথা মাসেহের সময় নতুন পানি নিতে হবে কীনা এ বিষয়ে উম্মতের ফকীহ ওলামায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে। হযরত হাকেম শাহীদ রহ. বলেন, মাথা মাসেহের সময় নতুন পানি নিতে হবে। কারণ, কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়ার পর যেই পানি গুলো হাতে লেগে আছে, তা ব্যবহৃত পানি। আর ব্যবহৃত পানি দিয়ে অযু করা জায়েজ নেই।

কিন্তু অন্য অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম লেখেন, কোনো অঙ্গ থেকে পানি আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তা ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হয়। শরীর থেকে পানি আলাদা হ‌ওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহৃত পানি বলা যাবে না। এখানে যেহেতু হাতের পানি গুলো শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায় নাই, তাই এগুলো ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে না। সুতরাং ঐ পানি দিয়ে মাথা মাসেহ করা জায়েজ হবে।

তবে মতভেদ পূর্ণ মাস‌আলায় এমনভাবে আমল করা উচিত যাতে আর কোনো সন্দেহ না থাকে। যদি এই জায়গায় নতুন পানি দিয়ে মাসেহ করা হয়, তাহলে মাসেহ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।

عن الربیع بنت معوذ رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم مسح برأسه من فضل ماء كان في يده…………. قد اختلف اصحابنا في هذه الصورة فذكر الحاكم الشهيد أنه لا يجوز لأن الباقي في اليد بعد الغسل ماء مستعمل فلا يجوز به المسح والجمهور ومنهم الشارح على تخطيته.(السعاية في شرح الوقاية ٧٥/١كتاب الطهارة،الطبعة قديمة)

حاشیہ امدادالفتاوی جدید ایڈیشن
یعنی نیا پانی لے کر سر کا مسح کرنا چاہئے، ہاتھ دھونے کے بعد جو تری بچی ہے، اس سے مسح جائز ہونے میں اختلاف ہے۔ حاکم شہید جائز قرار نہیں دیتے اور جمہور جائز کہتے ہیں ، مولانا لکھنؤیؒ نے (سعایہ، مکتبہ اشرفیہ دیوبند ۱/ ۷۶) میں بحث وتمحیص کے بعد مسئلہ کی دو صورتیں کی ہیں : (۱) اول: ہاتھوں کے ذریعہ کسی عضو کو دھونے کے بعد ہاتھوں میں بچی ہوئی تری۔ (۲) دوم: ہاتھوں سے کسی عضو پر پانی ڈالنے کے بعد ہاتھوں میں بچی ہوئی تری۔ پہلی قسم کی تری سے سر اور موزوں کا مسح جائز نہیں ہے؛ کیوں کہ وہ تری مغسول عوض سے لی گئی ہے، اس لئے وہ ’’ماء مستعمل‘‘ ہے۔ اور دوسری قسم کی تری سے مسح کرنا جائز ہے؛ اس لئے کہ ہاتھ کسی مغسول عضو سے نہیں ملے ہیں ؛ اس لئے وہ تری ’’ماء مستعمل‘‘ نہیں ہے۔ واﷲ اعلم ۱۲

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৮৬৪৫

অজুর সময় কি মাথার খোঁপা খোলা জরুরী?


১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

VP৪M+XGH

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৫৬২৯

গোসলের পর অজু করা লাগবে?


২২ নভেম্বর, ২০২২

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৪৩৪

এমনিতে বীর্যপাত হলে রোজা ও নামাযের বিধান


৬ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৭১৮৮

সিজদায় ঘুমের ভাব আসলে অজু ভঙ্গ হবে কি?


৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy