প্রশ্নঃ ৪১৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আচ্ছালামু আ'লাইকুম, ১. কোনো ব্যক্তি ২০১৪ সালে রমজানের ২টি রোজা ২০১৫ সালে রমজানের ৫টি রোজা ২০১৬ সালে ৩ টি রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেলেছে। এখন কাফফারা কি ১টি রাখবে নাকি ৩টি রাখবে? ( রোজা খেয়ে ভেঙ্গেছে)২. ফরয রোজা রেখে হস্তমৈথূন করলে কি কাফফারা আদায় করবে নাকি কাযা?৩. কোনো ব্যক্তি বালেগ হওয়ার পর ফরজ গোসল সম্পর্কে না জানায় সেভাবেই ফরজ রোজা রেখেছে এখন প্রশ্ন হচ্ছে তার কি রোজা সহীহ হয়েছে?
৭ জানুয়ারী, ২০২১
Dhaka 1212
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. একটি "কাফফারাহ" তথা লাগাতার ৬০টি রোযা রাখতে হবে।
২. কাযা।
৩. গোসল ফরজ অবস্থায় রোযা রাখা হলে রোযা হয়ে যায়।
নামায পড়লে এ অবস্থায় নামায হবে না।
وُجُوبُ الْكَفَّارَةِ بِتَعَمُّدِ الأَْكْل وَالشُّرْبِ وَنَحْوِهِمَا فِي نَهَارِ رَمَضَانَ.
وَإِلَيْهِ ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ (1) ، وَالْمَالِكِيَّةُ (2) ، وَبِهِ قَال عَطَاءٌ وَالْحَسَنُ وَالزُّهْرِيُّ وَالثَّوْرِيُّ وَالأَْوْزَاعِيُّ وَإِسْحَاقُ وَأَبُو ثَوْرٍ (3) .
وَاسْتَدَلُّوا بِمَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلاً أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ فَأَمَرَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً (4) .
وَبِمَا رُوِيَ مِنْ قَوْل الرَّسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مُتَعَمِّدًا فَعَلَيْهِ مَا عَلَى الْمُظَاهِرِ (5) .
আল মাওসূআ আল ফিক্বহিয়্যাহ
عَدَمُ وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ بِالإِْنْزَال بِالْمُبَاشَرَةِ فِيمَا دُونَ الْفَرْجِ.
وَإِلَيْهِ ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ (5) ، وَالشَّافِعِيَّةُ (6) ،
আল মাওসূআ আল ফিক্বহিয়্যাহ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي حِينَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ح و حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ وَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّعَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكُرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَ كَذَلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَهُنَّ أَعْلَمُ وَقَالَ هَمَّامٌ وَابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ النَّبِيُّ يَأْمُرُ بِالْفِطْرِ وَالأَوَّلُ أَسْنَدُ
আবূ বাকর ইব্নু আব্দুর রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা আয়িশাহ (রাঃ) এবং উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহঃ)... মারওয়ান (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, আয়িশাহ (রাঃ) এবং উম্মু সালামাহ (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর ফাজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহঃ) ‘আবদুর রাহমান ইব্নু হারিস (রহঃ)-কে বললেন, আল্লাহ্র শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহঃ) মাদীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বাকর (রহঃ) বলেন, মারওয়ান এর কথা আবদুর রাহমান (রহঃ) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর একখণ্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। হাম্মাম (রহঃ) এবং ইব্নু ‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পরিত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক হতে বিশুদ্ধ।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯২৬
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১