و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবাহের মজলিসগুলো মসজিদে সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

عن عائشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أعلنوا هذا النكاح واجعلوه في المساجد واضربوا عليه بالدفوف

(১৫৬১) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা এই বিবাহের প্রচার করবে এবং তা মসজিদে অনুষ্ঠিত করবে এবং এজন্য দফ বাজাবে ।
—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ১৫৬১


মসজিদে বিবাহের মজলিসে বর ও বরের অভিভাবক আত্মীয়-স্বজন এবং কনের প্রতিনিধি ও অভিভাবক আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থাকতো। বিবাহের মজলিসে কনের উপস্থিতি শিষ্টাচারিতা ও লজ্জাশীলতার পরিপন্থী। বিধায় সেই মজলিসে কনের উপস্থিতি হতো না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিবাহ, নবীজির কন্যাদের বিবাহ এবং সাহাবায়ে কেরামেরগণের আমলে মসজিদে বিবাহের মজলিসগুলোতে একই দৃশ্য ছিল। সেখানে কনের প্রতিনিধি ও অভিভাবক উপস্থিত থাকতো। কনে উপস্থিত হতো না।

أما المرأة فلا يشترط حضورها ولا لازم لحضورها، ما دامت راضية بالعقد فلا يحتاج إلى حضورها، وإنما المطلوب أربعة: الزوج، والولي، والشاهدان، هؤلاء هم الذين يحضرون العقد أربعة: الزوج والولي والشاهدان، فإذا حضر الشاهدان كفى؛ لقوله ﷺ: لا نكاح إلا بولي، وشاهدي عدل.
فالمقصود: أنه يزوج المأذون الزوج من جهة الولي بحضرة الشاهدين، فيقول الولي: زوجتك ابنتي، أو أختي، أو ابنة أخي -على حسب حال المنكوحة- ويقول الزوج: قبلت هذا الزواج، والشاهدان يسمعان،


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কনের মতামতের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, কনে তার অভিভাবকের তুলনায় নিজের মতব্যক্ত করার বেশি অধিকার রাখে। বিধায় তার বিবাহের প্রতিনিধিত্ব ও অভিভাবকত্ব করার জন্য বিবাহের মজলিসে উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই কনের অনুমতি নিবে।

أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُجَمِّعٍ ابْنَيْ يَزِيدَ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ خَنْسَاءَ ابْنَةِ خِذَامٍ، أَنَّ «أَبَاهَا زَوَّجَهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ، فَكَرِهَتْ ذَلِكَ، فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّ نِكَاحَهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: لا يَنْبَغِي أَنْ تُنْكَحَ الثَّيِّبُ، وَلا الْبِكْرُ إِذَا بَلَغَتْ إِلا بِإِذْنِهِمَا فَأَمَّا إِذْنُ الْبِكْرِ فَصَمْتُهَا، وَأَمَّا إِذْنُ الثَّيِّبِ فَرِضَاهَا بِلِسَانِهَا، زَوَّجَهَا وَالِدُهَا أَوْ غَيْرُهُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

৫৩০। খিযাম-কন্যা খানসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তার পিতা তাকে বিবাহ দিলেন, অথচ তিনি ছিলেন সাইয়্যেবা। তিনি এ বিবাহ অপছন্দ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার পিতার দেয়া বিবাহ রদ করে দিলেন (বুখারী, ইবনে মাজা)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, সাইয়্যেবা এবং প্রাপ্তবয়স্কা বাকেরাকে তার অনুমতি না নিয়ে বিবাহ দেয়া উচিৎ নয়। বাকেরার নীরবতাই তার সম্মতি বলে গণ্য হবে এবং সাইয়্যেবার ক্ষেত্রে তার মৌখিক সম্মতি নিতে হবে, তাকে তার পিতা অথবা অন্য কেউ বিরাহ দিক না কেন । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।**

—আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ, হাদীস নং ৫৩০

কনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বুদ্ধিসম্পন্ন সাবালক মুসলিম হতে হবে।

وَيُشْتَرَطُ فِي الْوَكِيل مَا يُشْتَرَطُ فِي الْمُوَكِّل مِنَ الْعَقْل، فَلاَ يَجُوزُ تَوْكِيل الْمَجْنُونِ وَالْمَعْتُوهِ وَالصَّبِيِّ غَيْرِ الْمُمَيِّزِ بِاتِّفَاقِ الْفُقَهَاءِ.

— আল মাওসূআ আল ফিকহিয়্যাহ

والله اعلم بالصواب