আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪৫৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,আমার হজ্জ পালন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ আছে ।কিন্ত আমার স্বামী এখন যেতে চান না। আমি ওমরাহ পালন করেছি । আমার সন্তান রা ছোট।এই অবস্থায় আমার কি করনীয় । আমি যদি মারা যাই তবে কি আমি গোনাহগার হব?,

৭ মার্চ, ২০২২

Abu Dhabi, Abu Dhabi, Abu Dhabi, United Arab Emirates

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

মহিলাদের হজ ফরজ হওয়ার জন্য অন্য অন্য শর্তের সাথে মাহরাম থাকাও শর্ত।
মাহরাম ছাড়া নারীর জন্য হজ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। চাই সে যত সম্পদশালীই হোক না কেন।

নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো- স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ। এবং যাদের সঙ্গে বিবাহ হওয়া হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এ সব লোকদের সঙ্গে সামর্থবান নারীরা হজে গমন করতে পারবে।

কোনো নারীর ওপর যদি হজ ফরজ হয় এবং স্বামী ছাড়াও তাকে নিয়ে হজের যাওয়ার মতো মাহরাম থাকে। আর স্বামী যদি তার স্ত্রীকে হজে যাওয়ার অনুমতি না দেয়।তারপরেও ঐ মাহরামের সাথে হজে যেতে পারবে।
হাদিসে এসেছে-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কোনো মানুষের আনুগত্য চলবে না। আনুগত্য তো কেবল ভালো কাজের জন্য। (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং মাহরাম থাকলে নারীর হজে যাওয়ার জন্য স্বামী অনুমতি না দিলেও হজ আদায় করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে স্বামী অনুমতি ছাড়াই নারী হজে যেতে পারবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ: