প্রশ্নঃ ২৩৬৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমার প্রশ্নটি হল। ঈদের দিন ঈদের নামাজের পরে মুসাফা করা এবং মোয়ানাকা করার বিষয়ে অনেক ওলামায়ে কেরাম বলে থাকেন ঈদের দিন নামাজের পরে মুসাফাহা মুয়ানাকা নাকি করা যাবে না এও বলে থাকেন যে এটা আমরা সমাজে একটি আমল বলে গণ্য করে নিয়েছি কিন্তু এটা বিশেষ কোন আমল নয় সুতরাং তাহলে ঈদের দিনে কি মুসাফাহা মহানাকা করা যাবে না শরীয়ত এ বিষয়ে কি বলে তা একটু জানাবেন জানালে উপকৃত হতাম। হয়তো কথাগুলি গুছিয়ে লিখতে পারিনি এর জন্য ক্ষমা চাইছি এ বিষয়টা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন অনেকে বলেন এগুলো যাবে না অনেকে বলেন যাবে কোনটার উপরে আমরা আমল করব আদৌ কি এটা সমাজের বুকে ভুল জিনিস প্রচলিত হয়ে আছে নাকি সঠিক তা একটু জানাবেন। এবং মুসাফাহা করার সময় অনেকে হাতে পয়সা গুঁজে দেয় কেউ কেউ পয়সা দেয় যেমন বক্তারা স্টেজে বক্তব্য করার পরে অনেক সময় মুসাফাহা করতে গিয়ে আমরা তাদের হাতে ১০০ টাকা ৫০ টাকা দেই মুসাফাহা করার সময় বা ঈদের নামাজের পরে ইমাম সাহেবের সাথে মোসাফাহা করা এটাকে আমরা জরুরী মনে করি এবং আমরা অনেকে হাতে ১০০ টাকা ৫০০ টাকা দিয়ে থাকি তাহলে কি খালি হাতে মুসাফাহা করা যাবে না টাকা পয়সা দিতে হবে এ সমস্ত বিষয় একটু স্পষ্ট করে জানাবেন জাযাকাল্লাহ। লেখার মধ্যে ভুল হয়েছে কষ্ট করে বুঝে নেবেন এবং বেয়াদবি করে থাকলে ক্ষমা করবেন
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
(১) মূলত কোলাকুলির বিধান হল দীর্ঘদিন পর কোন কাছের মানুষের সাথে দেখা হলে কোলাকুলি করবে। এখন ঈদের জামাতের পর যদি কোন কাছের মানুষের সাথে দেখা হয়, তাহলে সালাম বিনিময়ের পর কোলাকুলি করতে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু এটিকে ঈদের নামাযের পরের সুন্নত মনে করা বিদআত।
কিংবা আমভাবে সবার সাথেই ঈদের নামায শেষ হতেই কুলাকুলি শুরু করে দেয়া একটি রুসুম। সুন্নাত, মুস্তাহাব কিছুই নয়। এটিকে সুন্নাত, মুস্তাহাব ইত্যাদি মনে করা বিদআত হবে।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মাঝে এমন বিষয়ের নতুন চালু করে, যা এর অন্তর্ভূক্ত ছিল না, তাহলে সে কাজটি বর্জনীয়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৮]
এভাবে হাদিয়া দেওয়া একান্তই মুহাব্বত ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ব্যাস! এতটুকুই। এরচে বেশী কিছু নয়। মুসাফাহার সাথে হাদিয়া দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ওলামায়ে কেরাম বলেন মুসাফারা মাঝে হাদিয়া গুঁজে দেওয়া ঠিক নয়। বরং সেটা মুসাফাহার পর দেওয়া উচিত। সম্ভবত এর কারণ এটাই যেন মানুষ হাদিয়া দেওয়াকে মুসাফাহার অনুষঙ্গ মনে না করে। তাই যখন সময় সুযোগ হয় তখন কারো সাথে মুসাফাহা করা উচিত কিন্তু তাই বলে হাদিয়া দেওয়াকে মুসাফাহার আবশ্যকীয় মনে করা জায়েজ নাই।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন