আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১২৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজে অমনোযোগি হলেআউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজীম পড়ে বাম দিকে তিনবার থু থু দিলে শয়তান মারা যায়?,

১২ আগস্ট, ২০২২

মুন্সিগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী! নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের মৌলিক পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ। তাই নামাজে সর্বোচ্চ মনযোগ প্রদানের চেষ্টা করতে হবে। এবং নামাজে মনোযোগ নষ্ট করে এমন সব বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে। নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করলে আশা করি নামাজের মনযোগ ঠিক থাকবে।
এক. নিজের মনকে বেশীবেশী নেক আমলের মাধ্যমে শক্তিশালী করা।
দুই. সর্বদা হালাল খাবার গ্রহন করা।
তিন. ভালোভাবে অজু করা।
চার. ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সুরা কেরাত পড়েন তখন মনযোগের সাথে ইমামের কেরাত শ্রবণ করা এবং যথাসম্ভব অর্থের প্রতি খেয়াল করা।
পাঁচ. নামাজের মধ্যে আমি যেন আল্লাহকে দেখছি এই কল্পনা করা। যদি সেটা নাও হয়ে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে দেখছেন সেটা মনে রাখা।
أنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأنَّكَ تَرَاهُ، فإنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فإنَّه يَرَاكَ، (বুখারি)
ছয়. নামাজের সূরা, রুকুর তাসবিহ, সেজদার তাসবিহ, আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরীফ ইত্যাদি ধীরস্থিরভাবে মনযোগের সাথে পাঠ করা।

ওপরোক্ত আমলগুলো করার পরও যদি নামাজে কোনো মন্দ চিন্তা আসে তাহলে সে সম্পর্কে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে,

أنَّ عثمانَ بن أبي العاصِ أتى النبيَّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ فقال : يا رسولَ اللهِ . إنَّ الشيطانَ قد حال بيني وبين صلاتي وقراءَتي . يُلَبِّسُها عليَّ . فقال رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ «ذاك شيطانٌ يُقالُ له خَنزَبٌ . فإذا أحسستَه فتعوَّذْ بالله منه . واتفُل على يسارِك ثلاثًا» فقال : ففعلتُ ذلك فأذْهَبَه اللهُ عني

হযরত উসমান ইবনে আবুল আস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ!

শয়তান নামাজ ও কেরাতের মধ্যেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সে আমার মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয়। রাসূলুল্লাহ সা. তখন তাঁকে বললেন, ওটা একটা শয়তান! যাকে খিনযাব বলা হয়। যখন তোমার মনে তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তা থেকে তুমি আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় চাইবে (আউজুবিল্লাহ বলবে) এবং বামদিকে তিনবার থুথু ফেলবে। হযরত উসমান রা.বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সা. এর নির্দেশনা অনুযায়ী এরূপ করলে আল্লাহ তায়ালা আমার কাছ থেকে শয়তানকে দূর করে দেন।(সহিহ মুসলিম, হাদিস-২২০৩)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ওপরের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৬৬৩৬

ইমাম সাহেব একাকী নামাজ শুরু করার পর, কেউ শরিক হলে কেরাত কিভাবে পড়বে?


৬ জুলাই, ২০২৪

West Bengal ৭১২৭০৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৭৫৯৯৯

কারো মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ বলা


২১ অক্টোবর, ২০২৪

গোপালগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬০৯৭৫

শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে করণীয়


১২ মে, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪৯৩৮৭

মাথা বা হাতের ইশারায় সালাম আদান-প্রদান জায়েজ?


২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy