و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার উপার্জন থেকে পিতা-মাতার ভরণপোষণের জন্য ন্যায় সঙ্গতভাবে খরচ দিতে থাকুন, যদি বাবার উপার্জন থেকে তারা ব্যবহার নির্বাহ করতে সক্ষম না হয়‌।
সুদের ভিত্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে আপনার অসম্মতি জ্ঞাপন অন্যায় নয়। বরং আপনি সুদ থেকে ফেরানোর জন্য বিষয়টিকে মজবুতির সাথে বলতে থাকুন। আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে থাকুন, যেন তারা সুদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
(অবশেষে বাবাকে অভিশপ্ত সুদ থেকে বের করে আনার দায়িত্ব আপনার উপরও বর্তায়)

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা যদি প্রকৃত মুমিন হয়ে থাক, তবে সুদের যে অংশই (কারও কাছে) অবশিষ্ট রয়ে গেছে, তা ছেড়ে দাও।
—আল বাকারা - ২৭৮

###
আপনার বিবাহের প্রয়োজনের বিষয়টি সুন্দরভাবে অভিভাবকদেরকে বুঝিয়ে বলুন। অথবা আত্মীয়দের মধ্যে যাদের কথাকে আপনার পিতা-মাতা মানবেন, শুনবেন, তাদের মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করুন। সলাতুল হাজত পড়ে পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে থাকুন। আল্লাহ তাআলা সহজ করবেন ইনশাআল্লাহ।
আর যদি অভিবাবকরা এ মুহূর্তে কিছুতেই বিবাহের সম্মতি না দেয় তাহলে অধিকহারে নফল রোজা রাখতে পারেন। কেননা, রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন,

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ منكُم الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ

‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখ তাদের উচিত বিয়ে করে ফেলা। কেননা বিয়ে দৃষ্টি অবনতকারী ও লজ্জাস্থানকে হেফাযতকারী। আর যার সামর্থ্য নেই তার উচিত রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।’ (বুখারী ৫০৬৬)

আল্লাহওয়ালাদের সোহবত-সংস্পর্শ গ্রহণ করার উপদেশ বিশেষভাবে দিচ্ছি। এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা এবং তওবার উপর অটল থাকা সহজ হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ

‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।’ (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)

যদি আপনি এভাবে আমাদের পরামর্শগুলো মেনে ধৈর্য্য ধারণ করে চলতে পারেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আল্লাহ আপনাকে এমনভাবে পুষিয়ে দিবেন; যার কল্পনাও বান্দা করতে সক্ষম নয়। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ

‘যারা ধৈর্য্য ধারণকারী, তারাই নিজেদের পুরস্কার পায় অগণিত।’ (সূরা যুমার ১০)

والله اعلم بالصواب