আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইসরাইলি বর্ণনা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন

প্রশ্নঃ ২৪৮৪৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,আমাকে এক আলেম বললো ঈসরাইলি রেওয়াত বা ঘটনা বর্ণনা করা যাবে আর হাদিস এ নাকি এর অনুমোদন আছে . আমি সেই আলেমকে জিজ্ঞেস করেছি সুলাইমান আর তিমি মাছের ঘটনা তো কুরআন হাদিসে নেই। সে হ্যাঁ বললো । আবার বলল, রাসুল সা: নাকি বলেছেন, ইসরাইলি বর্ণনা বা রিওয়াত মানুষকে বলা যাবে যেমন সুলাইমান আ: ও তিমি মাছের ভিত্তিহীন ঘটনা...তিনি কী ঠিক বলেছেন?,

১৯ নভেম্বর, ২০২২

Bankra, Howrah, WB, India

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, যে হাদিসে রাসুলুল্লাহ ﷺ 'ইসরাঈলিয়াত' বর্ণনা করার অনুমতি দিয়েছেন, সে হাদিস এই যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
بَلِّغُوا عَنِّي ولو آيَةً، وَحَدِّثُوا عن بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ، وَمَن كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
আমার পক্ষ থেকে মানুষকে পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (সহীহ বুখারী ৩৪৬১)
তবে বনী ইসরাঈল হতে কেবল ইসলাম সমর্থিত বর্ণনাগুলো বলা যাবে। ব্যাপকভাবে তাদের সব রকম বর্ণনা গ্রহণ করা সমীচীন নয়। হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর নামে মিথ্যা আরোপ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে এদিকেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। যেমন, শায়খ মুহাম্মদ আমীন আশশিনকিতী রহ. বলেন,
ومن المعلوم أن ما يروى عن بني إسرائيل من الأخبار المعروفة بالإسرائيليات له ثلاث حالات في واحدة منها يجب تصديقه وهي ما إذا دل الكتاب أو السنة الثابتة على صدقه ، وفي واحدة يجب تكذيبه وهي إذا ما دل القرآن والسنة على كذبه ، وفي الثالثة لا يجوز التكذيب ولا التصديق … وهي ما إذا لم يثبت في كتابٍ ولا سنَّة صدقه ولا كذبه .
وبهذا التحقيق تعلم أن القصص المخالفة للقرآن والسنة الصحيحة التي توجه بأيدي بعضهم زاعمين أنها في الكتب المنزلة يجب تكذيبهم فيها لمخالفتها نصوص الوحي الصحيح التي لم تحرف ولم تبدل والعلم عند الله تعالى
বলা বাহুল্য, বনু ইসরাঈলের বর্ণনা যেগুলো 'ইসরাঈলিয়াত' নামে পরিচিত; তিন ধরণের হতে পারে।
১. যেগুলো বিশ্বাস করা আবশ্যক; সেগুলোর সত্যতার পক্ষে কুরআন ও সুন্নাহয় প্রমাণ বিদ্যমান।
২. যেগুলো অবিশ্বাস করা আবশ্যক; সেগুলো কুরআন ও সুন্নাহয় মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
৩. যেগুলো সত্য কিংবা মিথ্যা কোনোটাই বলা বৈধ হবে না; সেগুলোর সত্য কিংবা মিথ্যা বলে কুরআন ও সুন্নাহ প্রমাণ নেই।
উক্ত তাহকিক থেকে বোঝা যায়, যে সকল কেচ্ছা-কাহিনী কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত; যেগুলো তাদের মধ্যে বর্তমানে প্রচলিত আছে। তারা ধারণা করে যে, এগুলো নাযিলকৃত কিতাবসমূহে আছে--আমাদের অবশ্যই সেগুলো প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কেননা, সেগুলো এমন সত্য অহির বিরুদ্ধে যায়; যা বিকৃত বা পরিবর্তিত হয় নি। আর সেগুলোর প্রকৃত সত্য একমাত্র আল্লাহর ইলমে আছে। (আযওয়াউল বায়ান ৩/৩৪৬)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯১৩৬৩

তলাবায়ে কেরাম যেন নিজের ‘শুরু’ না ভোলেন


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভৈরব

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৪০১৬৭

নামাজে উঠা বসার তাকবিরগুলো কখন আদায় করা উচিত?


১৬ অক্টোবর, ২০২৩

বরুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮৮৪৩৯

ভাড়াটিয়ার দায়


৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ফুলতলা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪০৯৩৩

রাসূলুল্লাহ সা. কি সম্পর্কে ওয়ারাকা ইবনে নওফিলের ভাতিজা ছিলেন?


১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গোবিন্দগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy