আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বাবা মায়ের অপরাধে সন্তানের করণীয়

প্রশ্নঃ ১৯৫২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একটি বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত আছি হুজুর।আমার বয়স ২০ আমি আমার পরিবারে এই ২০ বছরে ইসলামি শিক্ষা পাইনি, আমার বাবা মা কোনোদিন কোনো ইসলামি শিক্ষা দেয়নি।কোনো খারাপ কাজ হতে নিষেধ করেনি।কিন্তুু এখন আমি বিয়ে করেছি। আমার মা আমাকে ছোট থেকেই একটা সহজ বিষয় নিয়েই আমাকে গালাগালি করে,আমার মা প্রতিদিন প্রতিদিন পাশের বাসায় স্টার জলসা দেখতে যাই আমি অনেক বুঝিয়েছি কিন্তুু কাজ হয়নি।আমার বাবাও আমার মায়ের মতো।এখন যেটা বলতে চাচ্ছি আমার মা বাবা যখন আমাকে গালাগালি করে তখন আমি অনেক ধৈর্য ধরে থাকি কিন্তুু মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই উত্তেজিত হয়ে পড়ি তখন আমিও জোরে কথা বলে ফেলি এবং আমিও গালাগালি করে ফেলি।দ্বিতীয় প্রশ্নটি হচ্ছে আমার বিবি খুব ভালো। বাসার সব কাজ করে। কিন্তুু আমার মা বাবা তার ওপর আজেবাজে কথা বলে।আমার বাবা মার তো চলাফেরারৃ ঠিক নাই নামাজ নাই,খোদা ভিতি কোনো পরিবর্তন নাই কিছুদিন পর আমার সন্তান হবে আমার বাবা মার এই অসৎ কাজের প্রতিক্রিয়া কি আমার সন্তানের ওপর পড়বে।,

১৩ জুন, ২০২৪

দাশুড়িয়া

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে বলেনে,
يا أيها الذين آمنوا قوا أنفسكم وأهليكم نارا وقودها الناس والحجارة عليها ملائكة غلاظ شداد لا يعصون الله ما أمرهم ويفعلون ما يؤمرون
অর্থাৎ, হে মু’মিনগণ ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা কর দোযখ হতে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ্ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে। (সুরা তাহরিম)
সুতরাং বান্দা প্রথমে নিজে পরিপূর্ণ দ্বীন মেনে চলবে। তার মাধ্যমে নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে। এরপর দায়িত্ব হলো, নিজের পরিবারকে দ্বীনের পথে আনার চেষ্টা করবে। এর অর্থ এই নয় যে, তার পরিবারকে দ্বীনের উপর আনতেই হবে, বরং সে তার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করবে। হেদায়াত দান করার মালিক আল্লাহ তাআলা। পরিবার যদি হেদায়াতের প্রতি আগ্রহী হয়, আল্লাহ তাআলা হেদায়াত দান করবেন। আর তারা যদি হেদায়াত পেতে না চায়, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে হেদায়াত দান করবেন না।
দ্বিতীয়ত আল্লাহ তাআলা একজনের অপরাধের কারণে অপরজনকে শাস্তি দেন না। দুনিয়াতেও না আখেরাতেও না। অন্যের অপরাধের কারণে আপনার সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।
কুরআনে কারিমে এসেছে,
ولا تزر وازرة وزر أخرى وإن تدع مثقلة إلى حملها لا يحمل منه شيء ولو كان ذا قربى إنما تنذر الذين يخشون ربهم بالغيب وأقاموا الصلاة ومن تزكى فإنما يتزكى لنفسه وإلى الله المصير
অর্থাৎ, কোন বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না; কোন ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাউকেও এটা বহন করতে আহবান করে তবে এর কিছুই বহন করা হবে না-সে নিকট-আত্মীয় হলেও। তুমি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পার যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে কেউ নিজকে পরিশোধন করে সে তো পরিশোধন করে নিজেরই কল্যাণের জন্যে। আল্লাহ্ র ই দিকে প্রত্যাবর্তন। (সুরা ফাতির)
সুতরাং আপনার মা-কে বুঝানোর চেষ্টা করুন। তাকে দ্বীনের পথে আনার জন্য সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বন করুন। সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তার হিদায়াতের জন্য দুআ করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮০০৩৪

সাহাবীর নামে মায়ের অসন্তুষ্টির মিথ্যা গল্প!!


৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৫০৯৩৭

কুরআনের প্রতি ভালোবাসা তৈরির উপায়


৬ জানুয়ারী, ২০২৪

Chattogram

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৮৭৩৫১

আল্লাহ কেন অমুসলিমদেরকে এমন অনেক বিষয় দান করেন যা অনেক সময় মুসলিমরা পায়না?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বগুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৭৭৭৮৭

জিমেইল ফেসবুক আইডি বিক্রি প্রসঙ্গ


২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

গাজীপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy