আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইসলামী নাম দিয়ে নির্মিত ছবি

প্রশ্নঃ ২৮৩২২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনাব,আমার প্রশ্ন হল সেলজুক সাম্রাজ্যের ইসলামিক সিরিয়াল যা ইউটিউবে পাওয়া যায় এগুলি দেখার শরীর বিধান কি?

২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
খুলনা ৯১০০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


বর্তমানে ইসলামি ট্যাগ লাগিয়ে যত সিরিয়াল বা মুভি পাওয়া যায় তার সবগুলোতেই শরিয়ত নিষিদ্ধ বিভিন্ন জিনিস বিদ্যমান রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বিভিন্ন ধরণের মিউজিক, নারী অভিনেত্রীর উপস্থিতি, অবৈধ প্রেম, ছবি নির্মাণ ইত্যাদি। যার সবগুলো হারাম। আর যে বস্তুতে এতগুলো হারাম বস্তুর সম্মিলন ঘটে, তা যে হারাম হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দেখুন, পর্দা একটি ফরজ বিধান। সর্বাবস্থায় তা পালনীয়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,

يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا

‘হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯]

অথচ উক্ত সিরিয়ালগুলোতে পর্দার বিধার লঙ্ঘিত হয় পুরোপুরি।

অনুরূপভাবে ছবি তৈরি হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ছবি তৈরির ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন,

مَنْ صَوَّرَ صُورَةً فَإِنَّ اللهَ مُعَذِّبُهُ حَتَّى يَنْفُخَ فِيهَا الرُّوحَ وَلَيْسَ بِنَافِخٍ فِيهَا أَبَدًا

‘যে ব্যক্তি কোনো ছবি তৈরী করে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২২২৫]

মিউজিকে ব্যাপারে হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: الدُّفُّ حَرَامٌ، وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ، وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ

‘দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম।’ [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদিস: ৩৩৫৯]

সুতরাং দিরিলিস আরতুগ্রুলসহ এ জাতীয় ইসলামি ট্যাগ বিশিষ্ট সিরিয়াল বা মুভি দেখা জায়েয হবে না।

রদ্দুল মুহতার ৯/৫০৪

والله اعلم بالصواب

মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন