আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১১১০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, as salamualikum Ami Janet chai moharom maser koyti roja hadise Ase?,

৩০ জুলাই, ২০২২

Kalipara

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




-মহাররম মাসের (আশুরার) সিয়াম ২ টি রাখতে হয় ৯ এবং ১০ মহররম বা ১০ এবং ১১ মহররম।

দলিল হচ্ছে,"আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার সিয়াম রাখলেন এবং সিয়াম রাখার আদেশ দিলেন, তখন সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রসূল! এটি তো এমন একটি দিন, যাতে ইয়াহুদী-নাসারারা ও সম্মান করে। তখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আগামী বছর ইনশা-আল্লাহ নয় তারিখেও সিয়াম রাখবো। কিন্তু আগামী বছর আসার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। [বুখারী]

আশুরার রোজার মহান মর্যাদার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি এ রোজার ব্যাপারে খুব আগ্রহী থাকতেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: “ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে আশুরার রোজা ও এ মাসের রোজা অর্থাৎ রমজানের রোজার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যত বেশি আগ্রহী দেখেছি অন্য রোজার ব্যাপারে তদ্রূপ দেখিনি। ”[সহিহ বুখারি (১৮৬৭)]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করে দেখলেন ইহুদীরা আশুরার দিন সিয়াম রেখেছে।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন: এটি কোন সিয়াম? তারা উত্তর দিল যে, এটি একটি বিরাট পবিত্র দিন। এদিনে আল্লাহ তায়ালা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রদের কবল থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। তাই মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিন সিয়াম রেখেছেন।

নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন: তাদের চেয়ে মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমার সম্পর্ক অধিক। সুতরাং তিনি সিয়াম রাখলেন এবং সাহাবীদেরকে সিয়াম রাখার আদেশ দিয়েছেন।”[বুখারী]

হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: আইয়ামে জাহেলিয়াতেও কুরাইশরা আশুরার সিয়াম রাখত। রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এ দিনে সিয়াম রাখতেন। মদিনায় হিজরত করে এসেও তিনি এ দিন সিয়াম রেখেছেন এবং লোকদেরকে সিয়াম রাখার আদেশ দিয়েছেন। যখন রমযানের সিয়াম রাখা ফরজ করা হল তখন আশুরার সিয়াম ছেড়ে দিলেন। সুতরাং তখন থেকে যার ইচ্ছা সিয়াম রাখত আর যার ইচ্ছা সিয়াম রাখা ছেড়ে দিত।”[বুখারী]

আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মোচন করে।

দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী: “আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করছি আরাফার রোজা বিগত বছর ও আগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে। আরও প্রত্যাশা করছি আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে।”[সহিহ মুসলিম (১১৬২)]

এটি আমাদের উপর আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ একদিনের রোজার মাধ্যমে বিগত বছরের সব গুনাহ মার্জনা হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মহান অনুগ্রহকারী।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৮৮২৯

তাহাজ্জুদের ফযীলত


১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Tamil Nadu ৬২৮৪০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৭৭৪৮৭

নখ কাটার সুন্নত


৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৯০২১৪

রজব শব্দটি মুনসারিফ নাকি গায়রে মুনসারিফ?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

৮P৩C+GV৭

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৮৫৭৪৫

ইল্লাল্লাহ জিকির করার বিধান


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

কালিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy