আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৬০৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাগরিবের নামায কখন পড়া উত্তম? রমযান মাসে ইফতারের জন্য কিছুটা বিলম্ব করে জামাত দাঁড়ায়Ñ এর হুকুম কী? ,

২৯ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সাধারণ অবস্থায় সূর্যাস্তের পর মাগরীবের নামায বিলম্ব না করা মুস্তাহাব। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত।

সালামা রা. থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমরা নবী কারীম সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মাগরিব পড়তাম যখন সূর্য অস্ত যেত। Ñসহীহ বুখারীহাদীস ৫৬১

রাফে ইবনে খাদীজ রা. বলেনআমরা নবীজী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মাগরিবের নামায আদায় করতাম। অতপর নামায শেষে আমাদের কেউ চলে গেলে তখন সে তীর নিক্ষেপের স্থান দেখতে পেত। Ñসহীহ মুসলিমহাদীস ৬৩৭সহীহ বুখারীহাদীস ৫৫৯

হাদীস ভাষ্যকার আল্লামা আইনী রাহ. বলেনউক্ত হাদীস থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যেরাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিব নামায সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে পড়তেন এবং এত আগে পড়তেন যেনামায শেষ করার পরও চতুর্দিক আলোকিত থাকত। অন্ধকার হয়ে যেত না। আর এটিই অধিকাংশের মত। Ñউমদাতুল কারী ৫/৫৫

হাদীস বিশারদ হাফেয ইবনে হাজার রাহ. বলেনউপরোক্ত হাদীসের দাবি হলমাগরিব নামায ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করা। যেন আলো থাকতে থাকতে নামায শেষ করা যায়। Ñফাতহুল বারী ২/৫০

ফকীহগণ বলেছেনওয়াক্তের শুরুতেই মাগরিবের নামায পড়ে নেওয়া মুস্তাহাব। তবে সূর্যাস্তের পর নামাযের প্রস্তুতি নিতে যে পরিমাণ সময় লাগে এতটুকু পরিমাণ সময় বিলম্ব করা অনুত্তম হবে না। হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রাহ. বলেছেন১০ মিনিট বিলম্ব করলে মাকরূহ হবে না। Ñইমদাদুল ফাতাওয়া ১/১০৪

এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ আকাশের তারকারাজী অধিক পরিমাণে প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিলম্ব করা মাকরূহ তানযীহী। আর তারকারাজী অধিক পরিমাণে প্রকাশ হয়ে যায় এত বিলম্ব করা মাকরূহ তাহরীমী।

সুতরাং রমযানে ইফতারির প্রয়োজনে ১০-১২ মিনিট বিলম্ব করা যাবে। এতে অসুবিধা নেই। মাকরূহ হবে না। তবে এর চেয়ে বেশি বিলম্ব করা ঠিক হবে না। রমযানে ইফতারের জন্য কিছুটা বিলম্ব করার কথা সাহাবায়ে কেরাম থেকেও প্রমাণিত আছে।

আবু জামরা দুবায়ী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে যেতিনি রমযানে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর সাথে ইফতার করতেন। ... তিনি বলেন,

فاذا غابت الشمس أذن، فيأكل ونأكل، فإذا فرغ أقيمت الصلاة، فيقوم فيصلي ونصلي معه.

যখন সূর্য অস্ত যেত তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. আযান দিয়ে খাবার খেতেন। আমরাও তাঁর সাথে খাবার খেতাম। খাবার শেষে ইকামত দেওয়া হত। তখন তিনি নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন। আমরাও তাঁর সাথে নামায পড়ে নিতাম। 


والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মাসিক আলকাউসার

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৭৫০৭

নিয়ত কি মুখে উচ্চারণ করতে হয়?


১৬ অক্টোবর, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

১০৯৬৩

নাবালকের আজান ইকামত ইমামত


২০ আগস্ট, ২০২৪

জুড়ী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy