আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কার ওয়াজ শোনবো কার ওয়াজ শোনবো না?

প্রশ্নঃ ২০১৭২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইউটিউবে অনেক বক্তা আছে যাদের পরিচয়, নাম, ঠিকানা কিছুই জানা যায় না। তাদের ইলমী যোগ্যতা, ইলমের গভীরতা কিছুই জানা যায় না এজাতীয় বক্তা থেকে কি ধর্মীয় কোন আলোচনা শোনা যাবে? দায় কারে রাহবরী করে উপকৃত করবেন।,

২২ জানুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামের বিধিবিধানের ইলম অর্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এই মহৎ কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য কিছু সতর্কতা কাম্য। যার কাছ থেকে ইলম অর্জন করছি, তাকে ভালোমত জেনে নেওয়া আবশ্যক। অন্যথায় উপকারের চেয়ে বেশী ক্ষতি হ‌ওয়ার আশংকা থাকে। কিয়ামতের আগে অনেক ফেতনা প্রকাশ পাবে। তন্মধ্যে একটি ফেতনা হলো, মানুষ অযোগ্যদের নিকট থেকে দ্বীনী ইলম অর্জন করবে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি উত্তর দিলেন, ছোটদের কাছ থেকে লোকেরা ইলম অর্জন করা শুরু করে দিবে।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় ছোট মানুষ বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে তা জিজ্ঞেস করা হলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, যারা নিজেদের মনগড়া কথাবার্তা বলে বেড়ায় তারাই ছোট লোক। (জামিঊ বয়ানিল ইলম, খ:২ পৃ:৬১২)

এই হাদীস থেকে বুঝা যায় কুরআন সুন্নাহয় প্রাজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে ইলম অর্জন করা জরুরী। ধর্মীয় আলোচনা তাদের যবান থেকে শুনলে বরকত লাভ করা যাবে। এ বিষয়টি আরও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.। তিনি বলেন,
لا يزال الناس بخير ما اخذوا العلم عن اكابرهم فاذا اخذوا عن صغارهم و شرارهم هلكوا
অর্থ: সাধারণ মানুষ বড়দের থেকে ইলম অর্জন করতে থাকলে তারা কল্যাণের উপর থাকবে। যখন তারা পাপিষ্ঠ মানুষের কাছ থেকে ইলম অর্জন শুরু করে দিবে, তখন ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই জ্ঞান অর্জন করার আগে যার নিকট থেকে জ্ঞান অর্জন করছি, তার ব্যাপারে সম্যক অবগত হ‌ওয়া কাম্য। পূর্ববর্তী সকল মুহাদ্দিসিনে কেরাম জানা শোনা ব্যক্তির কাছ থেকে ইলম অর্জনের জন্য তাকীদ করতেন।

হযরত ইবনে সীরীন রহ. বলেন,
ان هذا العلم دين فانظروا عمن تاخذون دينكم
অর্থ: এই ইলম হল দ্বীন। তুমি যার কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো, তাকে ভালোভাবে দেখে নাও। (মুকাদ্দামায়ে মুসলিম শরীফ)

হাদীস, আছার ও বড়দের বাণী সমূহের আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম, ইন্টারনেট যেসব বক্তাদের নাম, ঠিকানা, ইলমী গভীরতা ও খোদাভীরুতা সম্পর্কে কিছুই জানা নেই, তাদের থেকে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা থেকে বিরত থাকা জরুরী। জানা শোনা পরহেযগার আলেমের সামান্য বয়ান হেদায়েতের ওসীলা হতে পারে। আর অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়ান ও লিখনীর দ্বারা ক্ষেত্রবিশেষে হেদায়েতের পরিবর্তে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যেতে পারে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫৩৮১১

বাজি ধরে ক্রিকেট খেলা


১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

গফরগাঁও - টোক সড়ক

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৬৬৮৫৫

যিনাকারীর শাস্তি


৯ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

৪১২০৪

বান্দার হক


২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Dhaka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৪১৮৪৬

চিঠিপত্রে বা ম্যাসেজে পাঠানো সালামের জবাব


৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy