আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আশুরার রোজা

প্রশ্নঃ ৩৬৮৯৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনাব উলামা হযরত,,,,,, আমরা আশুরা রোজা সম্পর্কে 9,,10 অথবা 10,,,11 রোজা রাখার কথা বলে থাকি । আমার জানার বিষয় হলো যে 11 তারিখ রোজা রাখা সহীহ হাদীস দ্বারা কতটা প্রমাণিত আশাকরি হাদীসের ইবারত সহ পোস্ট করবেন । তবে 11 তারিখ এর ব্যাপারে একাধিক হাদীস পেলে উপকৃত হতাম । মানুষ কে বোঝানোর সুযোগ থাকতো বলেই মনে হয় ।,

২৯ জুলাই, ২০২৩

West Bengal ৭৪৩৩৯৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মহররম মাসের রোজার মধ্যে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রোজা হলো আশুরার রোজা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
আশুরার রোজা মূলত ১০ই মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সাথে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদীসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا
তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ২০৯৫)

অন্য বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’
তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসাবেই গণ্য হবে। তবে হাদীসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন, তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বিধর্মীরা তো এই দিনটিকে বড় দিন মনে করে। এই দিনে তারাও রোজা পালন করে। আমরা যদি এই দিনে রোজা রাখি তাহলে তো তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে। তাদের প্রশ্নের জবাবে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন (তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা পালন করে), আগত বছর ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে দুই দিন রোজা পালন করব, ইনশাআল্লাহ। (মুসলিম: ১১৩৪)

অন্য বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)

উপরোক্ত হাদিসগুলোর আলোকে প্রমাণিত হয় যে আশুরার রোজা হবে দুটি—মহররমের ১০ তারিখ আর ৯ তারিখ অথবা ১১ তারিখ আরো একটি।

সূত্র: ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪১৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৫

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন
মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫৮৮০৮

একটি ভুল মাসআলা: রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে কি রোযা ভেঙে যায়?


২৬ মার্চ, ২০২৪

৭G৪V+২৪W

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৪৯৬

যেসকল কারণে রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুনামগঞ্জ, Chittagong, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩২৩৬৬

সাহরি ও আযানের মধ্যবর্তী সময়ে কিছু খাওয়া যাবে কি?


১০ এপ্রিল, ২০২৩

মুন্সিগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৪২৬

ফজরের আজানের পর ঘুম ভাঙ্গলে রোজা রাখার নিয়ম


৬ এপ্রিল, ২০২৩

R৬VH+PGV

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy