আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কুরআন ছুঁয়ে কসম করার বিধান

প্রশ্নঃ ১৮২৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোরআন স্পর্শ করে কি কসম করা ঠিক, যদি কোরআন স্পর্শ করে কসম করে তা আবার ভঙ্গ করে তাহলে তার করণীয় কি আছে,

৪ জুলাই, ২০২৪

Mongla

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত অন্য কিছুর নামে কসম করা নিষেধ। এতদসত্ত্বেও যদি কেউ কুরআনানের নামে বা কুরআন হাতে নিয়ে কসম করে তাহলে তা রক্ষা করা অবশ্যক। এজাতীয় কসম ভঙ্গ করলে কাফফারা দেওয়া অবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الْأَيْمَانَ ۖ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ ۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ۚ ذَٰلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ ۚ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ ۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٥:٨٩

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্ত্র প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা মায়িদা-৮৯}

الأيمان مبنية على العرف فما تعورف الحلف به فيمين وملا فلا…….. قال الكمال: ولا يخفى أن الحلف بالقرآن الآن متعارف فيكون يمينا، (الدر المختار مع رد المحتار-5/484-485)

عن ابراهيم قال: قال بعد الله: من حلف بالقرآن فعليه بكل آية يمين، (المصنف لابن أبى شيبة، الأيمان والنذور فى الرجل يحلف بالقرآن، ما عليه فى ذلك،-7/537، رقم-12362)

وعند الثلاثة المصحف والقرآن وكلام الله يمين (الدر المختار مع رد المحتار-5/484-485)

وكفراته تحرير رقبة أو إطعام عشرة مساكين أو كسوتهم بما يستر عامة البدن وإن عجز عنها وقت الأداء صام ثلاثة أيام ولاء (تنوير الأبصار مع رد المحتار-5/502-505

এখন তার জন্য কর্তব্য হলো, কসম ভঙ্গের কাফফারা হিসেবে দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে তৃপ্তি সহকারে দুইবেলা খাবার খাওয়ানো বা তার মূল্য দিয়ে দেওয়া। অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে পোশাক দেওয়া। তবে কেউ যদি এর কোনেটির সামর্থ্য না রাখে তাহলে সে লাগাতার তিনটি রোযা রাখবে। উল্লেখ্য, প্রথম দুইটির মাধ্যমে কাফফারা আদায়ে সামর্থবান না হয় তাহলেই কেবল তিনটি রোযা রাখার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে পারবে।
(সুরা মায়েদা : ৮৯; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৫৬;ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/৫৩, ২/৬১; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৬)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৬২০৬

বোনকে মান্নতের টাকা দেওয়ার বিধান


২৬ জুলাই, ২০২৩

বরিশাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

১৯৫৫৯

কসমের কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি


২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

Tarumi, Kobe, Hyogo, Japan

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,

৩৪২৫০

একসাথে একাধিক কসমের কাফফারা


৯ জুন, ২০২৩

ভারই

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৩২৭৫৪

কুরআন মজিদ ছুঁয়ে কসম করা যাবে কি?


৯ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy