و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি ঠিকই বলেছেন। নিচের ৩নং শর্তের আলোকে বিষয় প্রমাণিত। তবে সেক্ষেত্রে কেবল পুরুষের নামাজ ফাসেদ হবে। নারীর নয়। সাথে সাথে নিম্নোক্ত শর্তগুলোও পাওয়া যেতে হবে। কোনো একটি শর্ত যদি পাওয়া না যায় তাহলে নামাজ নষ্ট হবে না।

বিস্তারিত দেখুন।
“নারী-পুরুষ একত্রে নামায পড়ার অর্থ হলো, নামাযের সময় নারী-পুরুষ উভয়ে একই কাতারে দাঁড়ানো। শরীয়তের পরিভাষায় এই এই মাসয়ালাকে “মুহাজাত এর মাসয়ালা” বলা হয়।
যদি কোন পুরুষ কোন নারীর ডানে, বামে বা পিছনে নামায পড়ে এবং সেখানে নিম্নোক্ত শর্তগুলোও পাওয়া যায়, তাহলে পুরুষের নামায বাতিল হয়ে যাবে, সেই শর্তগুলো হল:
(১) সেই মহিলাকে মুশতাহাত হতে হবে। অর্থাৎ তার বয়স নুন্যতম এতটুকু হতে হবে, যে বয়সে মেয়েরা সহবাসের উপযোগী হয় বা সে কমণীয় হয়। সে প্রাপ্তবয়স্ক হোক বা না হোক, বৃদ্ধ হোক বা মাহরাম হোক বা গায়ের মাহরাম হোক। সবার ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য হবে।
(২) উভয়েরই নামাজে থাকতে হবে। অর্থাৎ এমন নয় যে, একজন নামাযে আছে আর অন্যজন নামাজের বাইরে (এমনিতেই বসে আছে)।
(৩) পুরুষের পায়ের গোড়ালি, টাখনু বা তার শরীরের যে কোনো অংশ নারীর কোনো অঙ্গের বরাবর থাকতে হবে।
(৪) এই অবস্থা এক রোকন (তিন তাসবীহ পড়ার মতো সময়) পর্যন্ত থাকতে হবে।
(৫) সমানভাবে দাঁড়ানোর এই অবস্থা সাধারণ নামাজের মধ্যে পাওয়া যেতে হবে।জানাজার নামাজের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না।
(৬) উভয়ের সালাত একই ধরণের হতে হবে। অর্থাৎ নারী পুরুষ উভয়েই একই ইমামের ইক্তেদায় নামাজ আদায় করা অবস্থায় হতে হবে।
(৭) তাদের উভয়ের জন্য তাহরীমা এক হতে হবে।অর্থাৎ মহিলা ওই পুরুষের ইক্তেদা করছে বা উভয়েই তৃতীয় কোনো ইমামের ইক্তেদা করছে-এমন হতে হবে।
(৮)মহিলার মধ্যে নামাজ সহিহ হওয়ার মত অবস্থা থাকতে হবে। অর্থা তিনি ঋতুবতী, প্রসূতী বা উন্মাদ না হতে হবে।
(৯) নারী-পুরুষের নামাযের স্থান স্তরের দিক থেকে সমান হতে হবে। অর্থাৎ পুরুষ যেখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে সেই জায়গাটা নারীর মাথার চেয়েও উচুস্থানে- এমন না হতে হবে।
(১০) উভয়ের মধ্যে কোন বাধা না থাকতে হবে। অর্থাৎ উভয়ের মাঝে এক আঙ্গুলের মত মোটা এবং সোতরার সমান উঁচু কোনো পর্দা বা একজন মানুষ দাঁড়ানোর মতো দূরত্ব না থাকতে হবে।
(১১) পুরুষ লোকটি তার কাছে দাঁড়ানো মহিলাকে সেখানে না দাঁড়ানোর জন্য ইশারায় নিষেধ করেনি- এমন হতে হবে। যদি ইশারায়ও নিষেধ করে থাকেন কিন্তু মহিলা নিষেধাজ্ঞায় ভ্রুক্ষেপ না করে সেখানে দাঁড়ায় তাহলে এর কারণে পুরুষের নামাজ ভঙ্গ হবে না।
(১২) এবং ইমাম সাহেব পুরুষের বরাবর দাঁড়ানো মহিলার ইমামতির নিয়তকারী হতে হবে।

উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হলে একজন নারীর কারণে তিনজন পুরুষের (ডানপাশে একজন পুরুষ এবং বামপাশে একজন পুরুষ এবং বরাবর পিছনে দাঁড়ানো পুরুষ ব্যক্তির) নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।

"محاذاة المرأة الرجل مفسدة لصلاته ولها شرائط:
(منها) أن تكون المحاذية مشتهاةً تصلح للجماع ولا عبرة للسن وهو الأصح .... (ومنها) أن تكون الصلاة مطلقةً وهي التي لها ركوع وسجود.... (ومنها) أن تكون الصلاة مشتركةً تحريمةً وأداءً .... (ومنها) أن يكونا في مكان واحد...(ومنها) أن يكونا بلا حائل ... وأدنى الحائل قدر مؤخر الرحل وغلظه غلظ الأصبع والفرجة تقوم مقام الحائل وأدناه قدر ما يقوم فيه الرجل، كذا في التبيين. (ومنها) أن تكون ممن تصح منها الصلاة.... (ومنها) أن ينوي الإمام إمامتها أو إمامة النساء وقت الشروع ... (ومنها) أن تكون المحاذاة في ركن كامل.... (ومنها) أن تكون جهتهما متحدة ..... ثم المرأة الواحدة تفسد صلاة ثلاثة واحد عن يمينها وآخر عن يسارها وآخر خلفها ولا تفسد أكثر من ذلك. هكذا في التبيين.وعليه الفتوى. كذا في التتارخانية والمرأتان صلاة أربعة واحد عن يمينهما وآخر عن يسارهما واثنان خلفهما بحذائهما ،وإن كن ثلاثا أفسدت صلاة واحد عن يمينهن وآخر عن يسارهن وثلاثة خلفهن إلى آخر الصفوف وهذا جواب الظاهر. هكذا في التبيين (1/ 89، کتاب الصلاۃ، الباب الخامس فی الامامہ، الفصل الخامس فی بیان مقام الامام والماموم، ط:رشیدیہ)
(حاشیہ الطحطاوی علی مراقی الفلاح، ص: 329، باب مایفسد الصلاۃ، ط: قدیمی)
(شامی، 1/572، کتاب الصلاۃ ،باب الامامہ،ط: سعید) فقط واللہ اعلم
https://www.banuri.edu.pk ফতোয়া নং 144008200729
দারুল উলুম দেওবন্দ: https://darulifta-deoband.com/home/ur/salah-prayer/62342

والله اعلم بالصواب