و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
কোন পুরুষের জন্য ননমাহরাম নারীর সাথে অপ্রয়োজনে কথা বলা, হাসরস্য করা, কিংবা খোলামেলাভাবে কথা বলা জায়েজ নাই। এই কথাই ফেতনার অন্যতম কারণ। তাই যেখানে প্রয়োজন সেখানে পর্দায় থেকে প্রয়োজন পরিমাণে কথা বলার অবকাশ আছে। এবং সেক্ষেত্রে উভয়ের মাঝে কথার টোন গুরুগম্ভীর হওয়া উচিত। বিশেষত নারীরা তাদের স্বর কোমল করবে না।

কেননা আরবিভাষায় জরুরত শব্দটি "ضرر" বা"ক্ষতি" ধাতুমূল থেকে নির্গত হয়েছে। শরীয়তের দৃষ্টিতে "ضرر" শব্দটি ব্যক্তিগত এবং আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়।অর্থাৎ, যদি ওই কাজটি করা না হয় তবে জান-মালের ক্ষতির প্রকৃত ঝুঁকি রয়েছে।

কাজেই যেখানে এই পরিমাণ ঝুকি রয়েছে কেবল সেখানেই গায়ের মাহরামের সাথে কথা বলার অবকাশ আছে।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনি যাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাদের সাথে কথা বলা নিশ্চয়ই এই প্রকারের প্রয়োজনের অন্তর্ভূক্ত নয়! তাদের সাথে কেবলই সৌজন্য রক্ষার্থে কিছু খোঁজ খবর রাখা, ব্যাস!! আর এই কাজটা আপনি আপনার মাহরাম (স্ত্রী, মা, বোন কিংবা মেয়ে) এর মাধ্যমেও করতে পারেন।আমাদের অনেকের ধারণা শুধু কথা বললেই সম্পর্ক ভালো থাকে। বিষয়টি আসলে তা নয়। বরং ওই সব ননমাহরামদের বাড়িতে গিয়ে কিংবা না গিয়েও যদি তাদের জন্য কোনো হাদিয়া পাঠানো হয় তাহলে তারা সাক্ষাতের চেয়ে আরো অধিক খুশি হবে।

প্রিয় দ্বিনি ভাই!
এছাড়াও আপনি সর্বদা কোনো কামেল শায়েখের সোহবত অবলম্বন করুন। তখন তিনি আপনাকে সীমা নির্ধারণ করে দিবেন যে, কতটুকু পর্যায়ে আপনি ননমাহরামদের সাথে কথা বলতে পারবেন।


مرد کے لیے نامحرم عورت سے بلاضرروت گفتگو، ہنسی مذاق اور بے تکلفی کرنا جائز نہیں، نیز یہ عمل فتنہ کا موجب ہے، لہٰذا جہاں ضرورت ہو وہاں بھی پردے کے اہتمام کے ساتھ صرف بقدرِ ضرورت گفتگو کی جائے، اور جانبین سے لہجے سنجیدہ رہیں، خصوصًا عورت اپنے لہجے میں نرمی نہ لائے۔
ضرورت کا لفظ "ضرر" سے ہے، اور ضرر نقصان کو کہتے ہیں، شرعاً اس کا اطلاق جانی اور مالی دونوں نقصانات پر ہوتاہے، یعنی اگر وہ کام نہ کیا جائے تو جانی یا مالی نقصان کا واقعی خطرہ ہو۔ نیز بعض اہل علم کی تصریحات کے مطابق ضرورت میں وہ صورت شامل ہے جہاں دینی یا دنیاوی مصالح اس پر موقوف ہوں؛ لہذا جہاں ایسی صورت پائی جاتی ہو وہاں نامحرم سے بات کرنے کی اجازت ہوگی، دوسرے الفاظ میں یوں کہا جاسکتا ہے کہ حاجتِ شدیدہ کی صورت میں بقدرِ ضرورت گفتگو کی اجازت ہے۔ اس تفصیل کی روشنی میں ہر شخص جس معاملے میں مبتلی بہ ہو اس کے لحاظ سے خود یہ جان سکتا ہے کہ آیا یہاں ضرورت پائی جارہی ہے یا نہیں۔ اگر ایسی ضرورت پائی جارہی ہو کہ اس گفتگو کے بغیر دینی یا دنیوی مصالح فوت ہوتے ہوں تو وہاں گفتگو کی اجازت ہوگی، اور جہاں ایسی ضرورت نہ ہوں وہاں گفتگو کی اجازت نہیں۔
فتاوی شامی میں ہے:
'' فإنا نجيز الكلام مع النساء الأجانب ومحاورتهن عند الحاجة إلى ذلك، ولا نجيز لهن رفع أصواتهن ولا تمطيطها ولا تليينها وتقطيعها؛ لما في ذلك من استمالة الرجال إليهن، وتحريك الشهوات منهم، ومن هذا لم يجز أن تؤذن المرأة ''. (3/72)
الأشباه والنظائر - (1 / 85 ط:دارالکتب العلمیة بیروت):
"فائدة قال بعضهم المراتب خمسة ضرورة وحاجة ومنفعة وزينة وفضول فالضرورة بلوغه حدا إن لم يتناوله الممنوع هلك أو قارب وهذا يبيح تناول الحرام والحاجة كالجائع الذي لو لم يجد ما يأكله لم يهلك غير أنه يكون في جهد ومشقة".
شرح تنقيح الفصول - (3 / 45):
"وعرفها الشاطبي بأنها:"مالابد منها في قيام مصالح الدين والدنيا بحيث إذا فُقِدت لم تَجْرِ مصالح الدنيا على استقامةٍ ، بل على فسادٍ وتهارجٍ وفوت حياةٍ ، وفي الأخرى: فوت النجاة والنعيم ، والرجوع بالخسران المبين."
فتوی نمبر : 144203200460
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

والله اعلم بالصواب