আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৩১৩৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, হযরত!আমি ইমাম সাহেবের পিছনে এশার নামায আদায় করি।প্রথম রাকাতে তিনি দুই সিজদাহ দিয়ে বসে পড়েন!তিনি এতোটুকু পরিমান বসে ছিলেন যে,আমরা মুসল্লীগন প্রায় অর্ধেক উঠে গিয়ে লোকমা দেই!ইমাম সাহেব লোকমা গ্রহণ করেন!তারপর অবশিষ্ট বাকি রাকাত পড়ান।কিন্তু!শেষ রাকাতে সাহু সিজদাহ দিলেন না! তাকে কেউ কিছুই বলেনি!কারন,এই ঘটনা নতুন নয়!যারাই সাহু সিজদার কথা বলেছে, তাকেই উত্তরে বলেছেন,আমি তিন তাসবিহ পরিমান দেরি করিনি!যার কারনে সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হয়নি বা দেয়া লাগবে না!*কিন্তু আমি যে এশার নামায আদায় করলাম!এই ক্ষেত্রে কি আমাদের নামায শুদ্ধ হয়েছে কিনা?? এই ক্ষেত্রে কি সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হয়েছে??আর ওয়াজিব হলে সিজদাহ না দেয়ায় কি আমাদের নামায হবে??*তিনি যে দাবি করেন তিন তাসবিহ পরিমান সময় তিনি দেরি করেন নি।যার কারনে সাহু সিজদাহ দেয়ার প্রয়োজন নেই!কিন্তু তিনি লোকমা গ্রহণ করেন!তাঁর এই ধারনাটির কি বাস্তবিক কোনো দলিল আছে???✉হযরতের নিকট দলিলভিত্তিক উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।جزاكم الله و احسن الجزاء💘💘

৩ অক্টোবর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





দ্বিতীয় সাজদাহ করে সোজা না দাঁড়িয়ে সামান্য সময় বসলে নামাযের ওয়াজিব তরক হয় না। তবে যদি এই বসা এতোটুকু দীর্ঘ হয় যে, ঐ বসার মধ্যে তিনবার তাসবীহ পড়া যেত, তাহলে এই ভুলের জন্য সাজদাহ সাহু লাগবে।
প্রশ্নের বর্ণিত সুরতে ইমাম সাহেব যেহেতু খুবই সামান্য সময় বসেছেন, পিছন থেকে লোকমা দেওয়ায় তিনি উঠে দাঁড়িয়েছেন। অতএব সাজদা সহূ ওয়াজিব হয়নি। ইমাম এবং মুসল্লী সকলের নামাজ শুদ্ধ হয়েছে। এই নিয়ে পেরেশানির কোন কারণ নেই।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلاَتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا .

৮৪৪. মুসাদ্দাদ ..... মালিক ইবনুল হুআয়রিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার নামাজের বেজোড় রাকাতগুলোতে দ্বিতীয় সাজদা হতে ওঠে সামান্য বসে তারপর দাঁড়াতে দেখেছেন।
—সুনানে আবু দাউদ, ইফা নং ৮৪৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন