জিকিরের খতম!!
প্রশ্নঃ ১৯৩৫৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শুনেছিলাম ( সুবাহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার) এই জিকির এর মাধ্যমে যদি ১ খতম দেওয়া হয় তবে নাকি কবরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হয়। এর সত্যতা কতটুকু?,
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
SouthTalbag
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনি প্রশ্নে জিকির এর মাধ্যমে কোন ধরণের খতম বুঝিয়েছেন তা বোধগম্য নয়। তবে উল্লেখিত বাক্যগুলোর জিকিরের অনেক ফজিল রয়েছে। একাধিক হাদিসে তার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নিন্মে তার কিছু তুলে ধরা হলো :
عن أبي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " لأن أقول سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر أحب إلى مما طلعت عليه الشمس
অর্থাৎ, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অবশ্যই আমার এ (বাক্যে) বলা-سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান) পাঠ করা আমার অধিক পছন্দনীয় সে সব জিনিসের চাইতে, যার উপর সূর্য উদিত হয়। সহীহ মুসলিম
হাদিস নং- ৬৬০২
অন্য এক হাদিসে এসেছে,
عن سمرة بن جندب، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم "أحب الكلام إلى الله أربع سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر. لا يضرك بأيهن بدأت.
অর্থাৎ, সামুরা ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় কালাম চারটি। سُبْحَانَ اللَّهِ (আল্লাহ নিঙ্কলুষ পবিত্র), وَالْحَمْدُ لِلَّهِ (যাবতীয় হামদ আল্লাহর) وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (এক) আল্লাহ ব্যতীত আর ইলাহ নেই) এবং اللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)। এগুলোর যে কোনটি দিয়ে তুমি শুরু কর, তাতে তোমার কোন ক্ষতি নেই। সহীহ মুসলিম
হাদিস নং- ৫৪১৬
আরেক হাদিসে এসেছে,
عن عبد الله بن أبي أوفى، قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال إني لا أستطيع أن آخذ من القرآن شيئا فعلمني ما يجزئني منه . قال " قل سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله " . قال يا رسول الله هذا لله عز وجل فما لي قال " قل اللهم ارحمني وارزقني وعافني واهدني " . فلما قام قال هكذا بيده فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " أما هذا فقد ملأ يده من الخير
অর্থব্দুাৎ, আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বলেন, আমি কুরআন মুখস্থ করে রাখতে পারি না। অতএব আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা কুরআন এর পরিবর্তে যথেষ্ট হবে। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি বলবেঃ সুবহানাল্লাহ্, আলহামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তখন ঐ ব্যক্তি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা তো আল্লাহর জন্য- আমার জন্য কি? জবাবে নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি বল, আল্লাহুম্মা ইরহামনী, ওয়ারযুকনী, ওয়া আফিনী ওয়াহদিনী। অতঃপর রাবী বলেনঃ ঐ ব্যক্তি ঐগুলি হাতের অঙ্গুলিতে গণনা করেন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এই ব্যক্তি উত্তম বস্তু দ্বারা তার হাত পরিপূর্ণ করেছে। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং- ৮৩২
عن ابن أبي أوفى، قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال إني لا أستطيع أن آخذ شيئا من القرآن فعلمني شيئا يجزئني من القرآن . فقال " قل سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله
অর্থাৎ, ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে আরয করল, আমি কুরআন পাঠ করতে পারি না। অতএব, আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা কুরআন পাঠের পরিবর্তে যথেষ্ট হয়। তিনি বললেনঃ তুমি বল,
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
এছাড়াও আরও একাধিক হাদিসে এ বাক্যগুলোর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং যত বেশি সম্ভব এগুলোর জিকির করুন। নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই, যার মাধ্যমে আপনি নাজাত পেয়ে যাবেন। নাজাত পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পূর্ণ দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করে যেতে হবে। সত চেষ্টার পরও যে ভুলভ্রান্তি হয়ে যাবে, তার জন্য আল্লাহর কাছে কায়মানুবাক্যে আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে। এ সকল জিকির আজকার তখনই কাজে আসবে যখন আপনি ইমানে ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ হবেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দেওয়া হালাল হারাম শতভাগ মানার সাথে এ যথা সম্ভব ফজিলতপূর্ণ জিকির আজকার করে যান। আল্লাহ তাআলা আামাদেরকে তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৪০২০০
নবীজী কি সর্বদা কেবল জুব্বা পরিধান করেছেন ?
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
নোয়াখালী

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
৬১৮০৮
কেউ বলল আমি যাকে বিয়ে করব সে তালাক তাহলে করণীয় কি?
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ
২৬২০৫
নবীজীর পেশাব পায়খানা জমিন গিলে নেয়ার কথাটি কি সঠিক ?
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
যশোর

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে