আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নাপাক কাপড় পাক করার নিয়ম এবং শরীরে লাগলে তার হুকুম

প্রশ্নঃ ৩২৫২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নাপাক কাপড় কিভাবে ধুলে পবিত্র হবে? আর নাপাক কাপড় যদি শরীরে বাজলে শরীর নাপাক হয়ে যাবে? নাপাক কাপড় হচ্ছে শুকনো, ভেজা জাতিয় নয়। দয়া করে উত্তর দিবেন।

৭ এপ্রিল, ২০২৩
Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এক.
কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। (বেহেশতি জিওর, উর্দূ ২/৭৭)
উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়েযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে। (বুখারী ২২৭,৩০৭)
দুই.
নাপাক কাপড় শরীরে বা অন্য কিছুতে লাগার পর যদি নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত না হয় তাহলে তা নাপাক হবে না। পক্ষান্তরে নাপাক কাপড় শরীরে বা অন্য কিছুতে লাগার পর যদি নাপাকির চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তাহলে ওই চিহ্ন এক দেরহাম পরিমাণ হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে অধিক হয় তাহলে যতটুকুতে লেগেছে ততটুকু নাপাক হয়ে যাবে।
عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء
আলী রাযি. এবং ইবনে মাসউদ রাযি. নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর মানার জন্য দলিল হিসাবে এই দু’জনই যথেষ্ট। (উমদাতুল কারী ৩/১৪০)
উল্লেখ্য, হাতের তালু সোজা করে পানি নিলে যতটুকু পানি তালুতে আটকে যায়; ততটুকু আয়তনকে এক দিরহাম ধরা হয়।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন