আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলে সে নামাযে শরীক হওয়ার পদ্ধতি??

প্রশ্নঃ ৩৭৬৭০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনৈক ব্যক্তি ইমাম সাহেবকে রুকুতে পেয়ে তাড়াহুড়ো করে তাকবীরে তাহরীমা এবং রুকুর তাকবীর পাঠ করে ইমামের সঙ্গে রুকুতে শরিক হয় এবং তাকবীরে তাহরিমা ও রুকুর তাকবীর পরপর বলে এবং অল্প একটু সময়ও মাঝে দাঁড়ায় না এমতাবস্থায় এরূপ ব্যক্তির নামাজের হুকুম কি?? বিশেষ দ্রষ্টব্য: সে হাত ও বাধে নাই পরপর তাকবির বলে রুকুতে শরিক হয়।,

১৬ আগস্ট, ২০২৩

Jamalganj-Paharpur Rd

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,,,
নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা ফরয। তাই তাকবীরে তাহরীমা পুরোটাই দাঁড়িয়ে বলতে হবে।
সুতরাং ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় যদি কোনো ব্যক্তি জামাতে উপস্থিত হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে সুন্নত পদ্ধতি হলো- নামাযে শরীক হওয়ার জন্য দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধা, তারপর দ্বিতীয় তাকবীর বলে রুকুতে যাওয়া। কিন্তু কেউ যদি তাকবীরে তাহরীমা বলার পর হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যায়, তাহলেও কিয়াম পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে, অর্থাৎ কিয়াম অবস্থায়ই তাকবীরে তাহরীমা বলেছে, এতে নামায আদায় হয়ে যাবে।
এছাড়া পূর্ণ তাকবীর কিংবা তাকবীরের কিছু অংশও যদি রুকুতে গিয়ে [অর্থাৎ হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পর] শেষ হয় তাহলে নামায আদায় হবে না।

প্রিয় ভাই, উল্লেখ্য বিধান অনুযায়ী আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন নামায আদায় হয়েছে কি না।

من فرائضها) التي لا تصح بدونها (التحريمة) قائما (وهي شرط) في غير جنازة على القادر به يفتى، فيجوز بناء النفل على النفل وعلى الفرض وإن كره لا فرض على فرض أو نفل على الظاهر ولاتصالها بالأركان روعي لها الشروط

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 444):

"فلو كبر قائمًا فركع ولم يقف صح؛ لأن ما أتى به القيام إلى أن يبلغ الركوع يكفيه، قنية.

و في الرد

(قوله: فركع) أي وقرأ في هويه قدر الفرض أو كان أخرس أو مقتديًا أو أخر القراءة."

حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 455):

"ومن أدرك إمامه راكعًا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما.

قوله: "فرفع الإمام رأسه" مراده أنه رفع قبل أن يشاركه المؤتم في جزء من الركوع وإلا فظاهر التعبير بالفاء أن الرفع تحقق بعد الإنحطاط وحينئذ تحقق المشاركة فتكون الصلاة صحيحة قوله: "كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما" ولفظه إذا أدركت الإمام راكعا فركعت قبل أن يرفع رأسه فقد أدركت الركعة وإن رفع قبل أن تركع فقد فاتتك الركعة".

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান
'মুসলিম বাংলা' ইফতা বিভাগ।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৬৬২৪

প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়ে ফেললে করণীয়


৭ জুলাই, ২০২৪

লৌহজং

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

৯১৪৮৫

এক নামাজে দুইবার সেজদায়ে সাহু দিলে নামাজ হবে?


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৭০২০৭

নামাজে ঢেকুরের সাথে মুখে খাবার চলে আসলে নামাজের বিধান


৯ অক্টোবর, ২০২৪

ঘোড়াশাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৭৩৭

ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মনাইর কান্দি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy