আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্নঃ ২৫৪৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অমুসলিমকে কি সালাম দেওয়া যাবে? নাকি তাদের ধর্মের অনুসারে আদাব বা অন্য কিছু দিয়ে কথা বলতে হবে। এক কথায়, মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষের সাথে দেখা বা ফোনে কথা বললে কী করব, বিশেষ করে ঐ ব্যক্তি যদি সম্মানিত মানুষ হন?

২২ নভেম্বর, ২০২২
সুনামগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, সালাম একটি দোয়া। ইসলামের শেআ’র ও প্রতীক পর্যায়ের একটি আমল। এর ভুল ব্যবহারের সুযোগ নেই। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
আর কেউ আল্লাহর শাআ’য়েরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে এটা তো অন্তরস্থ তাকওয়া থেকেই উৎসারিত। (সূরা হজ ৩২)
অনুরূপভাবে সালাম একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,
لا تَبْدَؤوا اليَهُودَ ولا النَّصَارى بالسَّلام
তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না। (মুসলিম ২১৬৭)
তবে কোনো অমুসলিম আগে সালাম দিয়ে ফেললে উত্তরে ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إذا سَلَّمَ علَيْكُم أهْلُ الكِتابِ فَقُولوا وعلَيْكُم
আহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে। অর্থাৎ তোমাদের প্রতিও। (বুখারি ৬২৫৮ মুসলিম ২১৬৭)
উল্লেখ্য, কোনো অমুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শনস্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন, হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশল বিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে ‘আদাব’ও বলা যেতে পারে। তবে কোনভাবেই তাকে ‘নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। (রহীমীয়া ৬/১২৬ কিফায়াতুলমুফতী ৯/১০৬)
কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। সুতরাং এ শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪)

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২৩৬৩১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমার প্রশ্নটি হল। ঈদের দিন ঈদের নামাজের পরে মুসাফা করা এবং মোয়ানাকা করার বিষয়ে অনেক ওলামায়ে কেরাম বলে থাকেন ঈদের দিন নামাজের পরে মুসাফাহা মুয়ানাকা নাকি করা যাবে না এও বলে থাকেন যে এটা আমরা সমাজে একটি আমল বলে গণ্য করে নিয়েছি কিন্তু এটা বিশেষ কোন আমল নয় সুতরাং তাহলে ঈদের দিনে কি মুসাফাহা মহানাকা করা যাবে না শরীয়ত এ বিষয়ে কি বলে তা একটু জানাবেন জানালে উপকৃত হতাম। হয়তো কথাগুলি গুছিয়ে লিখতে পারিনি এর জন্য ক্ষমা চাইছি এ বিষয়টা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন অনেকে বলেন এগুলো যাবে না অনেকে বলেন যাবে কোনটার উপরে আমরা আমল করব আদৌ কি এটা সমাজের বুকে ভুল জিনিস প্রচলিত হয়ে আছে নাকি সঠিক তা একটু জানাবেন। এবং মুসাফাহা করার সময় অনেকে হাতে পয়সা গুঁজে দেয় কেউ কেউ পয়সা দেয় যেমন বক্তারা স্টেজে বক্তব্য করার পরে অনেক সময় মুসাফাহা করতে গিয়ে আমরা তাদের হাতে ১০০ টাকা ৫০ টাকা দেই মুসাফাহা করার সময় বা ঈদের নামাজের পরে ইমাম সাহেবের সাথে মোসাফাহা করা এটাকে আমরা জরুরী মনে করি এবং আমরা অনেকে হাতে ১০০ টাকা ৫০০ টাকা দিয়ে থাকি তাহলে কি খালি হাতে মুসাফাহা করা যাবে না টাকা পয়সা দিতে হবে এ সমস্ত বিষয় একটু স্পষ্ট করে জানাবেন জাযাকাল্লাহ। লেখার মধ্যে ভুল হয়েছে কষ্ট করে বুঝে নেবেন এবং বেয়াদবি করে থাকলে ক্ষমা করবেন
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১৬ অক্টোবর, ২০২২
West Bengal ৭৪৩৩৯৯