আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কোনো মানুষ কি কবরের আযাব বন্ধ করতে পারে ?

প্রশ্নঃ ২৭০৪৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোনো মানুষ কি পারে কবরের আযাব বন্ধ করতে। যেমন ধরেন, পীর।,

৩ জানুয়ারী, ২০২৩

দেবিদ্বার

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কোনো মানুষ কবরের আযাব বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে না। এরকম বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ হারাম। এটি কুফুরী বিশ্বাস। কবরের আযাব দেয়া,মাফ করা এসবই একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। স্বয়ং নবীজী (ﷺ) আল্লাহর নিকট কবরের আযাব হতে পানাহ চেয়েছেন।

কুরআন থেকেঃ

সূরাঃ ফাত্বির - আয়াত নংঃ ২২

وَمَا یَسۡتَوِی الۡاَحۡیَآءُ وَلَا الۡاَمۡوَاتُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُسۡمِعُ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَمَاۤ اَنۡتَ بِمُسۡمِعٍ مَّنۡ فِی الۡقُبُوۡرِ

অর্থঃ

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ্ই যাকে ইচ্ছা শোনান; তুমি শোনাতে সমর্থ হবে না যারা কবরে রয়েছে তাদেরকে।


সূরাঃ আবাসা - আয়াত নংঃ ২১

ثُمَّ اَمَاتَہٗ فَاَقۡبَرَہٗ ۙ

অর্থঃ

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।


সূরাঃ ইব্রাহীম - আয়াত নংঃ ২৭

یُثَبِّتُ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِالۡقَوۡلِ الثَّابِتِ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَفِی الۡاٰخِرَۃِ ۚ  وَیُضِلُّ اللّٰہُ الظّٰلِمِیۡنَ ۟ۙ  وَیَفۡعَلُ اللّٰہُ مَا یَشَآءُ ٪

অর্থঃ

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আল্লাহ তা’আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিবজীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা, তা করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আল্লাহ্ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন এবং যারা জালিম আল্লাহ্ এদেরকে বিভ্রান্তিতে রাখবেন। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তা করেন।

তাফসীরঃ

কবরের শাস্তি ও শান্তি কোরআন ও হাদীসের দ্বারা প্রমাণিতঃ রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ কবরে মু’মিনকে প্রশ্ন করার ভয়ংকর মুহূর্তেও সে আল্লাহর সমর্থনের বলে এই কালেমার উপর কায়েম থাকবে এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর সাক্ষ্য দেবে। এরপর বলেনঃ আল্লাহর বাণীঃ يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ -এর উদ্দেশ্য তা-ই। এ হাদীসটি হযরত বারা ইবনে আযেব (রা) বর্ণনা করেছেন। এছাড়া আরও প্রায় চল্লিশজন সাহাবী থেকে একই বিষয় বস্তুর হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে কাসীর স্বীয় তফসীর গ্রন্থে এগুলো উল্লেখ করেছেন। শায়খ জালালুদ্দীন সূয়ুতী স্বীয় কাব্যপুস্তিকা التثبيت عند التبييت এবং شرح الصدور এ সত্তরটি হাদীসের বরাত উল্লেখ করে সেগুলোকে মুতাওয়াতির বলেছেন। এসব সাহাবী সবাই আলোচ্য আয়াতে আখিরাতের অর্থ কবর এবং আয়াতটিকে কবরের আযাব ও সওয়াব সম্পর্কিত বলে সাব্যস্ত করেছেন।

মৃত্যু ও দাফনের পর কবরে পুনর্বার জীবিত হয়ে ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং এ পরীক্ষায় সাফল্য ও অকৃতকার্যতার ভিত্তিতে সওয়াব অথবা আযাব হওয়ার বিষয়টি কোরআন পাকের প্রায় দশটি আয়াতে ইঙ্গিতে এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সত্তরটি মুতাওয়াতির হাদীসে সুস্পষ্টভাবে উল্লিখিত রয়েছে। ফলে এ ব্যাপারে মুসলমানদের সন্দেহ করার অবকাশ নেই। তবে সাধারণ লোকের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হয় যে, এই সওয়াব ও আযাব দৃষ্টিগোচর হয় না। এখানে এর বিস্তারিত উত্তর দানের অবকাশ নেই। সংক্ষেপে এতটুকু বুঝে নেওয়া যথেষ্ট যে, কোন বস্তু দৃষ্টিগোচর না হওয়া সেই বস্তুটির অনস্তিত্বশীল হওয়ার প্রমাণ নয়। জীন ও ফেরেশতারাও দৃষ্টিগোচর হয় না, কিন্তু তারা বিদ্যমান রয়েছে। বর্তমান যুগে রকেটের সাহায্যে যে মহাশূন্য জগৎ প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে, ইতিপূর্বে তা কারও দৃষ্টিগোচর হতো না; কিন্তু অস্তিত্ব ছিল। ঘুমন্ত ব্যক্তি স্বপ্নে কোন বিপদে পতিত হয়ে বিষম কষ্টে অস্থির হতে থাকে; কিন্তু নিকটে উপবিষ্ট ব্যক্তি মোটেই তা টের পায় না।

নীতির কথা এই যে, এক জগতের অবস্থাকে অন্য জগতের অবস্থার সাথে তুলনা করা নিতান্তই ভুল। সৃষ্টিকর্তা যখন রাসূলের মাধ্যমে পরজগতে পৌঁছার পর এ আযাব ও সওয়াবের সংবাদ দিয়েছেন, তখন এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য।


হাদীস থেকেঃ

সহীহ বুখারী
আন্তর্জাতিক নং ৬৩৬৪ - হাদিস নং ৫৯২৪

باب التَّعَوُّذِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ

حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، حدثنا موسى بن عقبة، قال سمعت أم خالد بنت خالد ـ قال ولم أسمع أحدا سمع من النبي، صلى الله عليه وسلم غيرها ـ قالت سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يتعوذ من عذاب القبر.

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ خَالِدٍ بِنْتَ خَالِدٍ ـ قَالَ وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم غَيْرَهَا ـ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ.

৩৩৮০. কবরের আযাব হতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া

৫৯২৪। হুমায়দী (রাহঃ) ... মূসা ইবনে উকবা (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। উম্মে খালিদ বিনতে খালিদ (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে কবরের আযাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইতে শুনেছি। রাবী বলেন যে, এ হাদীস আমি উম্মে খালিদ ব্যতীত নবী (ﷺ) থেকে আর কাউকে বলতে শুনি নি।

তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন


সহীহ বুখারী
আন্তর্জাতিক নং ৬৩৬৫ - হাদিস নং ৫৯২৫

باب التَّعَوُّذِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ

حدثنا آدم، حدثنا شعبة، حدثنا عبد الملك، عن مصعب، كان سعد يأمر بخمس ويذكرهن عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يأمر بهن " اللهم إني أعوذ بك من البخل، وأعوذ بك من الجبن، وأعوذ بك أن أرد إلى أرذل العمر، وأعوذ بك من فتنة الدنيا يعني فتنة الدجال وأعوذ بك من عذاب القبر ".

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ مُصْعَبٍ، كَانَ سَعْدٌ يَأْمُرُ بِخَمْسٍ وَيَذْكُرُهُنَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُ بِهِنَّ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا يَعْنِي فِتْنَةَ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ".

৩৩৮০. কবরের আযাব হতে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া

৫৯২৫। আদম (রাহঃ) ... মুসআব (রাহঃ) বর্ণনা করেন, সা’দ (রাযিঃ) পাঁচটি জিনিস থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইতে নির্দেশ দিতেন এবং তিনি এগুলো নবী (ﷺ) থেকে উল্লেখ করতেন। তিনি এগুলো থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইতে এ দুআ পড়তে নির্দেশ দিতেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আমি কাপুরষতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আমি অবহেলিত বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আর আমি দুনিয়ার ফিতনা অর্থাৎ দাজ্জালের ফিতনা থেকেও আপনার আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমি কবরের আযাব থেকেও আপনার আশ্রয় চাচ্ছি।

তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সহীহ বুখারী
আন্তর্জাতিক নং ১৩৬৯ - হাদিস নং ১২৮৬

باب مَا جَاءَ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ

حدثنا محمد بن بشار حدثنا غندر حدثنا شعبة بهذا وزاد (يثبت الله الذين آمنوا) نزلت في عذاب القبر.

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ بِهَذَا وَزَادَ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا) نَزَلَتْ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ.

৮৬৯. কবরের আযাব প্রসঙ্গে।

১২৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ... শু’বা সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে, يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا (আল্লাহ অবিচল রাখবেন যারা ঈমান এনেছে ১৪ঃ ২৭) এ আয়াত কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল।

তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সহীহ বুখারী
আন্তর্জাতিক নং ১৩৭২ - হাদিস নং ১২৮৯

باب مَا جَاءَ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ

حدثنا عبدان، أخبرني أبي، عن شعبة، سمعت الأشعث، عن أبيه، عن مسروق، عن عائشة ـ رضى الله عنها ـ أن يهودية، دخلت عليها، فذكرت عذاب القبر، فقالت لها أعاذك الله من عذاب القبر. فسألت عائشة رسول الله صلى الله عليه وسلم عن عذاب القبر فقال " نعم عذاب القبر ". قالت عائشة ـ رضى الله عنها ـ فما رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد صلى صلاة إلا تعوذ من عذاب القبر. زاد غندر " عذاب القبر حق ".

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، سَمِعْتُ الأَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ يَهُودِيَّةً، دَخَلَتْ عَلَيْهَا، فَذَكَرَتْ عَذَابَ الْقَبْرِ، فَقَالَتْ لَهَا أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَقَالَ " نَعَمْ عَذَابُ الْقَبْرِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ تَعَوَّذَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. زَادَ غُنْدَرٌ " عَذَابُ الْقَبْرِ حَقٌّ ".

৮৬৯. কবরের আযাব প্রসঙ্গে।

১২৮৯। আবদান (রাহঃ) ... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ইয়াহুদী স্ত্রীলোক আয়েশা (রাযিঃ) এর কাছে এসে কবরের আযাব সম্পর্কে আলোচনা করে তাঁকে (দু’আ করে) বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। পরে আয়েশা (রাযিঃ) কবরের আযাব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কবরের আযাব (সত্য)।

আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর থেকে নবী (ﷺ)কে এমন কোন নামায আদায় করতে আমি দেখিনি, যাতে তিনি কবরের আযাব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেননি। [এ হাদীসের বর্ণনায়] গুনদার অধিক উল্লেখ করেছেন যে, কবরের আযাব বাস্তব সত্য।

তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৯৪৯৮

আদম আ. তাঁর হায়াত থেকে চল্লিশ বছর দাউদ আ. কে দান করেছেন


১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৪৭৯১

আল্লাহ সম্পর্কে বাজে চিন্তা আসে; করণীয় কী?


১৪ জুন, ২০২৩

পাবনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৭৭১২৩

রসুল( সঃ) হাফসা (রাঃএর অবর্তমানে তার ঘরে, তার দিনে মারিয়া রাঃ সাথে সময় কাটিয়েছিলেন’’ এই ঘটনাটা কি সত্য?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৫৯৭০৬

আকিদা


২৬ মে, ২০২৪

বরিশাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy