আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

খুতবা চলাকালে খতিব সাহেবের জন্য কথা বলা

প্রশ্নঃ ২৪০৯৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম,এক মসজিদে খতিব সাহেব জুমার জন্য দ্বিতীয় আজান দেওয়ার পরে খুতবা আরম্ভ না করে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেছেনযেমন মিলাদ কিয়াম করা যাবে না ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে না এই জাতীয় কিছু বৈধ কথাবার্তা বলেছেন তিনিএখন প্রশ্ন হচ্ছে জুমার দ্বিতীয় আযান হয়ে যাওয়ার পরে ইমাম সাহেব বা খতিব সাহেব খুৎবা ব্যাতীরেকে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলাপ করা ঠিক হবে কিনা?

৩১ অক্টোবর, ২০২২
৫৩১৬০-১৮০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


খুতবা চলাকালে মুসল্লীদের জন্য কথা বলা নিষেধ হলেও খতিব সাহেবের জন্য কথা বলা নিষিদ্ধ নয়। বরং প্রয়োজন মনে করলে তিনি মুসল্লিদের লক্ষ করে জরুরী কোনো কথা বলতে পারেন। সুন্নাহ দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত।। হাদিস শরিফে আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত।
أَنَّ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَقَالَ عُمَرُ لِمَ تَحْتَبِسُونَ عَنِ الصَّلاَةِ فَقَالَ الرَّجُلُ مَا هُوَ إِلاَّ سَمِعْتُ النِّدَاءَ تَوَضَّأْتُ‏.‏ فَقَالَ أَلَمْ تَسْمَعُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏إِذَا رَاحَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ
জুমার দিন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. খুতবা দিচ্ছিলেন।ইত্যবসরে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলেন। হযরত উমর রা. তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, সময় মত নামাজে আসতে তোমরা কেন বাধাগ্রস্ত হও? আগন্তুক বললেন, আযান শোনেই আমি অজু করেছি। তখন উমর রা. বললেন, তোমরা কি রাসূলুল্লাহ সা. কে এ কথা বলতে শোননি যে, যখন তোমাদের কেউ জুমার নামাজে রওয়ানা হয়, তখন সে যেন গোসল করে নেয়।’ [সহিহুল বুখারী। হাদিস: ৮৮২]

ওপরোক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায় প্রয়োজনে খতিব সাহেবের জন্য খুতবা চলাকালে কথা বলা জায়েজ আছে। শরঈ দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন