আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অজু, নামাজে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে করনীয়

প্রশ্নঃ ২৬১৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শায়খ ইবাদতের সময় সন্দেহ যেমন ( ইয়া আমি অজু করছি অজু হয়েছে কী? মনে হয় এই হাতটা ভালোভাবে ধোয়া হয় নাই, ইয়া আমি কত রাকাতের মধ্যে আছি ২/২/৩/৪/ , আমার কছে লাগের আমি ৩য় রাকাতে,) তখন সাহু সেজদা দিলাম, কিন্তু এরুপ সব সময়ই হয়ে থাকে আমার সাথে, আসলে আমার উপর কিছুটা জাদু টুনার আছর আছে, ২০১৯ সালে আমি প্রচুর অসুস্থ ছিলাম, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ এখন, ভালো তা ও তাবিজ ছাড়া, আল্লাহর উপর ভরাসা রেখে নাস ফালাক্ব ইখলাস, কাফিরুন, পড়ে শরীরের মাছেহ করি, কিন্তু শায়েখ আমার অবস্থা খুবই খারাপ হতে যাচ্ছে দিন দিন, অন্য সব কাজ টিক হয় কিন্তু নামাজটাতে কেমন জানি হুদাই সন্দেহ আসে, আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার ফলে আমি পুরো সুস্থ হবো ইনশাআল্লাহ, সন্দেহ থেকে বাচার জন্য + জাদু টুনা থেকে বাচার দোয়াটা বলে দিন আমায় শায়খ,

৯ জুন, ২০২৪

সিলেট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনার জন্য করণীয় হলো
১. কোনো আলেম কিংবা ভালো পড়তে পারেন এমন কোনো উস্তাদের কাছে নামাজে পঠিত সুরা-কেরাত, তাসবিহাত, তাশাহুদ দুয়া ইত্যাদী সহিহ শুদ্ধভাবে শিখে নিবেন।
২. প্রতি ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
৩. জামাতের আগে-পরের সুন্নতগুলো আদায়ে ঠিক ততটুকু সময় ব্যায় করবেন যতটুকু সময় ফরজ আদায়ে লেগেছিল।
৪. কুরআনের প্রতিটি আয়াত শুদ্ধভাবে একবারই আদায় করবেন। একাধিকবার পড়বেন না। (আপনি কিভাবে পড়েন তা অবশ্যই উপরে নির্দেশিত আপনার উস্তাদকে শোনিয়ে নিবেন) রুকু সেজাদার তাসবিহগুলো সময় অনুপাতে তিন/পাঁচ/সাতবার পাঠ করবেন। (আপাতত এর বেশী পড়তে যাবেন না। ওয়াসওয়াসার রোগ দূর হয়ে গেলে তখন করণীয় জেনে নিবেন)।
৫. প্রয়োজনে উস্তাদের সামনে দুই-চার রাকাত নামাজ পড়ে প্রাক্টিক্যালী শিখে নিবেন।
৬. অজু করার সময় ওজুর অঙ্গসমূহ ভালোভাবে সর্বোচ্চ তিনবার ধুবেন। তার বেশী নয়। সেটাও উস্তাদের কাছে শিখে নিবেন।
৭. নিচের দোয়াটি নিয়মিত আমল করুন।
اللّٰہمَّ انّی أعُوذُ بِکَ مِن ہَمَزَاتِ الشَّیاطین، وأعوذُ بِکَ ربِّ أن یَحضُرون۔
হে আল্লাহ! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। এবং আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট এদের উপস্থিতি হতে।
৮. নিচের রেফারেন্স উত্তরে থাকা হজরত থানবী রহ. এর নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ইনশাআল্লাহ শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মুক্তি দিবেন।
৯. সর্বশেষ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষটি হলো এজতীয় ক্ষেত্রে কোনো হক্কানী আল্লাহ ওয়ালার সোহবতের বিকল্প নেই। তাঁকে দেখে দেখে আপনি আমল শিখবেন এবং সেই শেখাটাই হবে প্রকৃত শিক্ষা। তখন আপনার মনে ওয়াসওয়াসা আসার সুযোগ থাকবে না। তাই আপনার নিকটস্থ কোনো হক্কানী আল্লাহ ওয়ালার কাছে নিজের যাবতীয় রোগের কথা উল্লেখ করে তার নির্দেশিত হেদায়াত অনুসারে আমল করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৭১৭০৩

মাগরিব পড়ে সৌদীগামী বিমানে আরোহণ


৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Chinarang

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৭৩৭

ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মনাইর কান্দি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

৫০৬৬৪

আসরের পর কাজা নামাজ পড়ার বিধান


৩ জানুয়ারী, ২০২৪

কালিয়াকৈর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭৭৬৭৬

মাসজিদুল হারামে ইমাম সাহেব যেখানে দাঁড়ান তাঁর চেয়ে এগিয়ে দাঁড়ানো যাবে?


২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা ১২০৮

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy