নামাজ না পড়লে কি সন্তানকে মিরাস থেকে বঞ্চিত করা যাবে?
প্রশ্নঃ ২১০০৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সহিহ হাদিসে সুস্পষ্টভাবে এসেছে যে, নামায ত্যাগকারী কাফের। আমরা যদি হাদিসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণ করি তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগকারীকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্ছিত করা, তাদের জন্য বিশেষ গোরস্তান নির্ধারণ করা, তাদের জানাযার নামায না-পড়া ও সালাম না-দেওয়া ওয়াজিব।এক্ষেত্রে শরিয়তের সঠিক হুকুম কি? আপনাদের এক প্রশ্নের জবাবে দেখলাম আপনারা লিখেছেন যে কোন ব্যক্তি যদি সে নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার না করে, কিন্তু অলসতাবশতঃ নামায ত্যাগ করে তাহলে সে ব্যক্তি কবিরা গুনাহগার। তবে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ হয়ে যাবে না। তাহলে এই হাদিসের ব্যাখ্যা কি দয়া করে জানাবেনأنَّه دخَلَ على عُمَرَ بنِ الخطابِ بعد أنْ صلَّى الصُّبحَ مِن الليلةِ التي طُعِنَ فيها عُمَرُ، فأُوقِظَ عُمَرُ، فقيل له: الصلاةُ. لصلاةِ الصُّبحِ، فقال عُمَرُ: نعَمْ، ولا حظَّ في الإسلامِ لمن ترَكَ الصلاةَ، فصلَّى عُمَرُ وجُرْحُه يثعُبُ دمًا. .الراوي: المسور بن مخرمة المحدث: شعيب الأرناووط المصدر: تخريج شرح السنة الصفحة أو الرقم: 330 خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح,
১৮ অক্টোবর, ২০২৩
Debidwar
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যে ব্যক্তি ইচ্ছে করে কোনো ওযর ব্যতীত নামায ছেড়ে দেয়, সে ফাসেক হয়ে যায়। তাকে বন্দী করে নসীহত, উপদেশ ও শাসনের মাধ্যমে এই গুনাহ থেকে তাওবা করতে বাধ্য করা হবে। কিন্তু নামায ছাড়ার কারণে তাকে কাফের বা মুরতাদ বলা যাবে না। কেননা ইসলামের স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম হলো, الكبيرة لاتخرج المؤمن عن الايمان কবীরা গুনাহ মানুষকে ঈমানের গন্ডি থেকে বের করে না।
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস ও এমন আরো কিছু রেওয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, সে কাফের হয়ে যাবে। কিন্তু এই হাদীস গুলো বাহ্যিক অর্থ বুঝায় না। বরং অধিক তাকিদ বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়েছে। হাদীস শরীফে তাকীদ বুঝানোর জন্য এভাবে অনেক কিছুই বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, হাদীসে আছে- لا صلوة لجار المسجد الا في المسجد মসজিদের প্রতিবেশীর জন্য মসজিদ ছাড়া নামায নেই।
ঠিক তেমনিভাবে এখানেও তাকীদ বুঝানোর জন্য এভাবে বলা হয়েছে, যে নামায ছেড়ে দিলো, সে কেমন যেন কুফরী করল। কেননা, মুসলিম আর অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী হলো নামায। যদি নামাযই না পড়ে, সে তো কাফেরদের মতো আচরণ করল।
কোনো কোনো মুহাদ্দিসগণ বলেছেন, এই হাদীসগুলোর অর্থ হচ্ছে যে ব্যক্তি নামাযকে অস্বীকার করে সে কাফের হয়ে যাবে। ইসলামে তার কোনো অংশ নেই।
এই হাদীস গুলোর মধ্যে বাহ্যিক অর্থ না নিয়ে রুপক অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ এমন অনেক হাদীস আছে, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, শুধুমাত্র নামায ছাড়লে কাফের হবে না। নিম্নে দুইটি হাদীস উল্লেখ করা হলো:
حدثنا أنس بن مالك، أن النبي صلى الله عليه وسلم ومعاذ رديفه على الرحل قال " يا معاذ بن جبل ". قال لبيك يا رسول الله وسعديك. قال " يا معاذ ". قال لبيك يا رسول الله وسعديك. ثلاثا. قال " ما من أحد يشهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله صدقا من قلبه إلا حرمه الله على النار ". قال يا رسول الله، أفلا أخبر به الناس فيستبشروا قال " إذا يتكلوا ". وأخبر بها معاذ عند موته تأثما .
১২৮، আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার মু‘আয (রাযিঃ), নবী (ﷺ) এর পিছনে সাওয়ারীতে উপবিষ্ট ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে ডাকলেন, হে মু‘আয ইবনে জাবাল! মু‘আয (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ! এবং (আপনার আদেশ পালনের জন্য) প্রস্তুত। তিনি ডাকলেন, মু‘আয! মু‘আয (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ এবং প্রস্তুত। তিনি আবার ডাকলেন, মু‘আয। তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ এবং প্রস্তুত। এরূপ তিনবার করলেন।
এরপর বললেনঃ যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল’ তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। মু‘আয (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি মানুষকে এ খবর দেব না, যাতে তারা সুসংবাদ পেতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তারা এর উপর ভরসা করে বসে থাকবে।’ মু‘আয (রাযিঃ) (জীবনভর এ হাদিসটি বর্ণনা করেন নি) মৃত্যুর সময় এ হাদিসটি বর্ণনা করে গেছেন যাতে (ইল্ম গোপন রাখার) গুনাহ না হয়। (বুখারী)
عن عبد الله بن أبي حبيبة، قال: سمعت أبا الدرداء صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: بينا أنا رديف رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: " يا أبا الدرداء، من شهد أن لا إله إلا الله، وأني رسول الله وجبت له الجنة.
قلت: وإن زنى، وإن سرق؟ قال: فسكت عني ساعة، ثم سار ساعة، فقال: من شهد أن لا إله إلا الله، وأني رسول الله وجبت له الجنة.
قلت: وإن زنى، وإن سرق؟ قال: فكست عني ساعة، ثم سار ساعة، ثم قال: من شهد أن لا إله إلا الله، وأني رسول الله وجبت له الجنة، قال: قلت: وإن زنى، وإن سرق؟ قال: وإن زنى، وإن سرق، وإن رغم أنف أبي الدرداء "، قال: فكأني أنظر إلى أصبع أبي الدرداء السبابة يومئ إلى أرنبته
১০। হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন হাবীবাহ্ (র) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবী হযরত আবুদ দারদা (রা)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি একবার হুযূর (সা)-এর সাথে একই সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ হে আবুদ দারদা (রা)! যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে? হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, এরপর হুযূর (সা) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।
অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে? হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, এরপর হুযূর (সা) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ চলার পর পুনরায় বললেনঃ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, আমি বললাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে চুরি করে?
হযরত আবুদ দারদা (রা) বলেন, এবার হযরত (সা) বলেনঃ যদিও সে ব্যভিচার করে, চুরি করে। আবুদ দারদার নাক মাটি মিশ্রিত হোক। আবুদ দারদা (রা)-এর ছাত্র হযরত আবদুল্লাহ বলেন, আমার ঐ দৃশ্যটা এমনি মনে পড়ে যেন, আমি এখনো দেখছি যে, হযরত আবুদ দারদা (রা) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা স্বীয় নাকের বাঁশীর দিকে ইঙ্গিত করছেন।
এই হাদীস দুটি দ্বারা বুঝা যায়, যে মুখে কালিমার মাধ্যমে ইসলামকে স্বীকার করবে, সে জান্নাতে যাবে। যদিও সে অন্য কোনো ইবাদত না করে।
তাই এসব হাদীসের কারণে নামায তরককারীকে ঢালাওভাবে কাফের বলা যাবে না।
দলীলসমূহ:
في تفسير المظهري
ﻭاﻣﺎ ﺗﺎﺭﻙ اﻟﺼﻼﺓ ﻋﻤﺪا ﻓﻘﺎﻝ اﺣﻤﺪ ﻳﻜﻔﺮ ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ ﻭاﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻭﻫﻮ ﺭﻭاﻳﺔ ﻋﻦ اﺣﻤﺪ اﻧﻪ ﻻ ﻳﻜﻔﺮ ﻟﻜﻦ ﻳﺴﺘﺘﺎﺏ ﻓﺎﻥ ﺗﺎﺏ ﻭاﻻ ﻗﺘﻞ ﻭﻗﺎﻝ اﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻻ ﻳﻘﺘﻞ ﻟﻜﻦ ﻳﺤﺒﺲ اﺑﺪا ﺣﺘﻰ ﻳﻤﻮﺕ اﻭ ﻳﺘﻮﺏ
وفي الاستذكار
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﻳﻀﺮﺏ ﻭﻳﺤﺒﺲ ﺃﺑﺪا ﺣﺘﻰ ﻳﺼﻠﻲ ﻭﺑﻪ ﻗﺎﻝ ﺩاﻭﺩ
ﻭﺫﻛﺮ اﻟﻄﺒﺮﻱ ﺑﺈﺳﻨﺎﺩ ﻟﻪ ﻋﻦ اﻟﺰﻫﺮﻱ ﻗﺎﻝ ﺇﺫا ﺗﺮﻙ اﻟﺮﺟﻞ اﻟﺼﻼﺓ ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﻷﻧﻪ اﺑﺘﺪﻉ ﺩﻳﻨﺎ ﻏﻴﺮ اﻹﺳﻼﻡ ﻗﺘﻞ ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻫﻮ ﻓﺎﺳﻖ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﻀﺮﺏ ﺿﺮﺑﺎ ﻣﺒﺮﺣﺎ ﻭﻳﺴﺠﻦ ﺣﺘﻰ ﻳﺮﺟﻊ
وفي مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح
قلت: ﻭﻧﻌﻢ اﻟﺮﺃﻱ ﺭﺃﻱ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ; ﺇﺫ اﻷﻗﻮاﻝ ﺑﺎﻗﻴﻬﺎ ﺿﻌﻴﻔﺔ، ﺛﻢ ﻣﻦ اﻟﺘﺄﻭﻳﻼﺕ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﺴﺘﺤﻼ ﻟﺘﺮﻛﻬﺎ، ﺃﻭ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﻳﺆﺩﻱ ﺇﻟﻰ اﻟﻜﻔﺮ، ﻓﺈﻥ اﻟﻤﻌﺼﻴﺔ ﺑﺮﻳﺪ اﻟﻜﻔﺮ، ﺃﻭ ﻳﺨﺸﻰ ﻋﻠﻰ ﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﺃﻥ ﻳﻤﻮﺕ ﻛﺎﻓﺮا، ﺃﻭ ﻓﻌﻠﻪ ﺷﺎﺑﻪ ﻓﻌﻞ اﻟﻜﺎﻓﺮ.
والله اعلم بالصواب
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৪৯৫০৮
ওজর ছাড়া সুন্নত নামাজ বসে পড়ার বিধান
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৯০৭৩৭
ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
মনাইর কান্দি

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান
৯১৪৮৫
এক নামাজে দুইবার সেজদায়ে সাহু দিলে নামাজ হবে?
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার
৫০৬৬৪
আসরের পর কাজা নামাজ পড়ার বিধান
৩ জানুয়ারী, ২০২৪
কালিয়াকৈর

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে