গুনাহগার উম্মত কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী?
প্রশ্নঃ ৪০৬৫৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের এলাকায় এক জন নতুন ইমাম আসছে, তিনি বলে যে যারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে সে তারা আর জাহান্নাম থেকে বের হবে না যদিও সে মুসলিম/মুনিন হয়। কিন্তু আমরা তো এত দিন জানতাম, যে শুধু কাফেররাই চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে, মুমিন কখনো চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। সে বলে কোরআনে কোথাও নাই, যে জাহান্নামে গেলে ফিরে আসবে। সে বলে যে আপনার একটি আয়াত দেখান যেখানে বলা হয়েছে জাহান্নামে গেলে মুসলিম হলে বের হবে। আর বুখারী বা আরো যেসব কিতাবে বলা হয়েছে, সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান থাকে তাহলে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে সে সব হাদিস কোরআনের খেলাফ আর কোরআনের খেলাফ কথা রাসুল বলতে পারেন না। . তাই আমার জানার বিষয় হল যে, মুসলমান যদি জাহান্নামে যায় তাহলে জাহান্নাম থেকে বের হবে এরকম কোন আয়াত আছে কি না? আর যদি না তাকে তাহলে সেসব আয়াতের ব্যাখ্যা কি?,
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনার প্রশ্ন থেকে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে আপনার মসজিদের ইমাম সাহেব আহলে কুরআন গোষ্ঠির অনুসারী কি না। তারা বলে শুধু কুরআন মানবে। হাদিস মানবে না। অথচা হাদিস না মানলে কুরআন মানাও অসম্ভব। কেননা এই কুরআনই যে আল্লাহ তায়ালার নাজিলকৃত কুরআন তা আমরা হাদিসের মাধ্যমেই জেনেছি। তাই যারা হাদিস অস্বীকার করে শরীয়তের পরিভাষায় তদের মুনকিরিনে হাদিস বলে। মূলত তারা হাদিস অস্বীকারের মাধ্যমে পুরো ইসলাম ধর্মের ভেতরেই সন্দেহ সৃষ্টি করে দিতে চায়। উম্মতে মুসলিমার ওলামায়ে কেরাম আদিকাল থেকেই এই ভ্রান্ত ফেরকার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। এখনও আছেন। সম্প্রতি তাদের এক চেলা মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী সাহেবের সাথে ডিবেইট করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়েছে। তাই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যদি বাস্তবেই সে আহলে কুরআন হয়ে থাকে তাহেল স্থানীয় ওলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কাল বিলম্ব করবেন না।
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেখুন।
কুরআনে কারীমে ঈমানদার গোনাহগারের জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট শব্দে না আসলেও ইঙ্গিতবহ শব্দে এসেছে। যেমন:
فَأَمَّا الَّذِينَ شَقُوا فَفِي النَّارِ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ [١١:١٠٦]
خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ إِلَّا مَا شَاءَ رَبُّكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ [١١:١٠٧]
অতএব যারা হতভাগ্য তারা দোযখে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন। [সূরা হুদ-১০৬-১০৭]
দেখুন এ আয়াতে জাহান্নামীদের বিষয়ে বলা হচ্ছে যে, তারা জাহান্নামে দীর্ঘদিন থাকবে। তবে আল্লাহ তাআলা যখন ভিন্ন কিছু তথা তাদের মুক্তির ইচ্ছা করবেন তখন তিনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। এর মানে জাহান্নামীরা আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তিও পেতে পারে।
এ আয়াতের তাফসীরে জাহহাক রহঃ, ক্বাতাদা রহঃ, ইবনে আব্বাস রাঃ এবং হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত যে, এ আয়াতে যাদের ইচ্ছে জাহান্নাম থেকে আল্লাহ তাআলা বের করবেন বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো একত্ববাদে বিশ্বাসী গোনাহগার বান্দাগণ। যাদেরকে আল্লাহ তাআলা সুপারিশকারীদের সুপারিশের ভিত্তিতে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। [তাফসীরে ইবনে কাসীর-৪/৩৫১]
فقد ورد عن بعض السلف كالضَّحَّاكِ ، وَقَتَادَةَ ، وروي عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، وَالْحَسَنِ : أن الِاسْتِثْنَاءَ عَائِدٌ عَلَى العُصاة مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ ، مِمَّنْ يُخْرِجُهُمُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَةِ الشافعين
تفسير ابن كثير 4/351
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا [٤:١١٦]
নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। [সূরা নিসা-১১৬]
এ আয়াতেও পরিস্কার এসেছে যে, একমাত্র মুশরিকদের আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন না। আর যারা শিরক না করে তথা কাফের না হয়, তাদের ইচ্ছে করলেই ক্ষমা করে দিবেন।
এ আয়াত দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, একমাত্র শিরক কুফরকারী ব্যক্তি ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে জান্নাতে যেতে পারবে না। কিন্তু শিরক ও কুফর না করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আর আমরা জানি যে, হাদীস হলো কুরআনের ব্যাখ্যা। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে:
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
তিনি নিজ খেয়াল খুশি থেকে কিছু বলেন না, এটাতো খালেস ওহী যা তার কাছে পাঠানো হয়। [সূরা নজম-৩-৪]
নবীজীর কথা মানার অর্থ হলো কুরআনকেই মান্য করা।
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥٩:٧]
রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। [সূরা হাশর-৭]
যেহেতু কুরআনের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা হাদীস। আর হাদীস তথা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নির্দেশনা মুতাবিকই কথা বলে থাকেন। তাই এ বিষয়ে বিশুদ্ধ হাদীসে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে সেটা বিশ্বাস করাও প্রতিটি কুরআন বিশ্বাসীর জন্য আবশ্যক।
হাদীসে এসেছে:
عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ شَعِيرَةٍ مِنْ خَيْرٍ، وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ بُرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ، وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ ”. قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَبَانُ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ حَدَّثَنَا أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ” مِنْ إِيمَانٍ ”. مَكَانَ ” مِنْ خَيْرٍ ”
আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে আর তার অন্তরে একটি যব পরিমাণও পুণ্য বিদ্যমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে এবং যে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি গম পরিমাণও পুণ্য বিদ্যমান থাকবে তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে এবং যে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি অণু পরিমাণও নেকী থাকবে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে।
আবূ ‘আবদুল্লাহ বলেন, আবান (রহ.) বর্ণনা করেছেন, আনাস (রাযি.) হতে এবং তিনি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে নেকী -এর স্থলে ‘ঈমান’ শব্দটি রিওয়ায়াত করেছেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৯৩]
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَأَخْبَرَنِي أَوْ قَالَ بَشَّرَنِي أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ
আবূ যার্ (গিফারী) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন আগন্তুক [জিবরীল (আঃ)] আমার প্রতিপালকের নিকট হতে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেন : যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১২৩৭]
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يُعَذَّبُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ فِي النَّارِ حَتَّى يَكُونُوا فِيهَا حُمَمًا ثُمَّ تُدْرِكُهُمُ الرَّحْمَةُ فَيُخْرَجُونَ وَيُطْرَحُونَ عَلَى أَبْوَابِ الْجَنَّةِ . قَالَ فَيَرُشُّ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْمَاءَ فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ الْغُثَاءُ فِي حِمَالَةِ السَّيْلِ ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ
জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিছু তাওহীদবাদী লোককেও জাহান্নামের শাস্তি প্রদান করা হবে। এমনকি তারা তাতে পুড়তে পুড়তে কয়লার মতো হয়ে যাবে। তারপর আল্লাহ তা’আলার রহমতে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং জান্নাতের দরজায় নিক্ষেপ করা হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতে বসবাসকারীরা তাদের উপর পানি ছিটিয়ে দিবে। যার ফলে তারা সজীব হয়ে যাবে যেমনটি বন্যার স্রোত চলে যাবার পর মাটিতে উদ্ভিদ গজায়। তারপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। [জামে তিরমিজী, হাদীস নং-২৫৯৭]
হাদীসটি সহীহ।
وأهل الكبائر من أمة محمد صلى الله عليه وسلم فى النار لا يخلدون إذا ماتوا وهم موحدون….. وإن شاء عذبهم فى النار بعد له، ثم يخرجهم منها برحمته وشفاعة الشافعين من أهل طاعته، ثم يبعثهم إلى جنته (شرح العقيدة الطواوية، دار الكتب العلمية0369-370(
উম্মতে মুহাম্মদীর মাঝে কবীরা গোনাহকারীরা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে না যদি মৃত্যুর সময় একত্ববাদে বিশ্বাসী থাকে। আল্লাহ চাইলে তাদের শাস্তি প্রদান করবেন। তারপর আল্লাহর রহমাত এবং আল্লাহর আনুগত্যশীল সুপারিশকারীগণের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। তারপর তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। [শরহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যাহ৩৬৯-৩৭০]
উপরোক্ত কুরআনের আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীস এবং আকীদার গ্রন্থাবলীর আলোকে এটা স্বীকৃত আকীদা যে, একত্ববাদী মুসলিম গোনাহগার বান্দা আপন গোনাহের কারণে জাহান্নামে তার গোনাহ মুতাবিক শাস্তি পাবে। তারপর আল্লাহর রহমত এবং সুপারিশগণের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তি পাবে।
মুসলমান জাহান্নামী জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে না। কেবলমাত্র কাফের জাহান্নামীরা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে। কুরআনে যতস্থানে চিরস্থায়ী জাহান্নামের কথা আসছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য কাফেররা। ঈমানদারগণ নয়।
-শায়েখ মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
والله اعلم بالصواب
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
১১৪৯০
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১
বাইপাইল

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
৩১০৪৫
গাউছুল আজম এর সম্পর্কে কুরআনে কোনো আয়াত আছে?
২০ মার্চ, ২০২৩
Dubai, Dubai, Dubai, United Arab Emirates

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে