আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৯৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আস সালামু আলাইকুম হুজুর,,,,হুজুর আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে অনেকে বিভিন্ন প্রকার নকশা ( আরবীতে ১,২,৩....এরকম ) দিয়ে তাবিজ বানায় ,,কেও কেও আবার কুরআনের আয়াত ও কিছু অংশ দিয়েই বানায় ।তো এই নকশা দ্বারা তাবিজ বানানোর হাকীকত কি এবং এইরকম নকশা দ্বারা তাবিজ বানানো জায়েজ আছে কি না? যদি জায়েজ হয় এবং অনুত্তম কি না ? একটু জানালে উপকৃত হতাম।কেননা অনেকে বলে ইসলামে তাবিজ জায়েজ নাই,,কেও কেও বলে জায়েজ আছে। তাই আমাকে এই বিষয়ে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করে দিন ।,

১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

রাজশাহী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সর্বপ্রকার অনিষ্টতা থেকে হিফাযতের জন্য দু'আ ও আমল হিসেবে আল্লাহ তাআলা সূরা ফালাক্ব ও সূরা না-স অবতীর্ণ করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত এসব দোয়ার আমল করেছেন। উম্মতকে আমল করার জন্য হিদায়াত দিয়েছেন। এ আমলে আমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। এসব দোয়া পড়ে নিজেকে যেমন ঝাড়ফুঁক করা যায়, অন্যকেও ঝাড়ফুঁক করা যায়। এ সম্পর্কিত সহীহ হাদীস রয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম রোগীকে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন।
তিরমিজি শরীফের একটি হাদীসে এসেছে, যেসব ছোট বাচ্চারা দোয়াটি পড়তে পারতো না, তাদের গলায় দোয়াটি লিখে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাদীসের আলোকে জায়েয এবং বৈধ তাবিজ গলায় ঝুলানো সুযোগ রয়েছে।
সংখ্যাতত্ত্বের এসব অধিকাংশই বানোয়াট ও ভুয়া। এর কোন তাসীর বা প্রভাব প্রমানিত নয়। বিধায় এসব বর্জন করা উচিত।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا فَزِعَ أَحَدُكُمْ فِي النَّوْمِ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏.‏ فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو يُلَقِّنُهَا مَنْ بَلَغَ مِنْ وَلَدِهِ وَمَنْ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهُمْ كَتَبَهَا فِي صَكٍّ ثُمَّ عَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আম্‌র ইবনু শু’আইব (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও তাঁর দাদা থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে সে যেন বলে : আমি আল্লাহ্‌ তা’আলার পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা আশ্রয় চাই তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের খারাবী হতে, শাইতানদের কুমন্ত্রণা হতে এবং আমার নিকট যারা হাযির হয় সেগুলো হতে’’। তাহলে সেগুলো তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার সন্তানদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের উক্ত দু’আ শিখিয়ে দিতেন এবং উক্ত দু’আ কাগজের টুকরায় লিখে তার নাবালেগ সন্তানদের গলায় ঝুলিয়ে দিতেন।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫২৮

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৪৪৭৮৯

একটি দরুদ শরীফের তাহকীক


৬ নভেম্বর, ২০২৩

FFJH+M৯৪

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

২৭৫৪৩

হাত তুলে দোয়া বা মুনাজাত করা


৬ জানুয়ারী, ২০২৩

West Bengal ৭২২১৫১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৪৬৮৭০

নামাজে বাংলায় দুআ


২৫ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৯০৭৩৭

ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মনাইর কান্দি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy