আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রুকু-সিজদার তাসবিহর সংখ্যা

প্রশ্নঃ ২৪৪৬৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রুকু বা সেজদার তাজবিহ কি তিন বারি বলতে হবে নাকি তিনের অধিক বলা জাবে?আর প্রথম সেজদায় যে কই বার তাজবি পাঠ করবো দ্বিতৃয় সেজদাই কি প্রথম সেজদার সমপরিমান বলতে হবে?

৩১ অক্টোবর, ২০২২
নামবিহীন রাস্তা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম) পড়া সুন্নাত।(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৮৮৯)

পূর্ণ হাদীসঃ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، - أَوْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ - عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَوْمِهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، بِمَعْنَاهُ زَادَ قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَكَعَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ " . ثَلاَثًا وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى وَبِحَمْدِهِ " . ثَلاَثًا .

আহমদ ইবনে ইউনুস (রহঃ) .... উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত ... পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ। এতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু করতেন, তখন “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম ওয়া বিহামদিহি” তিনবার বলতেন। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা ওয়া বিহামদিহি” তিনবার পাঠ করতেন। (
[হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।]


★ রুকু সেজদার তাসবিহ যেহেতু সুন্নাত,তাই এগুলো না পড়লে বা তিন থেকে কম বা বেশি,জোড়া পড়লে বা একটার জায়গায় আরেকটা পড়লে কোনো সমস্যা নেই।

নামাযের রু'কু এবং সেজদাতে তাসবীহ পাঠ সুন্নত।যদি কোনো কারণে কেউ তাসবীহ পাঠ করতে পারে না।তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।তবে বিনা কারণে এমনটা করা মাকরুহ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫৮)

وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ فَلَوْ تَرَكَ التَّسْبِيحَ أَصْلًا أَوْ أَتَى بِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً يَجُوزُ وَيُكْرَهُ

মুসাল্লি রু'কু তে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম বলবে।এবং এটা সর্বনিম্ন।তবে যদি কেউ তাসবীহ ছেড়ে দেয়,মূলত সে পড়ে না।অথবা একবার পড়ে নেয়,তাহলে সেটাও জায়েয আছে।তবে মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৪)

والله اعلم بالصواب

মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন