আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪৩৫১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনাব,আমার প্রশ্নটি হলো, কোন ধরনের নাপাকি কি পরিমান কাপড়ে লেগে থাকা অবস্থায় তা পরিধান করে নামাজ পড়া যায়? এবং কি পরিমান লেগে তাকা অবস্থায় তা পরিধান করে নামাজ পড়া যায় না। হাওলা সহ জানালে উপকৃত হবো।جزاكم الله

২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
বগুড়া ৫৮০০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله

ক- কাপড়ে অল্প নাপাকি লাগার পর সেখানে পানি পড়ে ছড়িয়ে গেলে এবং তা এক দেরহাম থেকে বেশি হয়ে গেলে তবে নাপাক বলে গণ্য হবে

খ-নাপাকি দুই প্রকার–নাজাসাতে গলিজা এবং নাজাসাতে খফিফা।
যে সকল বস্তু মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে গেলে অজু নষ্ট হয় অথবা গোসল ফরজ হয়, ঐ সকল বস্তু নাজাসাতে গলিজা। যেমন- পায়খানা, প্রস্রাব, মনি, মজি, পূঁজ এবং মুখভর্তি বমি। হায়েজ, নেফাস এবং এস্তেহাযার রক্তও নাজাসাতে গলিজা। শিশু, বালক-বালিকা যে বয়সেরই হোক তাদের প্রস্রাবও নাজাসাতে গলিজার মধ্যে গণ্য। শরাব, প্রবাহিত রক্ত, মৃতজন্তু, যে সকল জন্তুর গোশ্ত হালাল নয়- তাদের প্রস্রাব, লাদ, গোবর, কুকুরের মল, হাঁস মোরগের পায়খানাও নাজাসাতে গলিজার অন্তর্ভুক্ত। হিংস্র জানোয়ার, বিড়াল এবং ইঁদুরের পায়খানাও তাই।
পক্ষান্তরে ঘোড়ার প্রস্র্রাব এবং যে সকল পশুর গোশত্ হালাল যেমন- গরু, ছাগল, উট ইত্যাদির প্রস্রাব নাজাসাতে খফিফা। যে সকল পাখির গোশত্ হারাম যেমন- বাজ, চিল ইত্যাদির মলও নাজাসাতে খফিফা।
নাজাসাতে গলিজা এক দেরহাম পরিমাণ অপেক্ষা বেশী লাগলে শরীর অথবা কাপড় নাপাক হয়ে যায়। হাতের তালু সোজা করে পানি নিলে যতটুকু পানি তালুতে আটকে যায়- পানির ততটুকু আয়তনকে এক দেরহাম ধরা হয়। নাপাকি জমাট হলে দেরহামের ওজন এবং তরল হলে দেরহামের আয়তন ধর্তব্য। নাজাসাতে খফিফা কাপড়ের চার ভাগের একভাগ অর্থাৎ একভাগের অধিক জায়গা জুড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়ে যায়। শরীরের কোনো অঙ্গের চারভাগের একভাগ বা একভাগের বেশী জায়গায় লাগলে শরীরও নাপাক হয়ে যায়।
عن أبي هريرة عن النبي ﷺ قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এক দিরহাম পরিমাণ রক্তের কারণে নামায পুনরায় আদায় কর। (সুনানে বায়হাকী কুবরা ৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস ১০৭৮৩)

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন