و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

জি হ্যাঁ! এক নফল নামাজে একাধিক নিয়ত করা জায়েজ আছে, হাদীস শরীফে এসেছেঃ

الصحیح للبخاری(۲/۱): …… علقمۃ ابن وقاص اللیثی یقول سمعت عمر بن الخطاب رضی اللہ تعالیٰ عنہ علی المنبر یقول سمعت رسول اﷲ ﷺ یقول انما الاعمال بالنیات وانما لامریٔ مانوی۔

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে।

(বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।)

وفی حاشیۃ الطحطاوی علی مراقی الفلاح(صـ۲۱۶): ثم انہ ان جمع بین عبادات الوسائل فی النیۃ صح کمالو اغتسل لجنابۃ وعید وجمعۃ اجتمعت ونال ثواب الکل وکمالو توضا لنوم وبعد غیبۃ وأکل لحم جزور وکذا یصح لونوی نافلتین او اکثر کمالو نوی تحیۃ مسجد وسنۃ وضوء وضحی وکسوف۔
সারমর্ম, কেউ যদি দুইটি নফল নামাজের নিয়ত করে,তার তার উভই নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কেউ যদি তাহিয়্যাতুল মসজিদ,তাহিয়্যাতুল অযু,সুন্নাত,ইত্যাদি এক সাথে নিয়ত করে,তাহলে সবই আদায় হয়ে যাবে।

তবে নফল নামাজ যদি নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট হয় তাহলে নির্দিষ্টভাবে নিয়ত করতে হবে।


وفی الفقہ الاسلامی وادلتہ(۷۷۹/۱): وان کانت الصلاۃ نافلۃ: فیجب تعیینھا ان کانت معینۃ او موقتۃ بوقت کصلوۃ الکسوف والاستسقاء والتراویح والوتر والسنن الرواتب۔


قال في الحلیۃ: لو اشتغل داخل المسجد بالفریضۃ غیر ناو للتحیۃ قامت تلک الفریضۃ مقام تحیۃ المسجد لحصول تعظیم المسجد، کما في البدائع وغیرہ۔ (شامي ۲؍۴۵۹ زکریا)

যার সারমর্ম হলো কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করেই ফরজ নামাজ শুরু করে দেয়,তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়ত নাও করে,তাহলেও এই নামাজ তার তাহিয়্যাতুল মসজিদের জন্য যথেষ্ট হবে।

মসজিদে ঢুকেই কেউ যদি সুন্নাত নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজও আদায় হয়ে যাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)

এক নফল নামাজে একাধিক নফলের নিয়ত করা যায়, তাহিয়্যাতুল অজু ও সালাতুত তাওবা এক নিয়তে পড়া যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩১)

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে ""আপনি চাইলে ইশরাক নামায পড়ার সময় একসাথে দুই নিয়ত করে একবারে পড়তে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই। উভয়টাই আদায় হয়ে যাবে।

والله اعلم بالصواب