আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আমুসলিমদেরকে গুনাহের কাজে সাহায্য করাও মারাত্মক গুনাহ

প্রশ্নঃ ১৯৫৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার একটি মুভি (সিনেমা) ডাউনলোডিং ওয়েবসাইট আছে, যেটিতে আমি এড দেখিয়ে আয় করি। আমি জানি ইসলামে মুভি দেখা হারাম এবং গুনাহের কাজ। তাই আমি আমার ওয়েবসাইটটি মূলত অন্যধর্মের মানুষদের উদ্দেশ্যে তৈরি করেছি এবং ওয়েবসাইটে লিখেও দিয়েছি যেনো কোনো মুসলমান এই ওয়েবসাইট ব্যবহার না করে। এখন আমার ২টা প্রশ্নঃ (১) আমার ওয়েবসাইট থেকে উপার্জিত অর্থ হারাম হবে কি?যেখানে, আমার টার্গেট অডিয়েন্স তো অন্য ধর্মের মানুষ।(২) কোনো মুসলমান যদি আমার ঐ ওয়ার্নিং/নির্দেশনা দেখা সত্বেও আমার ওয়েবসাইট থেকে মুভি ডাউনলোড দেয় তবে আমার গুনাহ হবে কিনা? যদি গুনাহ হয় তবে সেটা সগিরাহ হবে নাকি কবিরাহ?

২ মে, ২০২৪
কালিয়াকৈর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
গুনাহের কাজ যেমনিভাবে নিজে করা গুনাহ তেমনিভাবে অন্যকে সেই গুনাহ করার সুযোগ করে দেওয়াও গুনাহ। বরং সেখানে গুনাহের পরিমানটা দ্বিগুন হবে। নিজে গুনাহ করার পর আল্লাহ তায়ালার তাওফিকে তাওবা করার সুযোগ আছে কিন্তু অন্যের গুনাহের জরিয়া (মাধ্যম) হলে ওই গুনাহের ধারা যতদিন অব্যাহত থাকবে ততদিন আমলা নামায় গুনাহের লিখনও অব্যাহত থাকবে।

কেননা আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
:تعاونوا علي البر والتقوى ، ولا تعاونوا علی الإثم والعدوان (سورة المائدة، رقم الآیة: ۲)

তোমরা কল্যাণ ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরের সহযোগিতা করো। অন্যায় এবং সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করো না।

আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি যে-ই করুন আল্লাহ মাফ না করলে তার জন্য শাস্তি অবধারিত।

কাজেই আপনার ওই কাজটি সরাসরি গুনাহ এবং সেখান থেকে উপার্জিত সকল অর্থ হারাম। দুনিয়ার এই ক্ষনস্থায়ী কয়েকটি টাকা উপার্জনের লোভে আখেরাতে চিরস্থায়ী সুখ পরিহার করে জাহান্নামের ইন্ধন হওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

قَدْ اَفْلَحَ مَنْ تَزَكّٰی وَ ذَكَرَ اسْمَ رَبِّهٖ فَصَلّٰی بَلْ تُؤْثِرُوْنَ الْحَیٰوةَ الدُّنْیَاۖ وَ الْاٰخِرَةُ خَیْرٌ وَّ اَبْقٰی اِنَّ هٰذَا لَفِی الصُّحُفِ الْاُوْلٰی صُحُفِ اِبْرٰهِیْمَ وَ مُوْسٰی.

“সফলতা অর্জন করেছে সে-ই, যে পবিত্রতা অবলম্বন করেছে। এবং নিজ প্রতিপালকের নাম নিয়েছে ও নামায পড়েছে। কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও অথচ আখেরাত কত বেশি উৎকৃষ্ট ও কত বেশি স্থায়ী। নিশ্চয়ই এ কথা পূর্ববর্তী (আসমানী) গ্রন্থসমূহেও লিপিবদ্ধ আছে; ইবরাহীম ও মূসার গ্রন্থসমূহে।”
سورة الاعلى ١٠-١٤
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন