আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৮৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বদলী হজ্বকারীর জন্য কি ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি? অনেকে বলেন, ইফরাদ করা জরুরি। প্রেরক তামাত্তু বা কিরান হজ্বের অনুমতি দিলেও আদায় হবে না। ইফরাদ হজ্বই করতে হবে। মুআল্লিমুল হুজ্জাজ কিতাবেও এমনই বলা হয়েছে। আবার কোনো কোনো আলেমকে জায়েয বলতে শোনা যায়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান বরাতসহ জানতে চাই।

২৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রেরক অনুমতি দিলে বদলীকারী তামাত্তু ও  কিরান হজ্বও করতে পারবেন। অনুমতি থাকলেও ইফরাদ করা জরুরিতামাত্তু বা কিরান জায়েয নয়-এই কথা ঠিক নয়। মুআল্লিমুল হুজ্জাজফাতাওয়া খলীলিয়্যাহসহ কিছু কিতাবে সর্বাবস্থায় ইফরাদ জরুরি বলা হলেও উপমহাদেশের অনেক মুফতী প্রেরকের অনুমতিসাপেক্ষে তামাত্তু ও কিরান করাকে জায়েয বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যেমনমুফতী কেফায়াতুল্লাহ দেহলভী রাহ.মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. এবং মুফতী যফর আহমদ উছমানী রাহ.মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী রাহ. প্রমুখ। আর জায়েয হওয়ার পক্ষে হানাফী ফকীহদের থেকেও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত রয়েছে। যেমন,ফাতাওয়া খানিয়াআল্লামা সিন্ধির লুবাবআল্লামা সাঈদ আবদুল গণী রাহ.-এর ইরশাদুস সারী এবং আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী ফাতাওয়া শামীতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যেঅনুমতি থাকলে বদলীকারী কিরানতামাত্তু যেকোনোটি করতে পারেন। ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি নয়।  এছাড়া কিরান জায়েয হওয়ার কথা মাবসূতে সারাখসী ও হেদায়াতেও আছে।


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন