و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনি শুনেছেন যে, মূল জামাতের সাথে সংযোগ না থাকলে নামাজ হয় না। আপনার জানা মাস‌আলাটি সঠিক। তবে এক্ষেত্রে একটু কথা আছে।

যদি মসজিদের মধ্যে জামাতের সাথে নামাজ আদায় হয়, অথবা একটি ঘরে জামাতের সাথে আদায় হয়, তাহলে শরীয়তের মাস‌আলা হলো, অটোমেটিক সংযোগ হয়ে যায়।মাঝখানে বড় ধরনের ফাঁকা থাকলে নামাজ মাকরুহ হবে ঠিক, কিন্তু বাতিল হবে না।

কিন্তু যদি মাঠে নামাজ পড়ে বা এমন স্থানে নামাজ পড়ে যেটি একটি ঘর বা একটি জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয় না, তখন সেখানে জামাতের কাতারের মধ্যে সংযোগ লাগে। যদি দুই কাতারের মাঝে বড় কোন রাস্তা অথবা এতোটুকু খাল প্রবাহিত থাকে যে, মাঝখান দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারে, তাহলে এপাশ থেকে ওপাশে জামাত করা সহিহ হয় না। যদি এপাশ থেকে ওপাশ জামাত করতে হয়, তাহলে মাঝখানে ব্রিজ বা কোন কিছুর মাধ্যমে সংযোগ করতে হবে। কিন্তু মসজিদ পুরোটা এক স্থান হওয়ার কারণে এর মাঝে দুই এক কাতার ফাঁকা থাকলেও নামাজ হয়ে যায়। তবে সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পিছনের কাতারে নামাজে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরিমি। এই কাজ থেকে বেঁচে থাকা অবশ্য কর্তব্য। সুতরাং এসি থেকে বাঁচার জন্য সামনের কাতার ফাঁকা রেখে বারান্দায় দাঁড়ানো মাকরুহ হবে।

وَفِنَاءُ الْمَسْجِدِ لَهُ حُكْمُ الْمَسْجِدِ حَتَّى لَوْ قَامَ فِي فِنَاءِ الْمَسْجِدِ وَاقْتَدَى بِالْإِمَامِ صَحَّ اقْتِدَاؤُهُ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ الصُّفُوفُ مُتَّصِلَةً وَلَا الْمَسْجِدُ مَلْآنَ، (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الفصل الثانى فيما يكره فى الصلاة ومالا يكره-

والحائل ‌لا ‌يمنع) الاقتداء (إن لم يشتبه حال إمامه) بسماع أو رؤية، ولو من باب مشبك يمنع الوصول في الاصح (ولم يختلف المكان) حقيقة كمسجد وبيت في الاصح، قنية.(الدرالمختار علی صدر ردالمحتار،كتاب الصلوة،باب الامامة،ج:2،ص:333)

في الدر المختار
ﻭﻟﻮ ﺻﻠﻰ ﻋﻠﻰ ﺭﻓﻮﻑ اﻟﻤﺴﺠﺪ ﺇﻥ ﻭﺟﺪ ﻓﻲ ﺻﺤﻨﻪ ﻣﻜﺎﻧﺎ ﻛﺮﻩ ﻛﻘﻴﺎﻣﺔ ﻓﻲ ﺻﻒ ﺧﻠﻒ ﺻﻒ ﻓﻴﻪ ﻓﺮﺟﺔ

ﻗﻮﻟﻪ ﻛﻘﻴﺎﻣﻪ ﻓﻲ ﺻﻒ ﺇﻟﺦ) ﻫﻞ اﻟﻜﺮاﻫﺔ ﻓﻴﻪ ﺗﻨﺰﻳﻬﻴﺔ ﺃﻭ ﺗﺤﺮﻳﻤﻴﺔ، ﻭﻳﺮﺷﺪ ﺇﻟﻰ اﻟﺜﺎﻧﻲ ﻗﻮﻟﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - " ﻭﻣﻦ ﻗﻄﻌﻪ ﻗﻄﻌﻪ اﻟﻠﻪ "( في رد المحتار)

والله اعلم بالصواب