আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৯২০৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজরত আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। দয়া জানালে উপকৃতি হতাম, সমাজে অনেক সময় দেখা যায় কোনো ব্যক্তি অন্তরে এক প্রকাশ করে থাকে আরেক এমত অবস্থায় এদের মুনাফিক বলে গালি দিয়ে থাকে আসলে এভাবে বলা জায়েজ আছে?কোরআন এবং হাদিসের আলোকে জানতে চাই।জাজাকাল্লাহ খাইরান।,

১৪ জুন, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

হাদিস শরীফের এক বর্ণনায় মুনাফিকের তিনটি এবং অপর বর্ণনায় চারটি খাসলত বা স্বভাবের কথা উল্লেখ আছে। এছাড়াও মুনাফিকের আরও বহু নিদর্শনের কথাও বর্ণিত হয়েছে।

এই নিদর্শনগুলো দেখে কাউকে মুনাফিক বলে চিহ্নিত করা কিংবা গালি দেওয়ার জন্য নয়। বরং এগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো এর মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করা।

কিন্তু আমাদের সমাজে এখন এটাকে অপর মুসলমানকে গালি দেওয়ার শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরো অবাক করার বিষয় হলো যিনি অপরকে মুনাফিক বলে দিচ্ছেন তিনি সরাসরি গীবত করছেন!!

আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন।

يقول ﷺ: آية المنافق ثلاث: إذا حدث كذب، وإذا وعد أخلف، وإذا اؤتمن خان يحذرنا من إخلاف الوعد، ومن الكذب في الحديث والأخبار، ومن الخيانة في الأمانة، وأنها من خصال أهل النفاق نعوذ بالله فيجب الحذر منها.

ويقول ﷺ: أربع من كن فيه كان منافقًا خالصًا، ومن كانت فيه خصلة منهن كانت فيه خصلة من النفاق، حتى يدعها: إذا حدث كذب، وإذا وعد أخلف، وإذا خاصم فجر، وإذا عاهد غدر رواه الشيخان من حديث عبدالله بن عمر -رضي الله عنهما

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: