প্রশ্নঃ ৩৯৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শাইখ আমার কিছু প্রশ্ন ছিলঃ1-নবীজী সাঃএর সোয়ালক্ষ সাহাবী অথচ হাদীস এত কম কেন2-পৃথিবীতে মোট হাদীসের সংখ্যা কত3-একই হাদীস বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন রকম কেন4-নবীজী সাঃএর সব হাদীস কী সংরক্ষিত হয়নি5-ইউটিউবে দেখলাম রাজ্জক বিন ইউসূফ বলছেন তিন লক্ষ জাল হাদীস আছে এটা কী সত্যি6-হাদীসের বহু গ্রন্থ এখনো পান্ডুলিপি আকারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত রয়েছে, যা এখনো ছাপেনি এগুলো কেউ ছাপানোর উদ্দোগ নেই না কেন।7-হাদীস শাস্ত্র কী বিকৃত হয়েছে8-ইমাম বুখারী ছয় লক্ষ হাদীস থেকে সাত হাজার লিপিবদ্ধ করেছেন বাকী গুলো কোথায় গেল9-ইমাম হাম্বল দশ লক্ষ হাদীস থেকে চল্লিশ হাজার লিপিবদ্ধ করেছেন বাকীগুলো কেন করেননি
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. নবীজির সকল সাহাবী হাদীস বর্ণনা করেননি। সকলের জন্য হাদীস বর্ণনা করা জরুরি ছিল না।
২. আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।
৩. অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম নবীজি থেকে শ্রুত হাদীস নিজের ভাষায় মর্ম ব্যক্ত করেছেন। আর একথা স্বতঃসিদ্ধ, প্রত্যেকেরই বর্ণনা ধারা ভিন্ন। যার ফলে একই কথা ও একই হাদীস বিভিন্ন সাহাবায়ে কেরামের মুখনিঃসৃত শব্দমালার কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। হাদীসের সংকলক মুহাদ্দিসীনে কেরাম বিভিন্ন মাধ্যমে হাদীস সংগ্রহ করেছেন। তাদের প্রাপ্ত শব্দমালায় যেভাবে এসেছে সেভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন।
৪. হয়েছে।
৫. এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
৬. পান্ডুলিপিগুলো ইতোমধ্যে ছেপে এসেছে। তা সত্ত্বেও মূল হিসেবে পান্ডুলিপিগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
৭. না হাদীস শাস্ত্র বিকৃত হয়নি। বরং কিছু জাল বর্ণনা হাদীসের নামে হাদীসের জগতে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সচেতন মুহাদ্দিসীনে কেরাম সেগুলোকে শনাক্ত করেছেন। উম্মতের সামনে সেগুলোর অসারতা ও বানোয়াট হওয়ার বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন।
৮. ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ সাত হাজার নয়, বরং চার হাজার হাদীস বুখারী শরীফে লিপিবদ্ধ করেছেন। একই হাদীস বারংবার উল্লেখ করার ফলে সর্বসাকুল্যে সংখ্যা হয়ে গেছে সাত হাজার।
৯. সাধ ও সাধ্য সব সময় এক হয় না। বিষয়টি স্বীকৃত। তদুপরি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহিমাহুল্লাহ হাদীসের জগতে যে অবদান রেখে গেছেন, তা অদ্বিতীয়।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন