আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৯৬৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম।Dove সাবান কি হারাম উপাদান দিয়ে তৈরী?আর সাবান টা কি ব্যাবহার করা যাবে না??আমার ভাইটা বিদেশ থেকে অনেকগুলো সাবান পাঠিয়েছে,,তাহলে কি করবো এগুলো? ফেলে দিতে হবে?

২৫ জুন, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




একটি ঊসুল বা মূলনীতি জেনে রাখলে এসবের হুকুম আপনি নিজেই বের করে নিতে পারবেন। সেটা হল-
হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। {নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}

أما (الخمر) إذا خلله بعلاج بالملح أو بغيره يحل عندنا (الفتاوى الهندية،كتاب الأشربة وفيه بابان الباب الأول في تفسير الأشربة والأعيان التي تتخذ منها الأشربة وأسماؤها وماهياتها وأحكامه-5/410

অনুবাদঃ- মদকে যখন লবন বা অন্য কিছু দ্বারা সির্কা বানিয়ে ফেলা হয়, তখন তা হালাল হয়ে যায়। {ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০, মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮}

এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বুঝে নিন বিদেশী সাবান পণ্য ইত্যাদি ব্যবহার করার বিধান। যদি শুকর বা অন্য কোন হারাম বস্তু মিশ্রিত হয়, আর মিশ্রিত করার আগে তাকে এমনভাবে প্রসেসিং করে যে, হারাম বস্তুটির মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে, আর যদি মৌলিকত্ব বাকি থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।
সুতরাং ডাব সাবান ইত্যাদি আরো যত সাবান আছে ব্যবহার করা জায়েজ হবে। তবে এসব সাবান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো যেহেতু ইহুদী এবং খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত এবং তাহারা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের পণ্যের লভ্যাংশের একটা অংশ ইসলাম ধ্বংসের জন্য ব্যয় করে থাকে, তাই এসব কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করা হতে বিরত থাকাই উত্তম।

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন