আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৬৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ..... উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য ....জাযাকাল্লাহ খাইর..... আস্সালামু আ,লাইকুম ওয়া রহ্ মাতুল্লাহ....প্রশ্ন ...... ১. অজু করার সময় কারোর সালামের উত্তর প্রদান করা বা কাউকে সালাম দেওয়া বা অন্য কোন দরকারি কথা বলা যাবে ???২. সুন্নত বা নফল নামাজে পাশে কেউ না থাকলে ক্বিরাত বা তাশাহুদ বা দরুদ শরীফ বা শেষ বৈঠকের সালাম ফেরানো , উচ্চ আওয়াজে পড়া যাবে ???,

১৮ নভেম্বর, ২০২০

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. ওযু করার সময় সালামের উত্তর দেয়া বা কাউকে সালাম দেওয়া অথবা প্রয়োজনীয় কথা বলতে নিষেধ নেই।

একবার মুহাজির বিন ক্বুনফুয রাদিয়াল্লাহু আনহু- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম দিয়েছেন। নবীজি ওযু থেকে ফারেগ হওয়ার পর জবাব দিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয় ওযুরত ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেয়া যাবে। সালাম দাতা অপেক্ষা করতে থাকলে ওযু থেকে ফারেগ হয়ে জবাব দেওয়া উত্তম।

২. রাত্রেবেলা নফল নামাজে তাকবীর ও কিরাত সশব্দে পড়া মুস্তাহাব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُضَيْنِ بْنِ الْمُنْذِرِ أَبِي سَاسَانَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأَ ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏"‏ عَلَى طَهَارَةٍ ‏"‏ ‏.‏

আল-মুহাজির ইবনু কুনফু (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
একদা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করছিলেন। সেজন্য অযূ না করা পর্যন্ত তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর (পেশাব শেষে অযূ করে) তিনি তার নিকট ওযর পেশ করে বললেন, পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহর নাম স্মরণ করা আমি অপছন্দ করি।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৭

عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ : " مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تَقْرَأُ وَأَنْتَ تَخْفِضُ مِنْ صَوْتِكَ ". فَقَالَ : إِنِّي أَسْمَعْتُ مَنْ نَاجَيْتُ. قَالَ : " ارْفَعْ قَلِيلًا ". وَقَالَ لِعُمَرَ : " مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تَقْرَأُ، وَأَنْتَ تَرْفَعُ صَوْتَكَ ". قَالَ : إِنِّي أُوقِظُ الْوَسْنَانَ ، وَأَطْرُدُ الشَّيْطَانَ. قَالَ : " اخْفِضْ قَلِيلًا ".

সুনানু তিরমিজী ৪৪৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১০৯৬৩

নাবালকের আজান ইকামত ইমামত


২০ আগস্ট, ২০২৪

জুড়ী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

৭৭৮২

একাকী নামাজ আদায় করলে কি মনে সুকুন বেশী হয়?


১৬ অক্টোবর, ২০২৩

পটুয়াখালী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy