আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইসলামী শরীয়তে ১১ শরীফের গুরুত্ব

প্রশ্নঃ ২৬০০০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইসলামী শরীয়তে ১১ শরীফের গুরুত্ব ও ক্রমবিকাশ সম্মন্ধে জানালে খুশী হব।,

৫ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা ১২৩০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে ১১ শরীফ বা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হল হজরত আব্দুল ক্বাদির জিলানী (রহ.) এর মৃত্যুবরণ দিবস। বলা হয়ে থাকে, হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।... গেয়ারভী শরীফ প্রতিবছর রবিউস সানির এগারো তারিখ বা মাসিকভাবে ইসলামী ক্যালেন্ডারের প্রতি মাসের এগারো তারিখ উদ্‌যাপন করা হয়।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
রাসূলুল্লাহ সা. এর ইন্তেকাল হয় দশম হিজরীতে। আর হজরত আব্দুল কাদের জিলানী রহ. এর ইন্তেকাল হয় তার ৫৫১ বছর পর (৫৬১ হি. সনে)। এবার আপনিই বলুন রাসূলুল্লাহর ইন্তেকালের সাড়ে পাঁচশত বছর পর কি ইসলামের কোনো বিধান আরোপিত হতে পারে? নিশ্চয়ই নয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সা. এর ইন্তেকালের মাধ্যমে দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। এখন নতুন কিছু আসতে হলে তা অবশ্যই কুরআন সুন্নাহের পথ ধরেই আসতে হবে। আর কুরআন সুন্নাহে কারো জন্ম কিংবা মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে কোনো বিধান অবতীর্ণ হয়নি। যেটা আমরা দেখি সেটা ইসলামী শরীয়তের আলোকে স্পষ্ট বিদায়াত ও গোমরাহী। রাসূলুল্লাহ সা. দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, كل بدعة ضلالة وكل ضلالة في النار প্রতিটি বিদয়াতই ভ্রষ্টতা। আর সকল ভ্রষ্টতা জাহান্নামে নিপতিত হবে। কাজেই আমাদের উচিত সকল প্রকার বিদয়াত থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কথাগুলো বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ: